জগন্নাথের দুই শিক্ষার্থীসহ ধানমন্ডিতে আটক সাতজন রিমান্ডে
Published: 22nd, March 2025 GMT
রাজধানীর ধানমন্ডি ৮ নম্বর রোড থেকে গতকাল শুক্রবার আটক সাতজনকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ শনিবার চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দুজন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।
গাজায় ইসরায়েলের চলমান গণহত্যার প্রতিবাদে গতকাল জুমার নামাজের পর ধানমন্ডি ৮ নম্বর রোডে বায়তুল আমান জামে মসজিদের সামনের রাস্তায় মিছিলটি বের করার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে সাতজনকে আটক করে ধানমন্ডি থানা–পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহ্রীরের সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তাঁদের কাছ থেকে কিছু প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) জিসানুল হক বলেন, ‘জুমার নামাজ শেষে কিছু ব্যক্তি ফিলিস্তিনে চলমান নির্যাতনের প্রতিবাদে মিছিল বের করতে চাইলে পুলিশ তা প্রতিহত করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সাতজনকে আটক করা হয়েছে।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তাজাম্মুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়ার খবর আমরা পেয়েছি। উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলে আমরা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। যেহেতু নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেখানে আমাদের বলার কিছু থাকে না। এরপরও বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ধ নমন ড
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি