ভিক্ষুককে ‘যৌন নিপীড়নের’ অভিযোগে যুবককে গণধোলাই
Published: 23rd, March 2025 GMT
টাঙ্গাইলের বাসাইলে এক ভিক্ষুককে (২০) ‘যৌন নিপীড়নের’ অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে আশিক খান (২৪) নামে এক যুবককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। পুলিশের ভাষ্য, ওই ঘটনায় মারধরের শিকার যুবক জড়িত নয়। তাকে রবিবার (২৩ মার্চ) পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া হবে।
শনিবার (২২ মার্চ) রাত ১১টার দিকে উপজেলার কাঞ্চনপুর পূর্ব কাজিরাপাড়া এলাকা থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
উদ্ধার হওয়া আশিক খান উপজেলার ঢংপাড়া মাঝিবাড়ি এলাকার কাশেম খানের ছেলে। যৌন নিপীড়নের অভিযোগে অভিযুক্ত যুবকের নাম মামুন (২৪)। তিনি উপজেলার কাঞ্চনপুরের দক্ষিণ বাইদপাড়া এলাকার শফিকের ছেলে। ঘটনার পর থেকে তিনি পালাতক।
আরো পড়ুন:
শিশুকে যৌন নিপীড়ন, যুবক গ্রেপ্তার
যৌন হয়রানির অভিযোগে জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তা
স্থানীয়রা জানান, শনিবার দুপুরে এক নারী ভিক্ষা করার জন্য উপজেলার কাঞ্চনপুরের পূর্ব কাজিরাপাড়া এলাকায় যান। ওই নারী ঝিনাই নদীর পাড়ে গেলে তাকে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যৌন নিপীড়নের চেষ্টা করে দুই যুবক। স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। সন্ধ্যায় ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আশিককে এলাকাবাসী ধরে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম-আহ্বায়ক সামির মিয়া ও যুগ্ম-সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান বাসাইল থানা পুলিশকে বিষয়টি জানান। পরে পুলিশ গিয়ে ওই যুবককে সেখান থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
বাসাইল থানার ওসি জালাল উদ্দিন বলেন, “ওই যুবককে থানায় আনা হয়েছে। ভুক্তভোগীকেও থানায় আনা হয়। পরে দুইজনকে সামনা সামনি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মেয়েটি জানান, মারধরের শিকার ছেলেটি অভিযুক্ত নন। অন্য একজন এ ঘটনায় জড়িত।”
তিনি আরো বলেন, “ভুক্তভোগীকে তার বাবার হেফাজতে দেওয়া হয়েছে। রাতেই যৌন নিপীড়নের মামলা করা হয়েছে। মারধরের শিকার যুবককে তার পরিবারের জিম্মায় রবিবার তুলে দেওয়া হবে।”
ঢাকা/কাওছার/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম রধর উপজ ল র ঘটন য় য বকক
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫