শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সামিট পাওয়ার লিমিটেড চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন একসঙ্গে প্রকাশ করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর ’২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৭ পয়সা। আগের অর্থবছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৭১ পয়সা। অর্থাৎ আগের অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে কোম্পানিটির মুনাফা কমেছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর ’২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৭ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৮৯ পয়সা। এরপর অক্টোবর-ডিসেম্বর, অর্থাৎ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির মুনাফা বা শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫০ পয়সা—২০২৩ সালের একই সময়ে তার ইপিএস ছিল ৮২ পয়সা। অর্থাৎ এই সময়েও কোম্পানিটির মুনাফা কমেছে।

আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদের মূল্য হয়েছে ৪১ টাকা ২৫ পয়সা। অন্যদিকে দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর ২৪) ইপিএস হয়েছে ৫০ পয়সা। আগের অর্থবছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৮২ পয়সা।

৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদের মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪১ টাকা ৮৮ পয়সায়।

এদিকে ২০২৪ সালের ৩০ জুন শেষ হওয়া অর্থবছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে সামিট পাওয়ার। গত অর্থবছরে সামিট পাওয়ারের মুনাফা অনেকটাই বেড়েছে। ৩০ জুন তারিখে শেষ হওয়া বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ দশমিক ১৩ টাকা। আগের বছর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছিল ২ টাকা ৭ পয়সা। অর্থাৎ এক বছরে কোম্পানিটির মুনাফা বেড়েছে ৫১ শতাংশ।

গত এক বছরে সামিট পাওয়ারের শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম ছিল ২৫ টাকা ৭০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৪ টাকা ৫০ পয়সা। সামিট পাওয়ার ২০২৩ সালে ১০ শতাংশ, ২০২২ সালে ২০ শতাংশ, ২০২১ সালে ৩৫ শতাংশ ও ২০২০ সালে ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর আগে ২০১৫ সালে কোম্পানিটি ৬ শতাংশ ও ২০১৪ সালে ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র একই সময় ড স ম বর

এছাড়াও পড়ুন:

রাশিয়ার প্রয়াত বিরোধী নেতা নাভালনির শরীরে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল: স্ত্রীর দাবি

রাশিয়ার প্রয়াত বিরোধী নেতা অ্যালেক্সি নাভালনির স্ত্রী ইউলিয়া নাভালনায়া বলেছেন, দুটি বিদেশি পরীক্ষাগারে তাঁর স্বামীর শরীর থেকে সংগৃহীত জৈবিক নমুনা পরীক্ষা করে প্রমাণ পাওয়া গেছে, তাঁর শরীরে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল।

রাশিয়ায় ভ্লাদিমির পুতিনবিরোধী নেতা নাভালনি ৪৭ বছর বয়সে ২০২৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি আর্কটিক সার্কেলে একটি কারাগারে আকস্মিকভাবে মারা যান।

নাভালনির স্ত্রী নাভালনায়া বারবার তাঁর স্বামীকে হত্যার জন্য পুতিন সরকারকে অভিযুক্ত করেছেন। অবশ্য ক্রেমলিন এই অভিযোগকে ‘আজগুবি’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, নাভালনির মৃত্যুর আগে পশ্চিমাদের সঙ্গে বন্দিবিনিময়ের অংশ হিসেবে তাঁকে মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল।

নাভালনায়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন, যেখানে তিনি বলেছেন, ২০২৪ সালে নাভালনির শরীর থেকে গোপনে জৈবিক নমুনা বিদেশে পাচার করা হয়েছিল। দুটি পরীক্ষাগার সেই নমুনা পরীক্ষা করেছে। এতে প্রমাণ পাওয়া গেছে, নাভালনিকে হত্যা করা হয়েছিল।

নাভালনায়া বলেন, দুটি ভিন্ন দেশের পরীক্ষাগারগুলো একই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে, অ্যালেক্সিকে হত্যা করা হয়েছে। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, তাঁকে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল।

নাভালনায়া পরীক্ষাগারগুলোকে এই ‘অস্বস্তিকর সত্য’ সম্পর্কে তাদের বিস্তারিত ফলাফল প্রকাশের দাবি জানান। তবে নাভালনির শরীরে কী ধরনের বিষ পাওয়া গেছে, সেটা তিনি নির্দিষ্ট করে বলেননি।

নাভালনায়া বলেন, ‘এসব ফলাফল জনগুরুত্বপূর্ণ এবং অবশ্যই প্রকাশ করা উচিত। আমাদের সবার সত্যিটা জানার অধিকার আছে।’

নাভালনায়ার এই মন্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘আমি তাঁর এসব মন্তব্য সম্পর্কে কিছুই জানি না। এ বিষয়ে কিছু বলতেও পারব না।’

অ্যালেক্সি নাভালনির স্ত্রী ইউলিয়া নাভালনায়া

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কালচে হয়ে যাচ্ছে মোগল আমলের লালকেল্লা
  • ৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ
  • সেপ্টেম্বরের ১৬ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ২০ হাজার কোটি টাকা
  • রাশিয়ার প্রয়াত বিরোধী নেতা নাভালনির শরীরে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল: স্ত্রীর দাবি
  • জিল হোসেন মারা গেছেন, আদালতে তাঁর লড়াই শেষ হবে কবে
  • গবাদিপশু থেকে মানুষের শরীরে ‘তড়কা’ রোগ, প্রতিরোধে যা করবেন
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে আবেদন আজ বিকেলে, ক্লাস ১৩ নভেম্বর
  • কীভাবে নেট রান রেট হিসাব করা হয়, সুপার ফোর উঠতে বাংলাদেশের হিসাব কী
  • সোনালী ও রূপালী মুনাফায়, অগ্রণী ও জনতা লোকসানে
  • বাংলাদেশ ব্যাংক এক দিনে ২৬ ব্যাংক থেকে ৩৫ কোটি ডলার কিনল কেন