জয়া আহসান আমার নসিবে ছিল, কেন বললেন জয়
Published: 23rd, March 2025 GMT
এবার ঈদে মুক্তি পাচ্ছে ওয়েব সিরিজ ‘জিম্মি’। প্রথমবারের মতো ওয়েব সিরিজে অভিনেত্রী জয়া আহসান। মুখ্য চরিত্রে এটিই জয়া আহসানের প্রথম ওয়েব সিরিজ। এতে তার সঙ্গে অভিনয় করেছেন উপস্থাপক ও অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়।
‘জিম্মি’ সিনেমায় কাজের অনুভূতি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন তিনি। জয় লিখেছেন, ‘শেষ কাজ করেছিলাম তার সাথে ২৩ বছর আগে। ২৩ বছর পর ঠিক সেই লোকেশনেই আবার শুটিং হল। মাঝের ২৩ বছর দুই থেকে তিনবার সামনাসামনি দেখা হয়েছে। কথা হয়েছে সামান্য। এরপর জিম্মি। কথায় আছে না যদি থাকে নসিবে আপনা আপনি আসিবে। জয়া আহসান আমার নসিবে ছিল।’
‘জিম্মি’ নির্মাণ করেছেন আশফাক নিপুন। এর আগে ‘মহানগর’ নির্মাণ করে দর্শকমহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেন তিনি। এ সিরিজে শাহরিয়ার নাজিম জয় ছাড়াও জয়ার সঙ্গে আরও আছেন অভিনেতা ইরেশ জাকের, শিবলু মৃধাসহ আরও অনেকে।
বেশ গুরুত্বপূর্ণ এক চরিত্রে দেখা যাবে শাহরিয়ার নাজিম জয়কে। জিম্মিতে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল জানিয়ে জয় বলেন, ‘পরিচালক নিপুনের কাছে আমি চিরজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো; যে তিনি আমাকে এমন একটা চরিত্রে চিন্তা করেছেন। জিম্মিতে আমার চরিত্রটা, আমার ক্যারিয়ারে করা অন্যতম চমৎকার একটা চরিত্র। সেইসঙ্গে সহশিল্পী জয়া আহসান, ইরেশ যাকেরসহ অনেকেই কাজটাকে আমার জন্য সহজ ও স্মরণীয় করেছেন।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সুন্দরবনের মধুসহ ২৪ পণ্য পেল জিআই সনদ
মণিপুরি শাড়ি, গামছা, লিচু, আম, মধুসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ২৪টি পণ্যকে জিআই (ভৌগোলিক নির্দেশক) নিবন্ধন সনদ দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সভায় এই সনদ দেওয়া হয়। শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সভায় শিল্প সচিব ওবায়দুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচক ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। মেধাসম্পদ দিবসের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিল্পী, অভিনেত্রী ও সংগীত পরিচালক আরমিন মুসা।
সভায় শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, দেশের প্রথম পণ্য হিসেবে জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে জামদানি শাড়ি। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫৫টি পণ্য জিআই স্বীকৃতি পেল। জিআই পণ্য দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে লালন করে। এই পণ্যের বাজারজাতকারীদের ন্যায্য স্বীকৃতি এবং পারিশ্রমিক নিশ্চিত করতে হবে। ফলে স্থানীয় উদ্যোক্তা বা উৎপাদনকারীদের ক্ষমতায়ন হবে।
এ সময় তিনি জিআই পণ্যের তালিকা সমৃদ্ধ করার পর সেগুলো বাণিজ্যিকভাবে বিকশিত করার আহ্বান জানান।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক উৎসব গান। এ দেশের মানুষ গানের মাধ্যমে ভাব প্রকাশ করে, যা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে আছে। সংগীত নিয়ে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় বড় প্রকল্পের কাজ করছে। দেশের মানুষ কিছু দিনের মধ্যে তা দেখতে পাবে। সংগীতের কপিরাইট নিশ্চিত করতে হবে।
নিবন্ধন সনদপ্রাপ্ত ২৪টি ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হলো– নরসিংদীর লটকন, মধুপুরের আনারস, ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দই, মাগুরার হাজরাপুরী লিচু, সিরাজগঞ্জের গামছা, সিলেটের মণিপুরি শাড়ি, মিরপুরের কাতান শাড়ি, ঢাকাই ফুটি কার্পাস তুলা, কুমিল্লার খাদি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি, গোপালগঞ্জের ব্রোঞ্জের গয়না, সুন্দরবনের মধু, শেরপুরের ছানার পায়েস, সিরাজগঞ্জের লুঙ্গি, গাজীপুরের কাঁঠাল, কিশোরগঞ্জের রাতাবোরো ধান, অষ্টগ্রামের পনির, বরিশালের আমড়া, কুমারখালীর বেডশিট, দিনাজপুরের বেদানা লিচু, মুন্সীগঞ্জের পাতক্ষীর, নওগাঁর নাকফজলি আম, টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের জামুর্কির সন্দেশ এবং ঢাকাই ফুটিকার্পাস তুলার বীজ ও গাছ।
সভায় এসব জিআই সনদ বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড, সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক ও নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার নাকফজলি আমচাষি সমবায় সমিতির কাছে হস্তান্তর করা হয়।