বাবাকে হত্যার পর পালাতে গিয়ে ছেলের মৃত্যু
Published: 24th, March 2025 GMT
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর পালাতে গিয়ে বাড়ির পাশের একটি ফসলি জমিতে পড়ে ছেলেরও মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
রবিবার (২৩ মার্চ) রাতে উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের চেরাগ আলী বেপারী কান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া দুজন হলেন- ওই গ্রামের মকবুল হোসেন মোল্ল্যা (৬৫) ও তার ছেলে রুবেল মোল্ল্যা (৩৩)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর আরেকটি বিয়ে করেন মকবুল হোসেন। এরপর থেকেই প্রথম স্ত্রীর বড় ছেলে রুবেল মোল্ল্যার সঙ্গে মকবুল হোসেনের কলহ সৃষ্টি হয়। এর জেরে রবিবার রাতে বাবা-ছেলের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রুবেল ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাবাকে কুপিয়ে আহত করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে, ঘটনার পরে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন রুবেল মোল্ল্যা। কিন্তু, বাড়ির পাশের একটি জমিতে পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
নড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম উদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘‘পারিবারিক কলহের জেরে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে ছেলে। পরবর্তীতে বাড়ির পাশের একটি জমিতে ছেলের মরদেহ পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, হৃদযন্ত্রের ক্রীড়া বন্ধ হয়ে ছেলে রুবেল মোল্লা মারা গেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত শেষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
ঢাকা/আকাশ/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমস্যা কী, সমাধান কোথায়: শুনুন তামিমের মুখে
এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় সমস্যা কী? কোন বিষয়টি সবার আগে সমাধান করা উচিত?
দুটি প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই অনেক কথাই বলবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কারও বিষয়টি ভালো জানার কথা। যেমন তামিম ইকবাল। প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র তামিমের সামনে দুটি প্রশ্ন রেখেছিলেন। তামিমের উত্তর, ‘আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের ফ্যাসিলিটিজ (অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধা) নাই।’
প্রথম আলোর কার্যালয়ে উৎপল শুভ্রকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে আড্ডার মেজাজে তামিম বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন। নিজের ক্যারিয়ার, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য—এসব নিয়েও বেশ খোলামেলা কথা বলেন সাবেক এই ওপেনার।
আলাপচারিতার একপর্যায়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটে এ মুহূর্তের সমস্যার প্রসঙ্গ উঠেছিল। অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধার অভাবকে সামনে টেনে এনে তামিম বলেছেন, ‘একটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার হয় কিংবা বাংলাদেশের মতো দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলার একটি (ক্রিকেট), যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, তার আশপাশেও নেই। পৃথিবীর তৃতীয়, চতুর্থ ধনী বোর্ডের যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, আমরা এর আশপাশেও নেই।’
তামিম বিষয়টি ভালোভাবে ব্যাখ্যা করলেন, ‘ক্রিকেট দলের প্রতি ভক্তদের যে প্রত্যাশা, সেটা পূরণের জন্য যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার, আমরা তার আশপাশেও নেই। আপনি মাঝারি মানের ক্রিকেটার হতে পারেন কিংবা মাঝারি মানের ব্যাটসম্যান হতে পারেন, সঠিক অনুশীলনের মাধ্যমে কিন্তু আপনি মাঝারি মান থেকে দুই ধাপ ওপরে উঠতে পারবেন।’
মুশফিকুর রহিম