যুবদল নেতা শামীম হত্যা: কিশোরগঞ্জের সাবেক এমপি আফজাল কারাগারে
Published: 25th, March 2025 GMT
যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি আফজাল হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় মামলার তদন্তকারী করকর্তা তাকে দশ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। অপরদিকে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।
মামলার মূল নথি না থাকায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ছানাউল্ল্যাহ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই সঙ্গে মূল নথি প্রাপ্তি সাপেক্ষে রিমান্ড ও জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে বিচারক আদেশে উল্লেখ করেন।
এর আগে সোমবার মেহেরপুর শহর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি ঢাকায় মহাসমাবেশ ডাকে। মহাসমাবেশকে পণ্ড করার জন্য একই দিনে আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ ডাকে। বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যার উদ্দেশ্যে পুলিশের সহায়তায় মহাসমাবেশে হামলা চালানো হয়। হামলায় যুবদল নেতা শামীম নিহত হন। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা করা হয়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ডাকসু নির্বাচনের কমিশন ও তফসিলের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের কমিশন গঠন ও তফসিল ঘোষণার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী। রোববার বেলা আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে তাঁরা এ কর্মসূচি শুরু করেন।
ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের মাহতাব ইসলাম কর্মসূচিতে টানা অবস্থান করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে তাঁদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে অবস্থান নিতে দেখা যায়।
বিন ইয়ামিন মোল্লা প্রথম আলোকে বলেন, ডাকসু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের একটা প্ল্যাটফর্ম। ডাকসু জুলাই অভ্যুত্থানের একটা কমিটমেন্ট (প্রতিশ্রুতি)। অভ্যুত্থান–পরবর্তী বাংলাদেশে বিশেষ করে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষার্থীরা পরিবর্তিত পরিবেশ চেয়েছেন, যেখানে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ চর্চার জায়গা থাকবে, পারস্পরিক সহিষ্ণুতা ও সহাবস্থান থাকবে। এ ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ছাত্র সংসদ নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।
বিন ইয়ামিন বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন থেকে আন্দোলন করে আসছি। আমরা সম্প্রতি তিনজন তিন দিনের মতো অনশনে ছিলাম। তারপর ভিসি (উপাচার্য) স্যারসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আশ্বস্ত করেছিলেন, (জুনের) ২ তারিখের ভেতর ডাকসু নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে আমাদের জানাবেন। কিন্তু আমাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।’
ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি আরও বলেন, ‘আমরা পত্রিকা মারফত জানলাম, সোমবার ডাকসুর বিষয়ে জরুরি সিন্ডিকেট মিটিং আহ্বান করা হয়েছে। এই সিন্ডিকেট মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের পক্ষে এবং ডাকসুর পক্ষে আসতে হবে। নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত করা এবং নির্বাচনের তারিখ আমরা এখান থেকে চাই।’
প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রাত ১১টায় অবস্থান কর্মসূচি চলছিল। ডাকসু নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা না জানানো পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে জানান বিন ইয়ামিন। সিন্ডিকেট সভা থেকে ডাকসু নির্বাচন কমিশন ও তফসিলের ঘোষণা না এলে আন্দোলন আরও তীব্রতর হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
আরও পড়ুনআজকের মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি২৪ মে ২০২৫