আবুধাবীতে বাংলাদেশ দূতাবাসে গণহত্যা দিবস পালিত
Published: 25th, March 2025 GMT
আবুধাবি বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকালে দূতাবাসের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন আমিরাতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত তারেক আহমদ।
তিনি বলেন, “জাতি হিসেবে আমাদের কাছে আজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে এ জাতির ওপর যাতে আর কোন কালো রাতের পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।”
বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশকে উচ্চ আসনে প্রতিষ্টা করার এখনি সময়। সেক্ষেত্রে ১২ লাখ প্রবাসীকে এক একজন অ্যাম্বাসিডর হয়ে দেশের পক্ষে কাজ করতে হবে। এদেশের আইন-কানুন মেনে চলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে হবে।”
রাষ্ট্রদূত বলেন, “সকল ভয়ভীতি পরিহার করে দূতাবাস এবং প্রবাসীদের মধ্যে অদৃশ্যের দেওয়াল ভেঙে দেশের জন্য এক সাথে কাজ করতে হবে।”
শ্রম কাউন্সেলর লুৎফুন নাহার নাজীমের উপস্থাপনায় প্রধান উপদেষ্টার বাণী পাঠ করেন কাউন্সেলর (শ্রম) মুহাম্মদ উল্লাহ খান, মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন কাউন্সেলর (পলিটিক্যাল) তৌহিদ ঈমাম।
এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম তালুকদার, দূতাবাসের মিশন উপপ্রধান শাহনাজ আক্তার রানু, বাংলাদেশ বিমানের রিজনাল ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন, দক্ষিণ এশিয়া জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সাংবাদিক ফোরামের নির্বাহী সভাপতি কেরামত উল্লাহ বিপ্লব, আবুধাবি শেখ জায়েদ বাংলাদেশ স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক আব্দুল গণি প্রমুখ।
আলোচকরা বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ এর নামে ঢাকাসহ সারাদেশে ঘুমন্ত ও নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর বিশ্বের বর্বরতম হত্যাযজ্ঞ শুরু করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। নারকীয় সেই হত্যাযজ্ঞে জাতি আজও শোকাহত।”
ঢাকা/হাসান/সাইফ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সুদানে ‘গণহত্যা’ হয়েছে
সুদানের এল-ফাশের শহর ও এর আশপাশের বিভিন্ন স্থানে গণহত্যা চলছে। কৃত্রিম ভূ–উপগ্রহের ছবি বিশ্লেষণ করে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এমন দাবি করেছেন। জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেখানকার পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ’ বলে উল্লেখ করেছেন।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে দেশটির আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সসের (আরএসএফ) লড়াই চলছে। গত রোববার তারা এল-ফাশের দখল করে। এর মাধ্যমে প্রায় দেড় বছরের দীর্ঘ অবরোধের পর পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে সেনাবাহিনীর সর্বশেষ শক্ত ঘাঁটিটিও ছিনিয়ে নেয় তারা।
শহরটি পতনের পর থেকে সেখানে বিচারবহির্ভূত হত্যা, যৌন সহিংসতা, ত্রাণকর্মীদের ওপর হামলা, লুটপাট এবং অপহরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেখানকার যোগাযোগব্যবস্থা প্রায় সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন।
এল-ফাশের থেকে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী তাওইলা শহরে জীবিত বেঁচে ফেরা কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে এএফপির সাংবাদিক কথা বলেছেন। সেখানে গণহত্যা হয়েছে জানিয়ে তাঁরা বলেন, শহরটিতে মা-বাবার সামনেই শিশুদের গুলি করা হয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে পালানোর সময় সাধারণ মানুষকে মারধর করে তাঁদের মূল্যবান সামগ্রী লুট করা হয়েছে।
পাঁচ সন্তানের মা হায়াত শহর থেকে পালিয়ে আসা ব্যক্তিদের একজন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে থাকা তরুণদের আসার পথেই আধা সামরিক বাহিনী থামিয়ে দেয়। আমরা জানি না, তাদের কী হয়েছে।’
ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাব বলেছে, গত শুক্রবার পাওয়া কৃত্রিম উপগ্রহের ছবিতে ‘বড় ধরনের কোনো জমায়েত চোখে পড়েনি।’ এ কারণে মনে করা হচ্ছে, সেখানকার জনগণের বড় একটি অংশ হয় ‘মারা গেছে, বন্দী হয়েছে কিংবা লুকিয়ে আছে।’ সেখানে গণহত্যা অব্যাহত থাকার বিভিন্ন ইঙ্গিত স্পষ্টভাবে দেখা গেছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, আল-ফাশের থেকে এখন পর্যন্ত ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ পালিয়েছে। এখনো কয়েক হাজার মানুষ শহরটিতে আটকা পড়েছে। আরএসএফের সর্বশেষ হামলার আগে সেখানে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ বসবাস করত।
শনিবার বাহরাইনে এক সম্মেলনে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োহান ভাডেফুল বলেন, সুদান একটি ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। সেখানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। আরএসএফ নাগরিকদের সুরক্ষার অঙ্গীকার করেছিল। কিন্তু তাদের এই কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে।