‘সামুদ্রিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত রাশিয়া ও ইউক্রেন’
Published: 25th, March 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা ‘কৃষ্ণ সাগরে নিরাপদ নৌ চলাচল’ নিশ্চিত করতে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সাথে সামুদ্রিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। তারা জ্বালানিবাহী ট্যাঙ্কারে হামলা বন্ধ করার জন্য ‘ব্যবস্থা’ নেবে। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস রাশিয়া ও ইউক্রেনের সাথে তাদের আলোচনার দুটি বিবরণ প্রকাশ করেছে।
২৩ থেকে ২৫ মার্চ সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে রাশিয়া ও ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন মার্কিন কর্মকর্তারা। ওই আলোচনায় রাশিয়া ও ইউক্রেন সামুদ্রিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, “নিরাপদে নৌচলাচল নিশ্চিত করতে, বলপ্রয়োগ বন্ধ করতে এবং কৃষ্ণ সাগরে সামরিক উদ্দেশ্যে বাণিজ্যিক জাহাজের ব্যবহার বন্ধে” সমুদ্রে যুদ্ধবিরতির জন্য একটি চুক্তি কার্যকরভাবে ঘোষণা করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর হামলা বন্ধ করার জন্য পূর্ববর্তী চুক্তি ‘বাস্তবায়নের জন্য ব্যবস্থা নিতে’ দুই দেশ সম্মত হয়েছে। ইউক্রেন এবং রাশিয়া ‘একটি টেকসই ও স্থায়ী শান্তি অর্জনের জন্য কাজ চালিয়ে যাবে।’
ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনার ইস্যুতে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিত করেছে যে তারা ‘যুদ্ধবন্দিদের বিনিময়, বেসামরিক বন্দিদের মুক্তি এবং জোরপূর্বক স্থানান্তরিত ইউক্রেনীয় শিশুদের ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার ইস্যুতে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘কৃষি ও সার রপ্তানির জন্য বিশ্ব বাজারে রাশিয়ার প্রবেশাধিকার পুনরুদ্ধার, সামুদ্রিক বীমা খরচ কমানো এবং এই ধরনের লেনদেনের জন্য বন্দর ও অর্থপ্রদান ব্যবস্থায় প্রবেশাধিকার বৃদ্ধিতে’ সহায়তা করবে।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউক র ন র ও ইউক র ন ন র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন
টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।
এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।
গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।
প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।