জনমানবের দেখা নেই। ময়লা–আবর্জনায় চারপাশ ঠাসা। ফোয়ারার জন্য তৈরি কৃত্রিম জলাশয়ে শেওলা জমেছে। কক্ষগুলো সব তালাবদ্ধ। ভেতরেও স্তূপ করে রাখা হয়েছে বইসহ মূল্যবান জিনিসপত্র। আসবাবগুলো প্যাকেটবন্দী।

পাবনা জেলা সদরের দাপুনিয়া ইউনিয়নের মাধপুরে নির্মিত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর এভাবেই অনাদর–অবহেলায় পড়ে আছে। কেসমত আলী নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি নিজ উদ্যোগে এটির দেখভাল করছেন।

মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্থান সংরক্ষণ ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষায় ২০২০ সালে জাদুঘরটি নির্মাণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি)। তবে গত পাঁচ বছরেও হস্তান্তর না করায় জাদুঘরটি অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে।

নিজ উদ্যোগে কমপ্লেক্সের দেখাশোনা করেন পাশের বাসিন্দা কিসমত আলী। গতকাল পাবনা সদরের মাধপুরে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের ভারতীয় জলসীমায় গ্রেপ্তার ১৩ বাংলাদেশি

মাত্র দুইদিনের ব্যবধানে আবারো ভারতীয় জলসীমা লঙ্ঘন করার অভিযোগে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে আটক করা হয়েছে বাংলাদেশি ট্রলার। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মায়ের দোয়া নামক ওই ট্রলারে মোট ১৩ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি বাংলাদেশি ওই ফিশিং ট্রলারটি বাজেয়াপ্ত করেছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী।

উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফে সংবাদমাধ্যমকে বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের আটক এর ব্যাপারে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। তবে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বাজেয়াপ্ত ট্রলার ও ১৩ জন মৎস্যজীবীকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অন্তর্গত ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার হাতে ইতিমধ্যেই তুলে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তাদের আদালতে তোলা হবে। 

আরো পড়ুন:

জলবায়ু পরিবর্তনে বদলাচ্ছে রোগের চিত্র, বাড়ছে বিরল সংক্রমণ 

অজিতের পারিশ্রমিক ২৪১ কোটি টাকা!

এর আগে গত সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে জলসীমা অতিক্রম করার অভিযোগে আটক করা হয় ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবিকে। ধৃত মৎসজীবীরা বাংলাদেশের বরিশাল  বিভাগের ভোলা জেলার পুরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। 

প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি ‘এফবি ঝড়’ এবং ‘এফবি মঙ্গলচণ্ডী ৩৮’ নামে দুটি ভারতীয় ফিশিং ট্রলারের ৩৪ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে আটক করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। পরবর্তীতে মোংলা থানার পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়। পাল্টাপাল্টি মৎস্যজীবী আটকের ঘটনায় দুই দেশের তরফেই ফের কূটনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। তবে মৎসজীবীদের প্রত্যর্পণের বিষয়ে দুই দেশের এখনো কোনোপ্রকার আলোচনা শুরু হয়নি বলেই দূতাবাস সূত্রের খবর।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ