Samakal:
2025-08-01@20:48:27 GMT

এক দিনে নিহত আরও ২৫ ফিলিস্তিনি

Published: 27th, March 2025 GMT

এক দিনে নিহত আরও ২৫ ফিলিস্তিনি

যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে গাজায় ইসরায়েলের নতুন করে হামলা টানা দশম দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে। এ হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ২৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সেই সঙ্গে ৮২ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

টেলিগ্রামে প্রকাশিত বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বলেছে, বেশ কয়েকজন হতাহত লোক এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে ও রাস্তায় পড়ে আছেন। অ্যাম্বুলেন্স ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বলে সিএনএন জানিয়েছে। এ নিয়ে গাজায় ৫০ হাজার ২০৮ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১৩ হাজার ৯১০ জন আহত হয়েছেন।

জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএ সব শেষ গত মঙ্গলবার জানিয়েছে, ১৮ মার্চ গাজায় ইসরায়েল পুনরায় যুদ্ধ শুরু করার পর থেকে ১ লাখ ৪২ হাজার ফিলিস্তিনিকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে। মাত্র কিছু ব্যক্তিগত জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে আসা অনেক মানুষ এখন রাস্তায় অবস্থান করছেন। এখানে খাবার, পানি এবং আশ্রয়ের জন্য অতি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের খুব অভাব। জাতিসংঘের মানবিকবিষয়ক সমন্বয় অফিস এর উদ্ধৃতি দিয়ে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গাজার ২ মিলিয়ন মানুষ এ সময় এক মহামারি পরিস্থিতির মুখোমুখি। কারণ, একদিকে অবিরত বোমাবর্ষণ এবং অন্যদিকে অবরোধের কারণে মানবিক কার্যক্রম সীমিত হয়ে গেছে। 
 
আলজাজিরা জানায়, উত্তর গাজার জাবালিয়া শহরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় হামাসের মুখপাত্র আবদেল-লতিফ আল-কানুয়া নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ভোরে সংবাদ সংস্থাগুলো তাঁর নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। শহরের একটি তাঁবুতে আশ্রয় নেওয়া অবস্থায় নিহত হন তিনি। অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাদের সামরিক অভিযান আরও তীব্র করেছে। 

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন অভিবাসন কর্তৃপক্ষ বোস্টনের কাছে টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক তুর্কি ডক্টরেট শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার ও ভিসা বাতিল করেছে। গ্রেপ্তার শিক্ষার্থী গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে কথা বলেছিলেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা

আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।

শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।

অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’

স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।

ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’

আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ