অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আজ বৃহস্পতিবার এ মামলা হয়। মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রাব্বি আলমসহ ৭২ জনকে আসামি করা হয়েছে।

ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা। সম্প্রতি ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ নামের একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মের ভার্চ্যুয়াল মিটিংয়ে শেখ হাসিনাসহ অন্যরা সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেন।

ওমর ফারুক ফারুকী আরও বলেন, বিষয়টি জানার পর সিআইডির একজন কর্মকর্তা বাদী হয়ে আদালতে শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলাটি সিআইডিকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এদিকে আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি বলেছে, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর অনলাইন মিটিংয়ে জয় বাংলা ব্রিগেড গঠন করে শেখ হাসিনাকে ফের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা বুঝিয়ে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন আসামিরা। ওই মিটিংয়ে ৫৭৭ জন অংশ নেন।

সিআইডি বলেছে, নেতা-কর্মীদের কথোপকথনের ভয়েস রেকর্ড পর্যালোচনায় জয় বাংলা ব্রিগেড নামক প্ল্যাটফর্মে দেশ–বিদেশ থেকে অংশগ্রহণকারীরা বৈধ সরকারকে শান্তিপূর্ণভাবে দেশ পরিচালনা করতে দেবে না বলে আলোচনা করেন। তাঁরা বর্তমান সরকারকে উৎখাত করার জন্য গৃহযুদ্ধের ঘোষণা দেন, যেখানে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধের সুস্পষ্ট উপাদান রয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সরক র স আইড

এছাড়াও পড়ুন:

অদৃশ্য শক্তি ও ফ্যাসিষ্টরা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত খোরশেদ

আজ শনিবার সকালে দেশের প্রধান হোসিয়ারী শিল্পের মার্কেট নগরীর নয়ামাটি এলাকায় ব্যাবসায়ী ও সাধারন মানুষের মাঝে গণসংযোগ করে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেয়ার আহবান ও ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেন নারায়নগঞ্জ মহানগর যুবদলের সদ্য সাবেক সভাপতি ও মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, চারবারের সাবেক কাউন্সিলর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন প্রাপ্ত প্রার্থী  মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। 

গণসংযোগ কালে খোরশেদ ব্যাবসায়ী ও জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, ব্যাবসা বান্ধব স্থিতিশীল রাষ্টের জন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে  নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই।কিন্ত দেশী বিদেশী অদৃশ্য শক্তি ও পরাজিত ফ্যাসিষ্টরা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে।

যথা সময়ে নির্বাচন না হলে,দেশে একটি রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠিত না হলে দেশে স্থিতিশীল স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে না,আইনশৃংখলা ও অর্থনীতির উন্নতি হবে না,মুদ্রাস্ফীতি না কমাতে পারলে জনগনের জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।

তাই নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র রুখতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান খোরশেদ।তিনি আরো বলেন,কোন কোন উপদেষ্টা মিষ্টি কথার আড়ালে দেশী বিদেশী কুচক্রী মহলের এজেন্ট হয়ে কাজ করছেন,যা আমাদের কাম্য নয়।

এসময় খোরশেদ আরো বলেন,আওয়ামী দু:শাষনের মাধ্যমে দেশের প্রত্যেকটি সেক্টর ধংস করে ফেলেছে।তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের জন্য আমাদের সবাই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

গণসংযোগ কালে খোরশেদ এর সাথে অসংখ্য নেতাকর্মী ও হোসিয়ারী ব্যাবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন: দুলু
  • অদৃশ্য শক্তি ও ফ্যাসিষ্টরা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত খোরশেদ