সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে পূর্ব বিরোধের জেরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার বিকেলে উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের কালনীরচর গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালনীরচর গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল হক ও একই গ্রামের স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য শওকত আলীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধ চলে আসছে। ওইসব বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে একাধিক মামলা মোকদ্দমাও রয়েছে।

সম্প্রতি একটি মামলায় ইউপি সদস্য শওকত আলীকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। ৮ দিন পর গত মঙ্গলবার জামিনে বের হন শওকত আলী। এরই জেরে বুধবার বিকেলে উভয় পক্ষের লোকজন বাগ্‌বিতণ্ডা ও পরে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

আহতদের জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ওসমানীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। 

এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঞা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ন মগঞ জ স ঘর ষ স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

৩০ হাজার টাকার শুল্কের জন্য ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়: শওকত আজিজ

ব্যবসা-বাণিজ্যে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বস্ত্রমালিকদের সংগঠন বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ। তিনি বলেন, একসময় বিটিএমএ যন্ত্রাংশ আমদানি করত। যথাযথ হারে শুল্কও দেওয়া হতো। এ নিয়ে বিতর্ক হয়নি। ছাড়পত্র বিটিএমএর পক্ষ থেকেই দেওয়া হতো।

কিন্তু এনবিআর পুরো বিষয়টি নিজের হাতে নেওয়ার পর জটিলতা বেড়েছে। প্রতিটি ধাপে ছাড়পত্র নিতে হয়। সেই সঙ্গে দেখা যায়, ৩০ হাজার টাকা শুল্ক কর জমা দিতে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়। এ বাস্তবতায় তাঁর পরামর্শ, এনবিআর নিজের সম্পদ গঠনমূলক কাজে ব্যবহার করুক।

আজ বুধবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের আয়োজনে আগামী অর্থবছরের বাজেট–সংক্রান্ত পরামর্শক কমিটির ৪৫তম সভায় এসব কথা বলেন শওকত আজিজ।
এক পণ্যের একাধিক এইচএস কোড আছে বলে মন্তব্য করেন শওকত আজিজ। এ সমস্যা দূর করে এক পণ্য এক এইচএস কোডের অধীন নিয়ে আসা উচিত বলে মত দেন তিনি।

করপোরেট কর প্রসঙ্গে বিটিএমএর প্রস্তাব, দেশের তৈরি পোশাক খাতে যে ১২ শতাংশ করারোপ করা হয়েছে, তাদের জন্যও সেই একই হারে করারোপ করা হোক। বস্ত্র ও পোশাক খাত পরস্পরের পরিপূরক। ফলে তাদের এ প্রস্তাব অযৌক্তিক নয় বলেই মনে করেন শওকত আজিজ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৩০ হাজার টাকার শুল্কের জন্য ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়: শওকত আজিজ
  • পটুয়াখালীতে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের আগুনে তদন্ত কমিটি গঠন