টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তিতে আবেদনের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। আরও ২০ দিন আবেদনের সুযোগ পাবেন আগ্রহী শিক্ষার্থীরা। গত ২৫ মার্চ প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন বস্ত্র অধিদপ্তরের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিতে আবেদনের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। ২০ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। ভর্তি বিজ্ঞপ্তির অন্যান্য শর্ত অপরিবর্তিত আছে।

এর আগের বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন শুরু ও আবেদন জমার দিন পেছানো, নতুন ২টি কলেজ যুক্ত এবং আসন সংখ্যা বৃদ্ধিসহ নানা সংশোধনী আনা হয়েছিল।

আগের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ৩১ মার্চ ছিল আবেদনের সময়। আগে আটটি কলেজের শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হতো। পরে নতুন দুটি কলেজ যুক্ত হয়েছে। এ জন্য আসন ২৪০টি বেড়েছে।

আরও পড়ুনযুক্তরাজ্যর ইন্টারন্যাশনাল এক্সিলেন্স স্কলারশিপ, ৫০০ বৃত্তি, নেতৃত্বের গুণাবলি ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে বিশেষ সুবিধা০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

নতুন দুটি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হলো মাদারীপুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও সিলেট টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। এ দুটি কলেজে ১২০ জন মোট ২৪০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন।

চার বছর মেয়াদি বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সটি বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন বস্ত্র অধিদপ্তর পরিচালিত। দেশের ১০টি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে নেওয়া হবে শিক্ষার্থী ভর্তি। এসব কলেজে ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং, ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং ও অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পান। পড়াশোনা শেষে টেক্সটাইল মিল, কারখানা, বায়িং হাউস, মানবসম্পদ, ফ্যাশন ডিজাইনিং, বিপণন—সবখানেই টেক্সটাইল প্রকৌশলীদের কাজের সুযোগ রয়েছে।

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পর্কে প্রচলিত ধারণা হচ্ছে যে, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা কাপড় বানানো শেখানো হয়। আসলে এ বিষয়ের সঙ্গে কাপড় বানানোর সম্পর্ক তেমন নেই। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মূলত টেক্সটাইলের মৌলিক বিষয়গুলো পড়ানো হয়। তন্তু থেকে কাপড় বানানোর উপযোগী সুতা তৈরি, কিংবা একটি ফেব্রিককে আরামদায়ক করার জন্য যেসব পদ্ধতি রয়েছে, সেসব বিষয়ও পড়ানো হয়। অদাহ্য, তাপরোধী, রাসায়নিকরোধী কিংবা পানিরোধী ফেব্রিকের সম্ভাবনা ও ব্যবহার-এই সবকিছুই পড়ানো হয় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। এটি শুধু প্রকৌশল নয়, দৈনন্দিন জীবনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পোশাক থেকে শুরু করে বিশেষায়িত (যেমন অগ্নিনির্বাপণকর্মীদের জন্য জ্যাকেট কিংবা মহাকাশচারীদের স্যুট) সবকিছুই টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অন্তর্ভুক্ত। পৃথিবীর ৮০০ কোটির বেশি মানুষের জন্য এই বিশাল টেক্সটাইল খাতের জোগান দিতে গিয়ে পরিবেশের ওপর যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে, সেটা প্রতিরোধ করাও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অংশ। নিত্যনতুন ডিজাইনের ফ্যাশন উদ্ভাবন থেকে শুরু করে যন্ত্রের রক্ষণাবেক্ষণ কিংবা তৈরি পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করা-সবকিছুই পড়ানো হয় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে।

আরও পড়ুনইতালির বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি, টিউশন ফি মওকুফসহ নানা সুযোগ-সুবিধা১৫ জানুয়ারি ২০২৫১০টি কলেজ হলো—

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, জোরারগঞ্জ, মিরসরাই, চট্টগ্রাম

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, পাবনা

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী

শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, সি অ্যান্ড বি রোড, বরিশাল

শেখ কামাল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, সদর, ঝিনাইদহ

ড.

এম এ ওয়াজেদ মিয়া টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, পীরগঞ্জ, রংপুর

শেখ রেহানা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, গোপালগঞ্জ এবং

শেখ হাসিনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, মেলান্দহ, জামালপুরে

মাদারীপুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, শিবচর, মাদারীপুরে

সিলেট টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, সিলেটে

মোট আসন–

প্রতিটি কলেজে ১২০ জন করে ১০টি কলেজে মোট ১২০০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন। এসব কলেজের প্রতিটিতে ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ৩০ জন, ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ৩০, ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ৩০ ও অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ৩০ জন করে শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন।

আবেদনের যোগ্যতা—

১.

প্রার্থীকে দেশের যেকোনো শিক্ষা বোর্ড থেকে বিজ্ঞান বিভাগে ২০২৩ বা ২০২৪ সালে এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় গ্রেডিং পদ্ধতিতে ৫ স্কেলে জিপিএ কমপক্ষে ৪ পেয়ে পাস হতে হবে। অথবা বিদেশি শিক্ষা বোর্ড থেকে সমমানের পরীক্ষায় সমতুল্য গ্রেড পেয়ে পাস করতে হবে।

২.

এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে চতুর্থ বিষয়সহ মোট জিপিএ ৮ পেতে হবে।

৩.

আবেদনকারীকে এইচএসসি পরীক্ষায় গণিত, পদার্থ ও রসায়নে আলাদাভাবে ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০ থাকতে হবে এবং ইংরেজিতে ৩ গ্রেড পয়েন্টসহ উল্লিখিত বিষয়ে মোট গ্রেড পয়েন্ট কমপক্ষে ১৪ থাকতে হবে।

আরও পড়ুনহার্ভার্ডে বৃত্তি নিয়ে এমবিএ’র সুযোগ বাংলাদেশিদের ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আবেদন ফি

১০০০ টাকা।

আবেদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তারিখ—

আবেদন ও পরীক্ষার ফি জমা শুরু: ১৭ ফেব্রুয়ারি, সকাল ১০টা থেকে

আবেদন শেষ: আগামী ২০ এপ্রিল, দুপুর ১২টা পর্যন্ত

প্রবেশপত্র ডাইনলোড শুরু: আগামী ২৯ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে

প্রবেশপত্র ডাইনলোড শেষ: আগামী ৯ মে, রাত ১২টা পর্যন্ত। রঙিন প্রিন্ট নিতে হবে।

ভর্তি পরীক্ষা: ১০ মে (শনিবার)। সকাল ১০টায় শুরু হবে পরীক্ষা। পরীক্ষা হবে ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট।

নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা: ১৩ মে তারিখের মধ্য বস্ত্র অধিদপ্তরের ও কলেজগুলোর ওয়েবসাইট এবং নোটিশ বোর্ড।

ভর্তি পরীক্ষার বিষয়

*গণিত ৬০, পদার্থবিজ্ঞান ৬০, রসায়ন ৬০, ইংরেজি ২০–সহ মোট ২০০ নম্বরে ভর্তি পরীক্ষা হবে। ২০২৪ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় নির্ধারিত সিলেবাস অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষা হবে এমসিকিউ পদ্ধতিতে। ১০০ প্রশ্নের প্রতিটির মান ২ করে। পরীক্ষা হবে ১ ঘণ্টা ২০ মিনিটে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য দশমিক ৫ নম্বর করে কাটা যাবে।

**ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তির আবেদনের বিজ্ঞপ্তি দেখুন এখানে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ক ষ য় র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্র্যাক ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে

চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্র্যাক ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে। এপ্রিল–জুন প্রান্তিকে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৫৪ পয়সা। গত বছরের একই সময় যা ছিল ১ টাকা ২৫ পয়সা।

এ ছাড়া বছরের প্রথম ছয় মাসেও ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়েছে। বছরের প্রথম ছয় মাসে ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৩ টাকা ৫৬ পয়সা। আগের বছর যা ছিল ২ টাকা ৬২ পয়সা, অর্থাৎ বছরের প্রথম ছয় মাসে ব্র্যাক ব্যাংকের আর্থিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। মূলত ব্যাংকের বিনিয়োগ ও সুদ আয় বৃদ্ধির কারণে ইপিএস বেড়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক ঘোষণায় এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ওয়েবসাইটের তথ্যানুসারে, জানুয়ারি-জুন সময়ে শেয়ারপ্রতি নিট নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা ২৪ পয়সা, আগের বছর যা ছিল ৩০ টাকা ৯৯ পয়সা। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, আমানত সংগ্রহ ও ব্যাংকঋণ বৃদ্ধির কারণে নগদ প্রবাহ বেড়েছে। তবে আগের বছরের তুলনায় ঋণ বিতরণে কিছুটা ধীরগতি দেখা গেছে।

অন্যদিকে ৩০ জুন ২০২৫ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদের মূল্য (এনএভি) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ টাকা ৬০ পয়সা। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর যা ছিল ৩৯ টাকা ৩৮ পয়সা। নিট মুনাফা ও সরকারি সিকিউরিটিজের পুনর্মূল্যায়নের ফলে এ বৃদ্ধি হয়েছে বলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

২০২৪ সালের জন্য ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ও ১২ দশমিক ৫ শতাংশ স্টক। ২০২৪ সালে ব্র্যাক ব্যাংক সমন্বিতভাবে আগের বছরের তুলনায় ৭৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে। ফলে তাদের কর-পরবর্তী নিট মুনাফা (এনপিএটি) হয়েছে ১ হাজার ৪৩২ কোটি টাকা, ২০২৩ সালে যা ছিল ৮২৮ কোটি টাকা। একক ভিত্তিতে কর-পরবর্তী নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২১৪ কোটি টাকা, যেখানে আগের বছরের ৭৩০ কোটি টাকার তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬৬ শতাংশ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাইয়ের ৩০ দিনে রেমিট্যান্স ২৩৬ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে
  • নির্বাচনের রোডম্যাপে কবে যাত্রা শুরু করবে বাংলাদেশ
  • ভারতের ৬ প্রতিষ্ঠানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
  • এ দেশে খুচরা ব্যাংকিং বন্ধ করে দিচ্ছে এইচএসবিসি
  • রাবিপ্রবির ১০ শিক্ষার্থীর সনদ-ছাত্রত্ব বাতিল
  • জন্মহার বাড়াতে চীনের নতুন উদ্যোগ, শিশুদের জন্য মা-বাবা পাবেন ভাতা
  • সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১২ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা
  • ‘রাষ্ট্রীয় শোক’ প্রত্যাখ্যান
  • জাতিসংঘ স্থায়ী মিশনে জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে বিশেষ অনুষ্ঠান
  • দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্র্যাক ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে