পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে চট্টগ্রাম র‌্যাব-৭ কঠোর নিরাপত্তা প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীসহ বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় র‌্যাবের নিয়মিত টহল এবং সাদা পোষাকে গোয়েন্দা নজরধারী বৃদ্ধি করা হয়েছে। 

ঘরমুখো মানুষ যেন নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে প্রিয়জনদের সাথে ঈদ উদযাপনের লক্ষ্যে তাদের বাড়িতে যেতে পারে সে লক্ষ্যে র‌্যাব নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। 

রবিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে.

কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান পিএসসি নগরীর প্রধান ঈদ জামাত মাঠ পরিদর্শন করেন এবং গৃহীত বিভিন্ন নিরাপত্তা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন। 

র‌্যাব-৭ অধিনায়ক জানান, ঈদ-উল-ফিতরকে কেন্দ্র করে ঘরমুখো মানুষ যেন কোন ডাকাতি, চুরি, ছিনতাই, মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টিসহ কোন অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতিতে না পড়ে সেজন্য র‌্যাব-৭ এর দায়িত্বপূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা বিশেষ করে চট্টগ্রামের অলংঙ্কার, একে খাঁন বাসস্ট্যান্ড, এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে। 

এছাড়াও বাসের টিকেট সিন্ডিকেট, কালোবাজারি কিংবা বিআরটিএ কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায় প্রভৃতি অপরাধ প্রতিরোধে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালানা করছে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় এবং যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে র‌্যাব দায়িত্বপূর্ণ এলাকার বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত চেকপোস্ট পরিচালনা করছে। 

এছাড়া ঈদ পরবর্তী র‌্যাব-৭ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকার বিভিন্ন সড়ক ও মহল্লায় ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, দস্যুতা ও যে কোন ধরনের অনাকাঙ্খিত অপরাধ প্রতিরোধেও বিশেষ টহল ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে। 

অজ্ঞান পার্টি এবং মলম পার্টি ছাড়াও বিভিন্ন অপরাধী চক্রকে প্রতিহত করতে বিশেষ নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এ ধরনের অপতৎপরতার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা। 

ঈদ জামাতকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের নাশকতা-হামলা, যেকোনো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নকারী তথ্য ও গুজব প্রতিরোধ করতে র‌্যাব-৭ প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়াও ঈদ পরবর্তী বিনোদন কেন্দ্র, পার্ক, চিড়িয়াখানায় ঘুরতে গিয়ে কেউ যেন কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। যেকোন উদ্বুব্ধ পরিস্থিতি মোকাবেলায় র‌্যাব-৭ এর পর্যাপ্ত রিজার্ভ ফোর্স প্রস্তুত রয়েছে। 

র‌্যাব জানিয়েছে ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম কর্তৃক নিরাপত্তা কার্যক্রম চলমান থাকবে। এছাড়াও যেকোন সহিংসতা বা নাশকতার বিরুদ্ধে র‌্যাব কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে বদ্ধপরিকর। এবারের ঈদ-উল-ফিতর শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন নিশ্চিতকল্পে র‌্যাব-৭ এর সর্বোচ্চ সচেষ্ট অব্যাহত থাকবে।

ঢাকা/রেজাউল/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ব ৭ এর ব যবস থ দ র কর ধরন র

এছাড়াও পড়ুন:

গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাবি শিবিরের ৩ দিনব্যাপী কর্মসূচি

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা।

বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন শাখা সভাপতি এসএম ফরহাদ।

আগামী ৫, ৬ ও ৭ আগস্ট এই কর্মসূচিগুলো অনুষ্ঠিত হবে। আয়োজনে থাকছে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, বিপ্লবী নাটক, গান, কবিতা, আলোচনা সভা ও বিশেষ চিত্র প্রদর্শনী। কর্মসূচির সূচনা হবে ৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) ভোর ৫টায় প্রতীকী সাইকেল র‌্যালির মাধ্যমে, যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে গণভবন পর্যন্ত যাবে।

আরো পড়ুন:

মেয়াদোত্তীর্ণ অগ্নিনির্বাপকে চলছে বেরোবি

তাহলে তো স্পন্সর নিয়ে প্রোগ্রাম করলেই চাঁদাবাজি: সালাউদ্দিন

সকাল ৯টায় টিএসসিতে থাকবে সাধারণ নাস্তার আয়োজন। এর পরপরই প্রদর্শিত হবে ‘জুলাই বিপ্লব’ ভিত্তিক একটি প্রামাণ্যচিত্র। একইসঙ্গে বিপ্লবী গান ও কবিতা পরিবেশিত হবে । সকাল ১০টা থেকে শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের মুখে অভ্যুত্থানের অভিজ্ঞতা শোনার আয়োজন থাকবে।

দুপুর ২টায় একটি মাইম পরিবেশনা ও নাটক মঞ্চস্থ হবে। এরপর বিকেল সাড়ে ৩টা ও সাড়ে ৫টায় পরপর আরো দুটি নাটক প্রদর্শিত হবে। সন্ধ্যা ৬টায় ব্যতিক্রমী আয়োজন ‘প্ল্যানচ্যাট বিতর্ক’ অনুষ্ঠিত হবে। এটি একটি প্রতীকী বিতর্ক, যেখানে গণআন্দোলনে নিহতদের উত্তরাধিকার ও আত্মিক উপস্থিতিকে ঘিরে আলাপ-প্রতিআলাপের একটি রূপক পরিসর গড়ে উঠবে ।

৬ আগস্ট দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচির শুরুতেই থাকবে রাজনৈতিক ও দার্শনিক আলোচনা সভা। সকাল ১০টার দিকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও ফ্যাসিবাদ পলায়নের ১ বছর: প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিকেল ৩টার দিকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী ছাত্ররাজনীতি ও ডাকসু নির্বাচন’ বিষয়ে আলোচনা হবে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ‘নয়া রাজনৈতিক বন্দোবস্তে ইসলাম প্রসঙ্গ’ শীর্ষক মতবিনিময়ের মাধ্যমে পর্দা নামবে দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচির।

কর্মসূচির তৃতীয় দিন ৭ আগস্ট দিনব্যাপী চলবে বিশেষ চিত্র প্রদর্শনী ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন। সেখানে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ ও গণআন্দোলন সংশ্লিষ্ট নানা দলিল, ছবি ও ভিডিও উপস্থাপন করা হবে।

সার্বিক বিষয়ে ঢাবি শাখা ছাত্রশিবির সভাপতি এসএম ফরহাদ বলেন, “২০২৪ সালের জুলাই মাসে ঘটে যাওয়া গণজাগরণ ও ছাত্র প্রতিরোধ ছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অনন্য মাইলফলক। সেই ঘটনার স্মরণে এবং তা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের পথরেখা নির্ধারণের প্রয়াসে ঢাবির টিএসসি প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাবি শাখা আয়োজন করতে যাচ্ছে তিন দিনব্যাপী ‘আমরাই ৩৬ জুলাই: আমরা থামবো না’ শীর্ষক অনুষ্ঠান।”

তিনি বলেন, “এ আয়োজন হবে শিল্প, সংস্কৃতি, স্মৃতি ও রাজনৈতিক ভাবনার এক সংমিশ্রণ। জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের অভিজ্ঞতা আমাদের অনুপ্রেরণা। আর সংস্কৃতির মাধ্যমে আমরা সেই প্রতিরোধ চেতনাকে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই।”

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফতুল্লায় যুবদল নেতা শাহিনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া  
  • শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জেলা আইনজীবী ফোরামের পদযাত্রা
  • রাবি উপাচার্যের চেয়ার টেনে পদ্মায় ফেলার আহ্বান ছাত্রদল সভাপতির
  • জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা
  • গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাবি শিবিরের ৩ দিনব্যাপী কর্মসূচি