নাটোরের লালপুর উপজেলায় ঈদের নামাজ শেষে জয় বাংলা স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। 

সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লালপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ঈদগাহে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঈদের নামাজ শেষে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে থাকেন। এসময় বিএনপি ও স্থানীয়দের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। 

সংঘর্ষে রামকৃষ্ণপুর গ্রামের লুতফর হোসেনের ছেলে সাব্বির হোসেন (২৪)- সহ ৩ জন আহত হন। তাদেরকে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

ঘটনার প্রতিবাদে লালপুর ইউনিয়ন বিএনপি এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ আয়োজন করে। সমাবেশে বক্তব্য দেন সাবেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আশরাফুল ইসলাম লুলু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি, বিএনপি নেতা এটিএম জাহিদুল আলম ডলার ও জিয়া। তারা অভিযোগ করেন, ফ্যাসিবাদী শক্তি পরিকল্পিতভাবে ঈদের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে এবং প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে, যা জনমনে প্রশ্ন সৃষ্টি করেছে।

বিএনপি নেতারা হুঁশিয়ারি দেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হক বলেন, “এমন কোনো বড় ঘটনা ঘটেনি। একজন যুবক জয় বাংলা স্লোগান দেওয়ায় আরেকজনের সঙ্গে সামান্য ঝামেলা হয়েছে। এখানে আওয়ামী লীগ বা যুবলীগের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।”

এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ঢাকা/আরিফুল/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

ক্যাম্পাসে যাওয়ার পথে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে ইবি শিক্ষার্থী নিহত

কুষ্টিয়া থেকে ক্যাম্পাসে যাওয়ার পথে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে রাশেদুল ইসলাম নামে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরো দুই শিক্ষার্থী।

গতকাল সোমবার ভোর ৫টার দিকে কুষ্টিয়া থেকে ক্যাম্পাসে যাওয়ার পথে বিত্তিপাড়া নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত রাশেদুল আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

আহতরা হলেন, আল ফিকহ অ্যান্ড ল বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুর রাজ্জাক ও ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের আবু নাইম।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুস সালাম।

সহপাঠীরা জানান, রাশেদ রোববার রাতের ট্রেনে জয়পুরহাট থেকে পোড়াদহ আসেন। পরে সেখান থেকে কুষ্টিয়ায় গিয়ে শ্যামলী পরিবহনের বাসে করে ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন। পথে বিত্তিপাড়ায় বাসটির সঙ্গে একটি ট্রাকের ধাক্কা লাগে। এসময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে গিয়ে মুখে ও হাতে গুরুতর আঘাত পান তিনি।

পরে আহত অবস্থায় পরে তাকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

রাশেদের সহপাঠী তানভির মাহমুদ জানান, রাশেদের মুখের চোয়াল দুই/তিন খণ্ড হয়ে গেছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া পর্যন্ত তার জ্ঞান ছিল। পরে প্রায় আধাঘণ্টা পর ডাক্তার পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

একই বাসে মারাত্মক আহত হন আল ফিকহ অ্যান্ড ল বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুর রাজ্জাক। তবে তিনি এখন শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. হোসেন ইমাম বলেন, এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা। একজন মারা গেছে, আরেকজন শঙ্কামুক্ত। তবে ৪৮ ঘণ্টার আগে বলা যাচ্ছে না, চিকিৎসা চলছে। কেউ ক্লেইম না করায় আপাতত মরদেহের পোস্টমর্টেম করছি না।

অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম বলেন, দুর্ঘটনার কবলে পড়ে রাশেদুলের মৃত্যু হয়েছে। গোসল ও দাফনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তার মৃত্যুতে আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ শোকাহত।

এদিকে রাশেদুলের মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া এক শোকবার্তায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ