মিয়ানমারে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দ্বিতীয় দফায় জরুরি ওষুধ ও ত্রাণসামগ্রী পাঠিয়েছে বাংলাদেশ।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশনায় মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর তিনটি পরিবহন বিমানে করে এসব ত্রাণসামগ্রী ও ওষুধ পাঠানো হয়।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এই তথ্য জানিয়েছে। 

এই মিশনে তিন বাহিনীর উদ্ধারকারী বিশেষজ্ঞ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের চিকিৎসক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিকিৎসক এবং বেসামরিক চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত ৫৫ সদস্যের একটি দল রয়েছে। এছাড়া, তিনটি বিমানে ৩৭ জন ক্রু রয়েছেন।


উদ্ধারকারী ও মেডিকেল দলের সদস্যরা তাদের নিজেদের প্রয়োজনীয় খাবার, স্বাস্থ্যবিধির সরঞ্জাম, যোগাযোগ সরঞ্জাম এবং রান্নার বাসনসহ প্রয়োজনীয় যাবতীয় জিনিসপত্র সঙ্গে নিয়েছেন।

ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে আট টন শুকনো খাবার, আড়াই টন পানি, চার টন ওষুধ, এক টন স্বাস্থ্যবিধি সামগ্রী এবং ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য দেড় টন তাঁবু। 

এর আগে, গত রবিবার বাংলাদেশ থেকে ওষুধ, তাঁবু, শুকনো খাবার ও মেডিকেল টিমসহ জরুরি ত্রাণ সামগ্রীর প্রথম চালান মিয়ানমারে পাঠানো হয়।
শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে মিয়ানমারে। এর কেন্দ্রস্থল ছিল দেশটির উত্তর-পশ্চিমের শহর সাগাইং থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে। এলাকাটি রাজধানী নেপিদো থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উত্তরে।  

সোমবার পর্যন্ত ২ হাজার ৫৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন প্রায় ৩০০ জন। আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৯০০ জন।

ঢাকা/হাসান/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

রংপুরে আবু সাঈদ হত্যা: এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাইদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার তদন্ত এক মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আগামী ১৪ জুলাই এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

আজ রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর এস এম মঈনুল করিম।

তিনি বলেন, আবু সাঈদ হত্যা মামলার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। আমরা আশা করছি দুই সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে পারব।

এর আগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাইদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায়  ৪ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

এদিন সকালে প্রিজনভ্যানে করে সাবেক এসআই আমির হোসেন, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী আকাশকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

গত ৯ এপ্রিল জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাইদ হত্যার ঘটনায় ৪ জনকে হাজির করার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে ১৫ জুনের মধ্যে এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ