মিয়ানমারে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দ্বিতীয় দফায় জরুরি ওষুধ ও ত্রাণসামগ্রী পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশনায় আজ মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর তিনটি পরিবহন বিমানে করে ১৫ টন ত্রাণসামগ্রী ও ওষুধ পাঠানো হয়।

এই মিশনে তিন বাহিনীর উদ্ধারকারী বিশেষজ্ঞ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের চিকিৎসক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিকিৎসক এবং বেসামরিক চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত ৫৫ সদস্যের একটি দল রয়েছে। এছাড়াও তিনটি বিমানে ৩৭ জন ক্রু সদস্য রয়েছেন। উদ্ধারকারী ও মেডিকেল দলের সদস্যরা তাদের নিজেদের প্রয়োজনীয় খাবার, স্বাস্থ্যবিধির সরঞ্জাম, যোগাযোগ সরঞ্জাম এবং রান্নার বাসনসহ প্রয়োজনীয় যাবতীয় জিনিসপত্র সঙ্গে নিয়েছেন। ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে আট টন শুকনো খাবার, আড়াই টন পানি, চার টন ওষুধ, এক টন স্বাস্থ্যবিধি সামগ্রী এবং ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য দেড় টন তাঁবু।

এর আগে, গত রোববার বাংলাদেশ থেকে ওষুধ, তাঁবু, শুকনো খাবার ও মেডিকেল টিমসহ জরুরি ত্রাণ সামগ্রীর প্রথম চালান মিয়ানমারে পাঠানো হয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ভ ম কম প

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ