Risingbd:
2025-08-01@09:13:07 GMT

তিন জেলায় সংঘর্ষে আহত ১৩০

Published: 1st, April 2025 GMT

তিন জেলায় সংঘর্ষে আহত ১৩০

ঈদের পর দিন তিন জেলায় ভিন্ন ভিন্ন কারণে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ১৩০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) বিভিন্ন সময় এসব সংঘর্ষ হয়।

সংঘর্ষে সবচেয়ে বেশি আহত হয়েছে হবিগঞ্জে, ৭০ জন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আহত গোপালগঞ্জে, ৪০ জন। রাইজিংবিডির প্রতিনিধিরা এ সংক্রান্ত খবর পাঠিয়েছেন।

হবিগঞ্জ

হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় সালিশ বৈঠক চলাকালে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। উপজেলার পূর্ব তেঘরিয়া দর্জিহাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

লাখাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বন্দে আলী বলেন, ‘‘দুপক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’’

অপরদিকে, হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুরে মাজারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। মাধবপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহনূর বলেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়নের কালিকাপুর মাজার নিয়ন্ত্রণ করতেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা মাজারটি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া চেষ্টা করেন। এর এক পক্ষে নেতৃত্ব দেন যুবদল নেতা নজরুল গাজী, অপর পক্ষে বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট সাজিদুল ইসলাম সজল। মঙ্গলবার দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়।

গোপালগঞ্জ

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘‘সকালে বর্ষাপাড়া গ্রামের সিরাজ ফকির বাড়ির পাশের একটি জমিতে মাছের ঘের করতে যান। এসময় একই বংশের গাউস ফকির বাঁধা দিলে উভয়ের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রায় ঘন্টাব্যাপী ধরে চলা এ সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে, ১২ জনকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’’

অপরদিকে, গোপালগঞ্জে টুঙ্গিপাড়ায় মসজিদের জায়গায় রাস্তা নেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন।

টুঙ্গিপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নয়ন দেবনাথ বলেন, ‘‘প্রায় ৩৫ বছর আগে সড়াইডাঙ্গা গ্রামের আবু তালেব বিশ্বাস ননীগোপালপুর সড়াইডাঙ্গা মাদ্রাসায় ৪ কাঠা জমি দান করেন। মঙ্গলবার স্থানীয়রা মাদ্রাসার জায়গায় সীমানা খুঁটি লাগাতে গেলে আবু তালেব বিশ্বাসের ছেলে হাসান বিশ্বাস বাধা দিয়ে জায়গা দিতে অস্বীকার করে রাস্তা বানাতে চান। এ নিয়ে হাসান বিশ্বাসের সঙ্গে স্থানীয়দের কথা কাটাকাটি হয়। পরে হাসান বিশ্বাসের সমর্থকদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ হয়। এতে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন।’’

সুনামগঞ্জ

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে ধান শুকানোর জায়গা দখল নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। শান্তিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আকরাম আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, রঘুনাথপুর গ্রামের জাকির হোসেন ও শাহ আলম পক্ষের মধ্যে পূর্ব বিরোধ ছিল। মঙ্গলবার ধান শুকানোর জায়গা দখল নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান তারা। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

ঢাকা/মামুন/বাদল/মনোয়ার/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ প লগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে

১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।

এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।

স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ