বিলাসবহুল ফ্ল্যাট বিক্রি করে দিলেন শাহরুখ খানের স্ত্রী গৌরি খান। আড়াই বছরের ব্যবধানে ফ্ল্যাটটি বিক্রি করে মোটা অঙ্কের অর্থ লাভ করেছেন এই ইন্টেরিয়র ডিজাইনার। ইন্ডিয়া টিভি এ খবর প্রকাশ করেছে।

এ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মুম্বাইয়ের পশ্চিম দাদরে অবস্থিত কোহিনূর আলটিসিমো ভবনে ছিল গৌরি খানের বিলাসবহুল ফ্ল্যাটটি। কিছুদিন আগে শাহরুখ খান তার পরিবার নিয়ে ‘মান্নাত’ ছেড়ে অন্য একটি ফ্ল্যাটে উঠেছেন। ‘মান্নাত’ সংস্কারের জন্য অন্যত্র বসবাস করছেন তারা। ‘মান্নাত’ ছাড়ার পরই ফ্ল্যাটটি বিক্রি করেন গৌরি। গত মার্চ মাসে রেজিস্ট্রি করে দেন গৌরি।

১৯৮৫ স্কয়ার ফুটের ফ্ল্যাটের কার্পেট এরিয়া ১৮০৩ স্কয়ার ফুট। ফ্ল্যাটটির দুটো পার্কিং স্পেস সুবিধাও রয়েছে। ২০২২ সালের আগস্ট ৮ কোটি ৫০ লাখ রুপিতে কিনেছিলেন গৌরি। আড়াই বছর পর ১১ কোটি ৬১ লাখ রুপিতে ফ্ল্যাটটি বিক্রি করলেন তিনি। তবে কী কারণে ফ্ল্যাট বেচে দিলেন তা জানা যায়নি।

আরো পড়ুন:

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চাঁদের হাট বসল ইডেনে

শাহরুখ-সালমানের আয়ু নিয়ে জ্যোতিষীর বিস্ফোরক মন্তব্য

প্রাসাদোপম ‘মান্নাত’ ছেড়ে শাহরুখ খান বান্দ্রার পালি হিলের অভিজাত অ্যাপার্টমেন্টে পরিবার নিয়ে উঠেছেন। ডুপ্লেক্স এই অভিজাত অ্যাপার্টমেন্টে বসবাস করছেন— শাহরুখ খান, স্ত্রী গৌরী খান, মেয়ে সুহানা আর দুই ছেলে আরিয়ান- আব্রাম।

অ্যাপার্টমেন্ট দুটো তিন বছরের জন্য ভগনানি পরিবারের কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছেন শাহরুখ। ভাড়া বাবদ তাকে গুনতে হবে ৯ কোটি রুপি। চলতি বছরের শেষের দিকে ‘মান্নাত’-এর সংস্কারকাজ শুরু হবে। দুই বছর ধরে চলবে সংস্কারকাজ।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম মো. আরিফুল। শুক্রবার বেলা এগারোটার দিকে তিনি ভবন থেকে পড়ে যান বলে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক নিংতম বলেন, বেলা এগারোটার দিকে কয়েকজন ওই শ্রমিককে নিয়ে আসেন। অবস্থা গুরুতর দেখে তখনই তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

নির্মাণাধীন ভবনটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মোমিনুল করিম শুক্রবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ভবনটির নির্মাণকাজ বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। তবে কিছু শ্রমিক ওই ভবনে থাকেন। দুপুরের দিকে তিনি জানতে পারেন একজন শ্রমিক ভবন থেকে পড়ে গেছেন। তাঁকে এনাম মেডিকেলে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিলো। সন্ধ্যাবেলায় তাঁকে জানানো হয় ওই শ্রমিক মারা গেছেন।

তবে এনাম মেডিকেলের ডিউটি ম্যানেজার সুলতান প্রথম আলোকে বলেন, জাহাঙ্গীরনগর থেকে একজন রোগীকে আনা হয়েছিল। উনি ছাদ থেকে পড়ে গেছেন বলে জানানো হয়। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তিনি মারা যান।

শুক্রবার রাত পৌনে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম রাশিদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আধা ঘণ্টা আগে খবর পেয়েছি। সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এমন একটি ঘটনা আমাদের আগে জানানো হয়নি কেন, তা জিজ্ঞাসা করেছি। বিষয়টি প্রো-ভিসি (এডমিন) দেখছেন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ