লালপুরে মসজিদের ডিজিটাল বোর্ডে ভেসে উঠল ‘জয় বাংলা’
Published: 2nd, April 2025 GMT
নাটোরের লালপুর উপজেলার বালিতিতা পশ্চিমপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ডিজিটাল সাইনবোর্ডে ‘জয় বাংলা’ লেখা ভেসে উঠেছে। এতে লেখা ছিল ‘বাংলা আমার অহংকার, তাই বাংলার দিকে যে তাকাবে তার চোখ উপড়ে নেওয়া হবে, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’
বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় মসজিদটির ডিজটাল সাইনবোর্ডে এই লেখা ভেসে ওঠে।
পরে মসজিদ কতৃপক্ষ সাইনবোর্ডের বৈদ্যুতিক সুইচ বন্ধ করে দিলে তা আর দেখা যায়নি।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মসজিদ কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক বলেন, মসজিদের ডিজিটাল সাইনবোডে লেখাটি দেখার সঙ্গে সঙ্গেই সাইনবোর্ডটি বন্ধ করে নামিয়ে ফেলেছে মসজিদ কর্তৃপক্ষ। তবে মসজিদের ডিজিটাল সাইনবোর্ডে এমন লেখা কী করে আসলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জড়িত অপরাধীদের গ্রেপ্তারে কাজ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এরআগে, ঈদের দিন বালিতিতা পশ্চিমপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশে রামকৃষ্ণপুরে ঈদের নামাজের পর জয় বাংলা স্লোগান দেওয়া নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুইজন গুলিবিদ্ধসহ পাঁচ জন আহত হন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: মসজ দ র ড জ ট ল ট ল স ইনব স ইনব র ড
এছাড়াও পড়ুন:
চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল: মধু
বলিউড অভিনেত্রী মধু শাহ। নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী মধু নামেই পরিচিত। মনি রত্নম নির্মিত ‘রোজা’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। নব্বই দশকে একটি সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেন মধু, যা ভীষণ তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
কয়েক দিন আগে নিউজ১৮-কে সাক্ষাৎকার দেন মধু। এ আলাপচারিতা তিনি বলেন, “আজকাল সিনেমায় যে ধরনের চুম্বন দৃশ্য দেখা যায় এটি তেমন ছিল না। এটি ঠোঁটে খোঁচা দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা ছিল। সত্যি এটি আমার খারাপ লেগেছিল।”
চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল। তা জানিয়ে মধু বলেন, “শুটিং শুরু করার আগে আমাকে চুমু খেতে বলা হয়। কিন্তু তার আগে এ বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি। এ নিয়ে যখন প্রশ্ন করি, তখন তারা আমাকে পাশে নিয়ে গিয়ে কথা বলে। তারা আমাকে ব্যাখ্যা করে, এই দৃশ্যটি কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং সেই কারণেই আমি চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করি। কিন্তু এটা ছিল আমার করা সবচেয়ে ভয়ংকর কাজ।”
চুম্বন দৃশ্যে যখন অভিনয় করেন, তখন মধুর বয়স ছিল ২২ বছর। তা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যটির কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। সিনেমায় দৃশ্যটি অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য পরিচালকের সঙ্গে কোনো কথাও হয়নি। আমি এটি এড়িয়ে গিয়েছিলাম। কেবল বয়সের দিক দিয়ে নয়, আমি সবদিক থেকেই তখন খুব ছোট ছিলাম। এখনকার ২২-২৪ বছর বয়সি ছেলে-মেয়েরা ভীষণ চালাক। কিন্তু ২২ বছর বয়সে আমি খুব বোকা ছিলাম।”
১৯৯৬ সালে দীপা মেহতা নির্মাণ করেন ‘ফায়ার’ সিনেমা। এতে শাবানা আজমি, নন্দিতা দাস সমকামী চরিত্রে অভিনয় করেন। এ সিনেমা পর্দার ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে মধুর ধারণা বদলে দিতে শুরু করে। এ তথ্য উল্লেখ করে মধু বলেন, “আমি বলছি না, পর্দায় চুম্বন করা খারাপ। ‘ফায়ার’ সিনেমায় যখন শাবানাজির মতো অভিনেত্রীর অভিনয় দেখি, তখন আমার মনে হয়েছিল সত্যি তারা তাদের প্রতিবন্ধকতা ভেঙে ফেলেছেন, যা আমি তখন করতে পারিনি। আমি সেই সব শিল্পীদের প্রশংসা করি, যারা মাথা ন্যাড়া করতে পারেন বা সিনেমায় সমকামীর ভূমিকায় অভিনয় করতে পারেন।”
১৯৯১ সালে তামিল ভাষার সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন মধু। একই বছর ‘ফুল আউর কাঁটা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন এই অভিনেত্রী। হিন্দি সিনেমায় পা রেখেই নজর কাড়েন। ৫৬ বছরের মধু অভিনয়ে এখন খুব একটা সরব নন। তবে প্রতি বছরে দুই একটা সিনেমায় দেখা যায় তাকে।
ঢাকা/শান্ত