হয়ে গেল বাবা-মায়ের শেষকৃত্য, আরাধ্য জানল না কিছুই
Published: 3rd, April 2025 GMT
সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ৬ বছরের শিশু আরাধ্য। বুধবার একই ঘটনায় মারা যান আরাধ্যর বাবা দিলীপ কুমার ও মা সাধনা রানী। আজ সকালেই সম্পন্ন হয়েছে তাদের শেষকৃত্য। অথচ একমাত্র মেয়ে জানে না তার সঙ্গে আর কোনোদিন দেখা হবে না বাব-মার। মামাও বেঁচে না থাকায় আরাধ্যর এখন একমাত্র ভরসা বৃদ্ধ দাদু দুলাল বিশ্বাস।
বন্ধু ও নিকট আত্মীয়দের সঙ্গে মাইক্রোবাসে বুধবার ভোরে ঢাকা থেকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার পথে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান দিলীপ, তার স্ত্রী সাধনা রানী ও সাধনার বড় ভাইসহ ১০ জন। গুরুতর আহতাবস্থায় বেঁচে যায় দিলীপের একমাত্র মেয়ে আরাধ্য ও সাধনার বড় ভাইয়ের ছেলে।
দিলীপের বাল্য বন্ধু শোভন কুমার কাজল বলেন, তারা বুধবার সকাল ১০টার দিকে জানতে পারেন সড়ক দুর্ঘটনায় দিলীপ ও তার স্ত্রী মারা গেছেন। বেঁচে আছে মেয়ে আরাধ্য। এ পরিবারে আরাধ্যর দায়িত্ব নেওয়ার মতো আর কেউ বেঁচে নেই। দিলীপের বাবা বয়স্ক ব্যক্তি। একমাত্র দিলীপ ছিল তাদের ভরসা।
তিনি বলেন, দিলীপের তিন বোনই বিধবা। দুই বোন পশ্চিমবঙ্গে আর এক বোন দেশে থাকেন। তবে তাদেরও আর্থিক অবস্থা ভালো না। আরাধ্যর মামাও একই দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।
আরাধ্যর দাদু দিলীপের বাবা দুলাল বিশ্বাস জানান, তিনি একেবারেই অক্ষম। তারপরও তার এখন বেঁচে থাকার অবলম্বন আরাধ্যকে তার কাছেই রাখবেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন ন হত দ র ঘটন য় একম ত র আর ধ য
এছাড়াও পড়ুন:
নতুন আইফোন কেনার মতো টাকা আয় করতে যুক্তরাষ্ট্রে লাগবে ৫ দিন, বাংলাদেশে কত দিন
ছবি: অ্যাপল