সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ৬ বছরের শিশু আরাধ্য। বুধবার একই ঘটনায় মারা যান আরাধ্যর বাবা দিলীপ কুমার ও মা সাধনা রানী। আজ সকালেই সম্পন্ন হয়েছে তাদের শেষকৃত্য। অথচ একমাত্র মেয়ে জানে না তার সঙ্গে আর কোনোদিন দেখা হবে না বাব-মার। মামাও বেঁচে না থাকায় আরাধ্যর এখন একমাত্র ভরসা বৃদ্ধ দাদু দুলাল বিশ্বাস। 

বন্ধু ও নিকট আত্মীয়দের সঙ্গে মাইক্রোবাসে বুধবার ভোরে ঢাকা থেকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার পথে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান দিলীপ, তার স্ত্রী সাধনা রানী ও সাধনার বড় ভাইসহ ১০ জন। গুরুতর আহতাবস্থায় বেঁচে যায় দিলীপের একমাত্র মেয়ে আরাধ্য ও সাধনার বড় ভাইয়ের ছেলে।

দিলীপের বাল্য বন্ধু শোভন কুমার কাজল বলেন, তারা বুধবার সকাল ১০টার দিকে জানতে পারেন সড়ক দুর্ঘটনায় দিলীপ ও তার স্ত্রী মারা গেছেন। বেঁচে আছে মেয়ে আরাধ্য। এ পরিবারে আরাধ্যর দায়িত্ব নেওয়ার মতো আর কেউ বেঁচে নেই। দিলীপের বাবা বয়স্ক ব্যক্তি। একমাত্র দিলীপ ছিল তাদের ভরসা। 
তিনি বলেন, দিলীপের তিন বোনই বিধবা। দুই বোন পশ্চিমবঙ্গে আর এক বোন দেশে থাকেন। তবে তাদেরও আর্থিক অবস্থা ভালো না। আরাধ্যর মামাও একই দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। 

আরাধ্যর দাদু দিলীপের বাবা দুলাল বিশ্বাস জানান, তিনি একেবারেই অক্ষম। তারপরও তার এখন বেঁচে থাকার অবলম্বন আরাধ্যকে তার কাছেই রাখবেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন ন হত দ র ঘটন য় একম ত র আর ধ য

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’

ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্‌রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ