নোয়াখালীতে যমজ দুই বোনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, কিশোর আটক
Published: 3rd, April 2025 GMT
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় ছয় বছর বয়সী যমজ দুই বোনকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় এক কিশোরকে (১৬) আটক করা হয়েছে। শিশুদের মা বাদী হয়ে গতকাল বুধবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি করেন।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন মিয়া বলেন, নির্যাতনের শিকার শিশু দুটির ডাক্তারি পরীক্ষা আজ বৃহস্পতিবার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে গতকাল নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, গত ২৩ ও ২৫ মার্চ দুই বোন ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। প্রাথমিক অভিযোগ পাওয়ার পর ৩০ মার্চ অভিযুক্ত কিশোরকে আটক করে তারা। পরে তাকে ৫৪ ধারায় আটক দেখিয়ে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। শিশু দুটির মা ওই কিশোরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করার পর তাকে ওই মামলায় আটক দেখানো হয়।
নোয়াখালী কোট পুলিশ পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, দুই বোনকে ধর্ষণের মামলায় আটক কিশোরকে আদালত কারাগারে পাঠান। কারাগারে কিশোর অপরাধীদের সাময়িকভাবে রাখার জন্য একটি কক্ষ রয়েছে। সেখান থেকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কিশোর অপরাধীকে সংশোধনাগারে পাঠানো হয়ে থাকে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর
গাজীপুর নগরের কাশিমপুর শ্মশান মন্দিরে আংশিক প্রস্তুত ছয়টি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। তবে কারা প্রতিমাগুলো ভাঙচুর করেছে, তা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কাশিমপুর শ্মশান মন্দিরে প্রতিবছরের মতো এবারও পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য তৈরি করা হচ্ছিল বিভিন্ন প্রতিমা। প্রতিমাগুলো তখনো পুরোপুরি প্রস্তুত হয়নি, রংও করা হয়নি। গতকাল দুপুরে বৃষ্টি শুরু হলে কারিগর ও মন্দিরসংলগ্ন লোকজন কাজ বন্ধ রেখে চলে যান। পরে সন্ধ্যায় মন্দিরে এসে তাঁরা দেখতে পান, পাঁচ থেকে ছয়টি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
মন্দির কর্তৃপক্ষ জানায়, পূজা শুরু হয়নি বলে এখনো পাহারার ব্যবস্থা করা হয়নি। মন্দিরের আশপাশে সিসিটিভি ক্যামেরাও নেই। কারা প্রতিমাগুলো ভাঙচুর করেছে, তা তারা জানে না। ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিমাগুলো আবার মেরামত করা হবে।
অগ্রগামী যুব সংঘ সার্বজনীন দুর্গাপূজা মন্ডপের সভাপতি প্রবীর দত্ত বলেন, ‘গতকাল পূজা মন্ডপের কাজ শেষে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছিল। বিকেল বেলা কে বা কারা পূজামন্ডপে ঢুকে ৫-৬ টি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে; অন্যগুলো ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্নের মধ্যে আছি।’
কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি, চুরি করতে এসে দুর্বৃত্তরা ভেতরে ঢুকে প্রতিমা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। প্রতিমাগুলোর কাজ এখনো শেষ হয়নি। সেগুলো মেরামতের কথা জানিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’