নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে গ্রাম পুলিশ গ্রেপ্তার
Published: 4th, April 2025 GMT
নাশকতার পরিকল্পনা করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে মাদারীপুরে কামাল সরদার নামের এক গ্রাম পুলিশকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে তার বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার কামাল জেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের চাপাতলী গ্রামের কেরামত সরদারের ছেলে। তিনি একই ইউনিয়নে গ্রাম পুলিশ হিসেবে কর্মরত।
ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নাশকতার পরিকল্পনাকারীদের ধরতে চাপাতলীতে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ। এ সময় নিজ বাড়ি থেকে কামাল সরদারকে (৪০) গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করে তাকে পুলিশ বাদী মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মাদারীপুর সদর থানায় হস্তান্তর করে ডিবি পুলিশ।
স্থানীয়রা জানায়, আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতার ছত্রছায়ায় এলাকায় নানা অপকর্ম করে আসছিলেন কামাল। তার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক, পুলিশ বিভাগসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেন কয়েকজন ভুক্তভোগী। কয়েকবার তাকে সতর্ক করা হলেও কোনো প্রতিকার পাননি বলে জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয় হায়দার হোসেন বলেন, ‘কামাল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হয়ে কাজ করেন। পাশাপাশি মারামারি, মোটরসাইকেল চুরিসহ নানা অপকর্মে তিনি জড়িত। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা আছে।’
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সরদ র
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপির নাম ভাঙিয়ে অপকর্মে জড়িতদের ছাড় নয়: রিজভী
বিএনপির নাম ব্যবহার করে অপকর্মে জড়িতদের কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে গণমাধ্যমকে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেছেন, “সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী জড়িত নয়। যদি কেউ বিএনপির নাম ব্যবহার করে এসব অপকর্মে করে তাদের কোন ছাড় নয়। পাশাপাশি গণমাধ্যমকে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে হবে। একটি অসত্য সংবাদ রাষ্ট্র ও সমাজের মাঝে অনেক বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।”
শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন রিজভী।
কোনো কিছু ঘটলেই বিএনপির ওপর দায় চাপানো যেন কারো কারো অভ্যাসে পরিনণত হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, “সমাজবিরোধী কাজে যেই জড়িত হবে তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে। সরকার কেনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বরং সরকারের মাঝে ঢিলেঢালা ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।”
তিনি বলেন, “রাউজানে কিছু সন্ত্রাসী অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়েছে। অথচ, কয়েকটি গণমাধ্যমে বলা হলো এই অস্ত্রধারীরা বিএনপির লোক! কোনো প্রমাণ ছাড়া এগুলো লেখা দুঃখজনক। এই রাউজানে নানান অভিযোগে অনেক সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
বিএনপি ১৫ বছরের অত্যাচার-অবিচার থেকে মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছে। জুলাই-আগস্টে এ আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ নিয়েছে। মানুষ হয়ত কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিচ্ছে। কিন্তু এখনও আত আতঙ্কমুক্ত নয় বলেও জানান রিজভী।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি দেখা যাচ্ছে না মন্তব্য করে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, “নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যে কৃত্রিমভাবে সংকট সৃষ্টি করছে যারা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। বিশ্ববাজারে যখন গমের দাম কমেছে তখন বাংলাদেশে এর দাম বেড়েছে। জনগণকে নিরাপদ রাখার দায়িত্ব সরকারের। রাষ্ট্র এতে ব্যর্থ হলে যেকোন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সৃষ্টি হতে পারে সামাজিক অস্থিরতা।”
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা