অভিনেতা শামীম হাসান সরকারের বিয়ের খবরের সঙ্গে শুক্রবার (৪ এপ্রিল) আরও একটি বিয়ের চমক ঘটলো। কাছাকাছি সময়ে জানা গেলো, বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হলেন সাম্প্রতিক সময়ের আলোচিত সংগীত পরিচালক আরাফাত মহসিন নিধি ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার রাবা খান বিয়ে করেছেন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক পোস্টে বিয়ের সংবাদ জানান শামীম হাসান সরকার নিজেই। স্ত্রীর সঙ্গে ছবি দিয়ে প্রোফাইল ছবি পরিবর্তন করেছেন তিনি। তাঁর স্ত্রীর প্রোফাইল থেকে জানা গেছে, ফরিদপুরের মেয়ে আফসানা আক্তার প্রীতি পড়াশোনা করছেন ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে।

আফসানার সঙ্গে চার মাস ধরে শামীরের পরিচয়, এরপর পারিবারিকভাবে তাঁদের কথাবার্তা আগায়। দুই পরিবারের সম্মতিতে পরে বিয়েটা পারিবারিকভাবেই সম্পন্ন হয়েছে।

সংগীতাঙ্গনের পরিচিত মুখ আরাফাত মহসিন নিধি। সুরকার ও সংগীত পরিচালক নিধি মাঝেমধ্যে গানও গেয়ে থাকেন। তবে আবহসংগীতের কাজে তাঁর ব্যস্ততা বেশি। অন্যদিকে রাবা খান কনটেন্ট ক্রিয়েটর এবং অভিনয়ও করে থাকেন। চার বছরের প্রেমের সম্পর্ক শেষে গতকাল শুক্রবার বিয়ে করেছেন তাঁরা।

জানা গেছে, গানের সূত্র ধরে সম্পর্কটি চার বছরের চুপি চুপি প্রেমের হলেও গতকাল শুক্রবার বিকেলে তা জমকালো বিয়ের আনুষ্ঠানিকতায় গড়িয়েছে ঢাকার তেজগাঁওয়ের একটি রেস্টুরেন্টে, যেখানে ছিলেন নিধি-রাবা পক্ষের বন্ধু ও স্বজনেরা। ২০২২ সালে প্রকাশিত ‘প্রেমিকা’ গানে পাওয়া গেছে নিধি ও রাবাকে। গানটির কথা লিখেছেন ও সুর বেঁধেছেন দুজনেই।

২০২০ সালে ফোর্বস ম্যাগাজিনের অনূর্ধ্ব-৩০ ক্যাটাগরিতে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে নির্বাচিত ৩০ তরুণ উদ্যোক্তার তালিকায় স্থান পেয়েছিলেন রাবা খান। নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘দ্য ঝাকানাকা প্রজেক্ট’-এ সমাজের নানা বিষয়ে ব্যঙ্গাত্মক ভিডিও বানিয়ে তরুণদের মধ্যে পরিচিতি পেয়েছেন রাবা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ ম ম হ স ন সরক র শ ক রব র

এছাড়াও পড়ুন:

দুই সপ্তাহের মধ্যে তেহরানে সুপেয় পানি ফুরিয়ে যেতে পারে

তীব্র খরার কবলে পড়েছে ইরানের রাজধানী তেহরান। সেখানে বাসিন্দাদের সুপেয় পানির প্রধান উৎসটি দুই সপ্তাহের মধ্যে শুকিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আইআরএনএ গতকাল রোববার এ খবর জানিয়েছে।

তেহরানে পানি সরবরাহ কোম্পানির পরিচালক বেহজাদ পারসার বরাত দিয়ে আইআরএনএর খবরে বলা হয়, তেহরানে খাবার পানি সরবরাহের পাঁচটি উৎসের একটি আমির কবির বাঁধ। সেটিতে এখন মাত্র ১ কোটি ৪০ লাখ ঘনমিটার পানি আছে। এটি জলাধারটির মোট ধারণক্ষমতার মাত্র ৮ শতাংশ।

বেহজাদ পারসা সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এই পরিমাণ পানি দিয়ে মাত্র দুই সপ্তাহ তেহরানের খাবার পানির চাহিদা মেটানো যাবে।

ইরানি সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, তেহরানে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩০ লাখ ঘনমিটার পানির প্রয়োজন পড়ে।

কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র খরার মোকাবিলা করছে ইরান। গত মাসে স্থানীয় এক কর্মকর্তা বলেছিলেন, তেহরান প্রদেশে এবার বৃষ্টির যে মাত্রা, তেমনটা গত এক শতাব্দীতে খুব একটা দেখা যায়নি।

এক কোটির বেশি মানুষের নগর তেহরান তুষারাচ্ছন্ন আলবোর্জ পর্বতমালার দক্ষিণ ঢালে অবস্থিত। এই পর্বতমালার সর্বোচ্চ উচ্চতা ৫ হাজার ৬০০ মিটার (১৮ হাজার ৩৭০ ফুট) পর্যন্ত। এই পর্বতমালা থেকে উৎপন্ন নদীগুলো বহু জলাধারে পানির জোগান দেয়।

বেহজাদ পারসা বলেন, এক বছর আগেও আমির কবির বাঁধে ৮ কোটি ৬০ লাখ ঘনমিটার পানি ছিল। কিন্তু তেহরান অঞ্চলে বৃষ্টির পরিমাণ প্রায় শতভাগ হ্রাস পেয়েছে।

তেহরানে পানি সরবরাহ করা বাকি জলাধারগুলোর বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি এই কর্মকর্তা।

ইরানি সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, তেহরানে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩০ লাখ ঘনমিটার পানির প্রয়োজন পড়ে।

এক বছর আগেও আমির কবির বাঁধে ৮ কোটি ৬০ লাখ ঘনমিটার পানি ছিল। কিন্তু তেহরান অঞ্চলে বৃষ্টির পরিমাণ প্রায় শতভাগ হ্রাস পেয়েছে।বেহজাদ পারসা, তেহরানে পানি সরবরাহ কোম্পানির পরিচালক

পানি সাশ্রয়ের পদক্ষেপ হিসেবে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে তেহরানের বেশ কয়েকটি এলাকায় বারবার সরবরাহ বন্ধ রাখা হচ্ছে বলে জানা গেছে। আর চলতি গ্রীষ্মে ঘন ঘন পানি সরবরাহ বন্ধ রাখার ঘটনাও ঘটেছে।

জুলাই ও আগস্টে পানি ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য দুই দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। ইরানে সে সময় তাপপ্রবাহের মধ্যে প্রতিদিন একাধিকবার লোডশেডিং হয়েছে।

ওই দুই মাসে তেহরানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) ছাড়িয়ে গেছে, কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১২২ ডিগ্রি ফারেনহাইট) ছুঁয়ে গিয়েছিল।

জুলাই ও আগস্ট মাসে তেহরানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০৪ ফারেনহাইট) ছাড়িয়ে গেছে, কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১২২ ফারেনহাইট) ছুঁয়ে ছিল।

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘আজ যেভাবে আলোচনা হয়েছে, পানিসংকট পরিস্থিতি তার চেয়েও গুরুতর।’

ইরানজুড়ে পানিসংকট একটি বড় সমস্যা, বিশেষ করে দেশের দক্ষিণের শুষ্ক প্রদেশগুলোতে। ভূগর্ভস্থ সম্পদ ব্যবহারে অব্যবস্থাপনা ও সম্পদের অতিরিক্ত ব্যবহারকে পানি ঘাটতির জন্য দায়ী করা হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে ভূমিকা রাখছে।

আরও পড়ুনপ্রচণ্ড গরমে পানির ঘাটতি বেড়ে যাওয়ায় ইরানিদের কম পানি ব্যবহারের আহ্বান২০ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ