উচ্চবিত্ত ব্যবসায়ী পরিবারের ছেলে সাদাফ। একটু খামখেয়ালী চরিত্রের। ঘটনাচক্রে এক যাত্রী ছাউনিতে তার পরিচয় হয় আলিয়ার সঙ্গে। অনেক চেষ্টা করেও বাসে উঠতে পারেনা আলিয়া। সাদাফের কাছে জানতে চায় সে কোথায় যাবে। খামখেয়ালি সাদাফ জানায় আলিয়ার গন্তব্য আর তার গন্তব্য একই। তখন আলিয়া শেয়ারে একটা সিএনজি নেয়ার প্রস্তাব দেয়। সাদাফ আলিয়ার প্রস্তাবে রাজী হয়। সিএনজিতে কথায় কথায় সাদাফ জানতে পারে আলিয়া নিম্নবিত্ত পরিবারের মেয়ে, সে মরিয়া হয়ে একটা চাকরি খুঁজছে, একটা কোম্পানিতে ইনটার্ন হিসেবে জয়েন করার জন্য ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছে। আলিয়া জানতে চায় সাদাফ কী করে। সাদাফ কিছু না ভেবেই বলে যে সেও ওই একই অফিসে ইনটার্ন হিসেবে জয়েন করার জন্য ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছে। এরপর ওরা দুজনেই একই অফিসে ইন্টার্ন হিসেবে জয়েন করে। কিন্তু তাদেরকে জানিয়ে দেয়া হয়, ছয় মাস পর পারফরমেন্সের ভিত্তিতে যে কোন একজনের চাকরি পাকা হবে। সাদাফ আলিয়াকে ভালোবেসে ফেলে। কিন্তু আলিয়া সাদাফকে নাজেহাল করতে থাকে।
সাদাফ নিজেকে গরীব হিসেবে উপস্থাপন করে এবং এ নিয়ে নানান মজার ঘটনা ঘটে। ছয়মাস পর আলিয়াকে পার্মানেন্ট করার প্রস্তাব দেয় অফিস । কিন্তু আলিয়া সাদাফকে সাহায্য করতে প্রস্তাব করে। সাদাফ আলিয়াকে সব সত্য বলার সিদ্ধান্ত নেয়। সব শুনে আলিয়া রেগে যায়। সাদাফ বারবার ক্ষমা চাইলেও আলিয়া ক্ষমা করেনা। তবে সাদাফ যেহেতু চাকরিটা করেনা সেহেতু অফিস আবারও আলিয়াকে ডেকে নেয়। তিনমাস পর আবারও সেই যাত্রী ছাউনিতে আলিয়া। সে একটা উবার ডাকে। এবার উবার চালক হিসেবে সামনে আসে সাদাফ। এমন গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে নাটক ‘অভিনয় নয়’।
কাজী হিমু পরিচালিত এ নাটকটিতে সাফাদ চরিত্রে আরশ খান ও আলিয়া চরিত্রে অভিনয়ে করেছে তাসনুভা তিশা। নাটকটি দীপ্ত টিভিতে আগামীকাল রাত ১১টা ১০ মিনিটে প্রচার হবে বলে জানিয়েছেন নির্মাতা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আরশ খ ন প রস ত ব আল য় ক
এছাড়াও পড়ুন:
পরিবেশ রক্ষায় ‘বীজ বোমা’
পরিবেশ রক্ষায় অভিনব এক উদ্যোগ নিয়েছেন টাঙ্গাইলের তরুণ পরিবেশকর্মী ও সংগঠক মুঈদ হাসান তড়িৎ। সামাজিক সংগঠন ‘যুবদের জন্য ফাউন্ডেশন’-এর মাধ্যমে এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছেন তিনি। ‘বীজ বোমা’ নামের এক বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বৃক্ষরোপণের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছেন তড়িৎ।
সাধারণত মাটি দিয়ে ছোট বলের আকারে তৈরি করা হয় ‘বীজ বোমা’। এর ভেতরে থাকে বীজ, সার ও পুষ্টিকর উপাদান। এগুলো যেকোনো উন্মুক্ত স্থানে ছুড়ে দিলেই বৃষ্টির পর তা থেকে গাছ জন্ম নিতে পারে।
মুঈদ হাসান তড়িৎ বলেছেন, “আমাদের চারপাশে অনেক অনাবাদি জমি পড়ে আছে। এই জমিগুলোতে যদি আমরা সহজ পদ্ধতিতে গাছ লাগাতে পারি, তাহলে দ্রুত সবুজায়ন সম্ভব। সে ভাবনা থেকেই এই ‘বীজ বোমা’। যুবদের জন্য ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে বীজ বোমা ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।”
এ উদ্যোগের মাধ্যমে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদেরও পরিবেশ বিষয়ে সচেতন করার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। তারা একত্রিত হয়ে শহরের নানা স্থানে বীজ বোমা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। এতে যেমন গাছ বাড়ছে, তেমনই পরিবেশ সম্পর্কে তরুণদের সচেতনতাও তৈরি হচ্ছে।
পরিবেশবিদ ও সুশীলসমাজের সদস্যরা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। পরিবেশকর্মী ডা. মুজিব রহমান বলেছেন, “কম খরচে ও সহজ উপায়ে সবুজায়নের কার্যকর পদ্ধতি বীজ বোমা। যদি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এ উদ্যোগে সহায়তা করে, তাহলে পরিবেশের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব।”
এছাড়া, বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে মাত্র ১০ টাকায় ফলজ, বনজ ও ওষুধি গাছ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছেন তড়িৎ ও তার সংগঠন। শতাধিক মানুষ পছন্দের গাছ মাত্র ১০ টাকায় ক্রয় করেছেন এ উদ্যোগ থেকে।
তড়িতের এ উদ্যোগ ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অনেকে প্রশংসা করছেন এই অভিনব চিন্তার এবং একে আরো বড় পরিসরে ছড়িয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
পরিবেশ রক্ষায় এক পা সামনে এগিয়েছে তড়িতের ‘বীজ বোমা’। এখন সবার এগিয়ে আসার সময়।
ঢাকা/কাওছার/রফিক