যৌন হয়রানির দায়ে ‘স্কুইড গেম’ তারকার কারাদণ্ড
Published: 5th, April 2025 GMT
যৌন হয়রানির দায়ে ‘স্কুইড গেম’ তারকা ও ইয়ং-সুকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৩ এপ্রিল ও ইয়ংয়ের বিরুদ্ধে এই দণ্ডের নির্দেশ দেন আদালত। খবর এনডিটিভির
ও ইয়ং-সুর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন এক অভিনেত্রী। তাঁর অভিযোগ, ২০১৭ সালে ও ইয়ং-সু তাঁকে জোর করে জড়িয়ে ধরেন, তাঁর হাত ধরেন ও গালে চুমু খান। আদালত গত বছরের মার্চে অভিনেতাকে দোষী সাব্যস্ত করে আট মাসের সাজা দিয়েছেন।
সঙ্গে যৌন হয়রানির বিষয়ে ৪০ ঘণ্টার বিশেষ ক্লাসে অংশ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৭৯ বছর বয়সী এ অভিনেতাকে। আদালতের রায়ে দোষী প্রমাণিত হলেও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইয়ং-সু। উচ্চ আদালতে আপিলের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি। সেই আপিল শুনানি শেষে এবার চূড়ান্ত রায় প্রদান করেছেন আদালত।
নেটফ্লিক্সের জনপ্রিয় সিরিজ ‘স্কুইড গেম’-এর সবচেয়ে প্রবীণ খেলোয়াড়, ওহ ই-নাম, জার্সি নম্বর ১। সবাই যাঁকে ‘ওল্ড ম্যান’ নামে ডাকত। এই সিরিজ প্রচারিত হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পান ও ইয়াং-সু। গোল্ডেন গ্লোব জেতেন, পরের বছর পান এমিতে মনোনয়ন।
আরও পড়ুন‘স্কুইড গেম’ অভিনেত্রী লি জু মারা গেছেন০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য ন হয়র ন র
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫