ঈদের বিরতির পর আগামীকাল ৬ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ। নবম রাউন্ডের খেলা দিয়ে ফের মাঠে গড়াচ্ছে লিগের খেলা। বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে খেলবে আবাহনী লিমিটেড ও শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব, মিরপুর শের-ই-বাংলায় মুখোমুখি হবে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব এবং বিকেএপির-৪ নম্বর মাঠে নামবে ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব ও গুলশান ক্রিকেট ক্লাব।
রাউন্ড রবিন লিগের শেষ পর্যায়ের খেলা শুরু হচ্ছে। এখন ক্লাবগুলোর মূল প্রতিযোগিতা সুপার লিগের অবস্থান নিশ্চিত করা। সেই লড়াইয়ে আবাহনী, গাজী গ্রুপ ও মোহামেডান অনেকটাই এগিয়ে গেছে।
আরো পড়ুন:
মিরপুরে খেলতে নেমেই ঘূর্ণিজাদুতে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের রাতুলের ফাইফার
এবার এনামুলের অপরাজিত ১৪৪, জিতল তার দলও
আবাহনীর ৮ ম্যাচে ৭ জয়ে পয়েন্ট ১৪। বর্তমান শিরোপাধারীদের সুপার লিগ নিশ্চিত হয়ে আছে। শেষ তিন ম্যাচ তাদের প্রতিপক্ষ শাইনপুকুর, প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডান। শাইনপুকুর তাদেরকে খুব একটা চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবে না বলেই ধরে নেয়া যায়। শেষ দুই রাউন্ডে আবাহনীকে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে। কেননা প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডান বেশ শক্তিশালী।
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ৮ ম্যাচে ৬ জয় নিয়ে ১২ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। মোহামেডানেরও একই অবস্থা। শেষ তিন রাউন্ডে প্রত্যাশিত ফল পেলে তারা সুপার লিগে অনায়েসে চলে যাবে। এরপর তালিকার চার ও পাঁচে আছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ও অগ্রণী ব্যাংক। এরপর লিজেন্ড অব রূপগঞ্জ, গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ও ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব। সবগুলো দলেরই সুযোগ আছে সুপার লিগে নাম লিখানোর। রাউন্ড রবিন লিগের শেষটা তারা কেমন করে সেটাই দেখার।
এদিকে অবনমন এড়াতে শেষ দিকের চার ক্লাবের লড়াই হবে। ব্রাদার্স ইউনিয়ন, পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব, রূপগঞ্জ টাইগার্স ও শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে তীব্র লড়াই করতে হবে। লিগে এখন পর্যন্ত কোনো দল মাত্র একটি জয় পেয়েছে। কোনো দল দুইটি। শেষ তিন রাউন্ডে ভালো করতে না পারলে তাদের খেলতে হবে রেলিগেশন লিগ।
দলগুলোর লড়াইয়ের সঙ্গে ব্যক্তিগত লড়াইও জমে উঠবে বলে আশা করা যায়। এনামুল হক বিজয় ৮ ম্যাচে ৫৩০ রান করে আছেন শীর্ষে। ৪৯১ রান নিয়ে দুইয়ে আছেন নাঈম শেখ। সমান ম্যাচে ইমরুলের রান ৪৩০। বোলিংয়ে আবাহনীর বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসান পেয়েছেন ১৭ উইকেট। আরেক বাঁহাতি তাইজুলের শিকার ১৬ উইকেট। ১৪ উইকেট নিয়ে তিনে আছেন আরেক বাঁহাতি আরফাত সানী।
লিগের প্রথম পর্বে, শেষ পর্যন্ত শীর্ষস্থান কার দখলে থাকে সেটাই দেখার।
ঢাকা/ইয়াসিন/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ ইনপ ক র
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার
সংস্কার শেষে ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার চালু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ করার মধ্য দিয়ে এ কারার যাত্রা শুরু হয়। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের আটটি কারাগারের সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ও ফেনী জজ আদালতে বিচারাধীন মামলার আসামিদের রাখা হবে।
কারা সূত্র জানায়, দেশের পুরোনো চারটি কারাগারের মধ্যে ফেনী-২ কারাগার একটি। শত বছরের পুরোনো এ কারাগার ভবন ছিল জরাজীর্ণ। এ কারণে ২০১৯ সালে ১২ জানুয়ারি এ কারাগার থেকে বন্দীদের ফেনীর শহরতলির রানীরহাট এলাকার নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে কারাগারটি অনেকটা ‘পরিত্যক্ত’ অবস্থায় ছিল।
নতুন করে চালু হওয়া কারাগারটির অবস্থান ফেনী শহরের মাস্টারপাড়ায়। এটি ১৯১৫ সালে সাবজেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ১৯৯৮ সালে জেলা এটিকে কারাগারে উন্নীত হয়। এ কারাগারের বর্তমান ধারণক্ষমতা ১৭২ জন। এর মধ্যে ১৭০ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। কারাগার চালু করার জন্য গতকাল কুমিল্লা জেলা কারাগার থেকে ২৪ জন ও চট্টগ্রাম থেকে চারজন বন্দীকে আনা হয়েছিল। তাঁরা সবাই সশ্রম সাজাপ্রাপ্ত। এ কারাগারে তাঁরা রান্নার দায়িত্বে থাকবেন।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ধাপে ধাপে সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বন্দীদের ফেনীর দ্বিতীয় কারাগারে আনা হবে। আপাতত এতে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২৬ জন, কুমিল্লা থেকে ৭৪ জন, নোয়াখালী থেকে ১৫ জন, লক্ষ্মীপুর থেকে ৪ জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ৩৩ জন বন্দী এখানে স্থানান্তর করা হবে। এতে সেল, রান্নাঘর, কিশোর ওয়ার্ড, মসজিদসহ প্রয়োজনীয় সুবিধা রয়েছে। এ কারাগার নিয়ে বর্তমানে দেশে কারার সংখ্যা ৭১।
জানতে চাইলে ফেনী-২–এর জেল সুপার মো. দিদারুল আলম বলেন, ‘রাষ্ট্র চায়, কারাগার শুধু শাস্তির জায়গা নয়, সংশোধনের কেন্দ্র হোক। এরই অংশ হিসেবে সংস্কার শেষে ফেনী কারাগার-২ চালু হয়েছে।’
কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার ফেরদৌস মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ কারাগারে স্থানান্তরিত বন্দীদের সব সুযোগ-সুবিধা ইতিমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত নার্সও যোগদান করেছেন। বেশির ভাগ পদে কর্মচারীরাও কাজ শুরু করেছেন।’