ওয়াসিম-ইমরান পারলে তাসকিন কেন পারবে না, সুজনের প্রশ্ন
Published: 5th, April 2025 GMT
বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কের পদ এখনো ফাঁকা। লিটন দাস নেতৃত্ব পাচ্ছেন এমন ইংগিত খোদ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ফারুক আহমেদ দিয়েছেন। কিন্তু আলোচনায় আছেন পেসার তাসকিন আহমেদও। কেবল পেসার বলেই তাসকিনকে নিয়ে আছে অনেকের দ্বিমতও।
বিষয়টি ভালোভাবে নেননি ঢাকা লিগে গুলশান ক্রিকেট ক্লাবে কোচিংয়ের দায়িত্বে থাকা খালেদ মাহমুদ সুজন। পাকিস্তানের ওয়াসিম আকরাম-ইমরান খানদের উদাহরণ দিয়ে সুজনের ভাষ্য, তারা পারলে তাসকিন কেন পারবেন না?
শনিবার (৫ এপ্রিল) মিরপুরে সংবাদমাধ্যমে তাসকিনের অধিনায়কত্ব নিয়ে এক প্রশ্নে সুজন বলেন, “ওয়াসিম আকরাম পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ইমরান খান দিয়েছেন, ইয়ান বোথাম দিয়েছেন। তারা অলরাউন্ডার ছিলেন যদিও এটা বলতেই পারেন। পেস বোলাররা অধিনায়কত্ব করতে পারবেন না এই কথাটা একদম ঠিক না।”
আরো পড়ুন:
পিএসএলে যাচ্ছেন লিটন-রিশাদ-নাহিদ
ফারুকের ইঙ্গিত
লিটন পাচ্ছেন টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব!
বাংলাদেশের হয়ে ৭৩ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তাসকিন। উইকেট নিয়েছেন ৮২টি। নেতৃত্ব দেওয়ার মতো যথেষ্ট গুণাবলী আছে এই পেসারের মধ্যে। বিপিএলেও তাকে নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে। বিশেষ করে পেসাররা ইনজুরি প্রবণ হয় সেটা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
সেই ব্যাখাও দিয়েছেন সুজন, “যদি তাসকিনের ইনজুরি হয়, অধিনায়কত্ব করতে না পারে, তো দলে একজন ভাইস ক্যাপ্টেন থাকবেন সে চালিয়ে নিবে। এটা তো আসলে বোর্ডের ব্যাপার। পেসাররা অধিনায়কত্ব করতে পারবে না, এটা ভুল কথা। নলেজ থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ, তাসকিনের মধ্যে অধিনায়কত্ব ম্যাটেরিয়ালন্স আছে কিনা এটা গুরুত্বপূর্ণ।”
কেবল ওয়াসিম-ইমরান নয়, বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল অধিনায়কও একজন পেসার। মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সাদা বলের ক্রিকেটে পেয়েছিল সর্বোচ্চ সাফল্য। অন্যদিকে সুজন কেবল তাসকিন নয়, লিটনের উপরও রাখছেন ভরসা।
“বোর্ডের সিদ্ধান্ত তাকে দলে নিবে কি নিবে না, আগে চিন্তা করতে হবে। যদি দলে না থাকে তাহলে অধিনায়কত্ব কিভাবে দেবেন। আগে সে দলে ফিরুক, আমি মনে করি লিটন এখনো বাংলাদেশের টপ ব্যাটারদের একজন। খারাপ সময় মানুষের থাকতেই পারে।”
ঢাকা/রিয়াদ/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল টন দ স ইমর ন
এছাড়াও পড়ুন:
রাজনীতিতে না জাড়ানোর কারণ জানালেন প্রীতি জিনতা
বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিনতা এখন অভিনয়ে অনিয়মিত। অভিনয়ে তাকে দেখা না গেলেও নিজের ক্রিকেট দলের হয়ে মাঠে তাকে প্রায়ই দেয়া যায়। মাঝে গুঞ্জন উঠেছিলে রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন তিন। অবশ্য এবিষয়ে টুঁশব্দও করেননি এই অভিনেত্রী।
এদিকে মাস তিনেক আগে কংগ্রেসের পক্ষ অভিযোগ তোলা হয়েছিল, প্রীতি জিনতার ১৮ কোটি টাকার ঋণ নাকি মকুফ করে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। শুধু তাই নয়, প্রীতি নাকি তার সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বিজেপির হাতে সঁপে দিয়েছেন- এমন অভিযোগও ওঠে। এরপর বলিউড নায়িকার রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা শুরু হয়।
সম্প্রতি এক্স হ্যান্ডলে প্রীতি জিনতাকে একজন জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনি কি ভবিষ্যতে বিজেপিতে যোগ দেবেন? আপনার গত কয়েক মাসের টুইট দেখে তো তেমনটাই মনে হচ্ছে। জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘সোশাল মিডিয়ায় ব্যবহারকারীদের এটাই একটা সমস্যা। সবাই এত বিচার করতে বসে যান সবকিছু নিয়ে। আমি যেমনটা আগে বলেছি, মন্দিরে, মহাকুম্ভে যাওয়া কিংবা নিজের পরিচয় নিয়ে আমি গর্বিত। তার মানে এই নয় যে এসমস্ত কারণে আমি বিজেপিতে যোগ দেব।’
প্রীতি বলেন, ‘ভারতের বাইরে থাকার ফলে আমি দেশের প্রকৃত মূল্য উপলব্ধি করতে পেরেছি এবং আর পাঁচজন ভারতীয়র মতোই গর্ববোধ করি আমার দেশকে নিয়ে।’
রাজনীতিতে না আসার কারণ গত ফেব্রুয়ারি মাসেও জানিয়েছিলেন প্রীতি জিনতা। সেসময় তিনি বলেন, ‘রাজনীতি আমার দ্বারা হবে না। বিগত কয়েক বছরে একাধিক রাজনৈতিক দল আমাকে টিকিট দিতে চেয়েছে। এমনকি রাজ্যসভার আসনের প্রস্তাবও এসেছিল। তবে আমি বিনম্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছি। কারণ, আমার ইচ্ছে নেই। আর আমাকে ‘সৈনিক’ বললেও অতিরঞ্জিত হবে না। কারণ, আমি একজন আর্মি পরিবারের সন্তান। আমার বাবা সৈনিক এবং আমার দাদাও। আর্মি পরিবারের সন্তান হওয়ায় আমাদের মানসিকতা খানিক আলাদা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিজেদের উত্তর ভারতীয়, দক্ষিণ ভারতীয় কিংবা হিমাচলী বা বাঙালি বলে ভাবি না, আমাদের পরিচয় শুধুমাত্র ভারতীয়। আর হ্যাঁ, দেশভক্তি আমাদের রক্তে।’ সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।