বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে নারী বিশ্বকাপ বাছাই
Published: 6th, April 2025 GMT
পাকিস্তানের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে নারী বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব। ২০২৫ বিশ্বকাপ নিশ্চিতের লক্ষ্যে সেখানে অংশগ্রহণ করতে বর্তমানে পাকিস্তানে আছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। এরই মধ্যে বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে স্বাগতিক ভারতসহ ২০২২-২৫ আইসিসি নারী চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রের শীর্ষ ছয় দল অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ও নিউজিল্যান্ড। বাকি দুই দল আসবে বাছাইপর্ব পেরিয়ে।
৯ থেকে ১৯ এপ্রিল ছয় দল নিয়ে পাকিস্তানে হবে বাছাইয়ের লড়াই। লাহোরের দুই ভেন্যু গাদ্দাফি স্টেডিয়াম ও লাহোর সিটি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এলসিসিএ) গ্রাউন্ডে হবে মোট ১৫টি ম্যাচ। খেলবে স্বাগতিক পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও থাইল্যান্ড। এখান থেকে শীর্ষ দুই দল পেয়ে যাবে ভারতের টিকিট, খেলবে বিশ্বকাপের মূল পর্বে।
বাংলাদেশের মূল দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও স্বাগতিক পাকিস্তান। গত জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হেরেই সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার আশা শেষ হয়ে গেছে নিগারদের। বাছাইয়ের ফেভারিট ক্যারিবীয়ানরাই। পাকিস্তানের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ে বাংলাদেশে জয়-হার সমান সাতটি করে (একটি টাই)। এছাড়া আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডও চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে। এমনকি বাছাইয়ের অন্য দল থাইল্যান্ডও অঘটন ঘটিয়ে দিতে পারে।
শ্রীলঙ্কান কোচ হাশান তিলাকারাতে্নর বিদায়ের পর দেশের অভিজ্ঞ কোচ সরওয়ার ইমরানের কোচিংয়ে এই আসরে খেলবেন নিগাররা। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ১০ এপ্রিল থাইল্যান্ডের বিপক্ষে লাহোরে। বাংলাদেশের মেয়েদের দ্বিতীয় ম্যাচ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। দিবারাত্রির ম্যাচটি হবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে, ১৩ এপ্রিল। একই মাঠে ১৫ এপ্রিল স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ দল। ১৭ এপ্রিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ১৯ এপ্রিল পাকিস্তানের বিপক্ষে লাহোর সিটি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ নিজেদের সর্বশেষ দুটি ম্যাচ খেলবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি কঠিন দলের বিপক্ষে লড়তে হবে বাংলাদেশের মেয়েদের।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব শ বক প ব ছ ই ব শ বক প
এছাড়াও পড়ুন:
ময়মনসিংহে সাহিত্য আড্ডার স্থানসহ নানা স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন
ময়মনসিংহ ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে যৌথ অভিযানে নেমেছে জেলা প্রশাসন ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন। এ সময় সাহিত্য সংসদের ‘বীক্ষণ’ আসরের সাহিত্য আড্ডার স্থাপনাসহ পার্কের ভেতরে এবং বাইরে গড়ে উঠা ভ্রাম্যমাণ দোকান, বিজয়ী পিঠা বাড়িসহ সব ধরনের অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। আজ বুধবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত নগরীর সার্কিট হাউজ মাঠ সংলগ্ন জয়নুল উদ্যান পার্কে এই অভিযান চালানো হয়।
এ অভিযানের এক পর্যায়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মুফিদুল আলম নিজে উপস্থিত থেকে উচ্ছেদ কার্যক্রম তদারকি করেন। এ সময় পার্কের সৌন্দর্য রক্ষা এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান নগরবাসী। তবে এ উচ্ছেদ অভিযানে ক্ষোভ ও অসেন্তাষ প্রকাশ করেছেন কবি সাহিত্যিকরা। তারা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, প্রায় ৪০ বছর ধরে এই স্থানটিতে দেশের খ্যাতনামা এবং নবীণ কবি সাহিত্যকদের নিয়ে সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার বসে সাহিত্য সংসদের ‘বীক্ষণ’ আসর নামে সাহিত্য আড্ডা। এতে কবিতা পাঠের পাশাপাশি শিল্প সংস্কৃতি নিয়ে চলে আলোচনা ও মতবিনিময়।
স্থানীয়রা জানান, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ফলে পার্কটি তার স্বরূপ ফিরে পাবে। এতে আমার মত অন্য দর্শনার্থীরা প্রকৃতির নিরিবিলি পরিবেশে সময় কাটাতে পারবে।
নতুন বাজার এলাকার শাহজাহান কবির বলেন, একাধিকবার পার্কেও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হলেও প্রভাবশালী মহলের মদদে ফের তৈরি হয় অবৈধ স্থাপনা। কিন্তু দর্শনার্থীরা চায় পার্কের নিরিবিলি ও মনোরম পরিবেশ। তবে এ উচ্ছেদ অভিযানে ক্ষোভ ও অসেন্তাষ প্রকাশ করেছেন কবি সাহিত্যিকরা। তারা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, প্রায় ৪০ বছর ধরে এই স্থানটিতে দেশের খ্যাতনামা এবং নবীণ কবি সাহিত্যকদের নিয়ে সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার বসে সাহিত্য সংসদের ‘বীক্ষণ’ আসর নামে সাহিত্য আড্ডা। এতে কবিতা পাঠের পাশাপাশি শিল্প সংস্কৃতি নিয়ে চলে আলোচনা ও মতবিনিময়।
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের সচিব সুমনা আল মজীদ বলেন, মূলত জেলা প্রশাসনের জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য জয়নুল উদ্যোনের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি এবং প্রকৃতির নির্মল পরিবেশ গড়ে তোলা। তাছাড়া পার্কের বেশ কয়েকটি স্থাপনায় দীর্ঘদিন ধরে অসামসাজিক কার্যকলাপ চলার অভিযোগে অভিযান চালানো হয়েছে।