টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে ইয়াবা কিনতে গিয়ে দুই পুলিশ কনস্টেবল গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন।  

রবিবার (৩০ মার্চ) রাতে দেলদুয়ারের কুপাখী গ্রামে ঘটনাটি ঘটলেও সম্প্রতি একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাটি জানাজানি হয়। 

এ ঘটনায় দেলদুয়ার থানার উপপ‌রিদর্শক নন্দন চন্দ্র সরকার বাদী হ‌য়ে ওই দুই পুলিশ সদস্য এবং দুই মাদকসেবী‌কে আসামি করে থানায় মামলা ক‌রেন। প‌রে তা‌দের কারাগা‌রে পাঠা‌নো হয়।  

অভিযুক্ত দুই কনস্টেবল ফারহান হোসেন ওরফে সানি এবং না‌দের খান কা‌লিহাতী সা‌র্কেলে কর্মরত ছিলেন। 

ঘটনার দিন রাতে কুপাখী গ্রামের মাদককারবারি খায়রুলের বাড়ি থেকে ৫০টি ইয়াবা ক্রয় করে চার যুবক। গতিবিধি সন্দেহজনক হলে স্থানীয় জনতা তাদের আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বাথুলি গ্রামের শচিন্দ্র চন্দ্র মন্ডলের পুত্র শুভ মন্ডল, কালিয়াকৈর থানার বড়ইবাড়ী গ্রামের মৃত শওকত খানের ছেলে মো.

নাদের খান, একই এলাকার মো. নূর হোসেনের ছেলে মো. ফরহাদ হোসেন সানিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় চার যুবকের একজন পা‌লি‌য়ে যায়। এদের মধ্যে সানি এবং না‌দের খান পুলিশের সদস্য।  

এ প্রসঙ্গে সহকারী পু‌লিশ সুপার কালিহাতী সা‌র্কেলের আব্দুল্লাহ আল ইমরানের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। তবে টাঙ্গাইল সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এইচএম মাহবুব রেজওয়ান সিদ্দিকী জানিয়েছেন, মাদক মামলার পর অভিযুক্তদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

কাওছার//

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৫ কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আসাদুজ্জামান নূরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার সম্পদ অর্জন ও দেড় শ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে সাবেক সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী ও অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূরের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ বুধবার দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থার উপপরিচালক মো. আজিজুল হক বাদী হয়ে মামলাটি করেন। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসাদুজ্জামান নূর ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৫ কোটি ৩৭ লাখ ১ হাজার ১৯০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন এবং তা নিজের দখলে রেখেছেন। এ ছাড়া আসাদুজ্জামান নূরের নামে থাকা বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ১৯টি হিসাবে ১৫৮ কোটি ৭৮ লাখ ৪৭ হাজার ৮৯৮ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। এই লেনদেনের মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের অভিযোগ আনা হয়েছে, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও দুদক আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

দুদকের অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, ২০০৩-০৪ করবর্ষ থেকে ২০২৩-২৪ করবর্ষ পর্যন্ত আসাদুজ্জামান নূরের বৈধ আয় ছিল ৩২ কোটি ৯৬ লাখ ৮৩ হাজার ৬৮৮ টাকা। এ সময়ে তাঁর পারিবারিক ব্যয় ছিল ৯ কোটি ৩২ লাখ ২৫ হাজার ৭৬১ টাকা। সে অনুযায়ী নিট সঞ্চয় দাঁড়ায় ২৩ কোটি ৬৪ লাখ ৫৭ হাজার ৯২৭ টাকা। অথচ তাঁর অর্জিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ২৯ কোটি ১ লাখ ৫৯ হাজার ১১৭ টাকা। এতে ৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকার উৎস পাওয়া যায়নি বলে দুদক জানিয়েছে।

এজাহারে আরও বলা হয়েছে, আসাদুজ্জামান নূরের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে ৮৫ কোটি ৭২ লাখ ৬৬ হাজার ৫৯৩ টাকা জমা এবং ৭৩ কোটি ৫ লাখ ৮১ হাজার ৩০৫ টাকা উত্তোলন হয়েছে। এসব লেনদেনের উৎস অস্পষ্ট।

২০০১ সালে নীলফামারী-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আসাদুজ্জামান নূর। এরপর ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও সর্বশেষ ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনের পর সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সাবেক মন্ত্রী ও এমপিদের বিরুদ্ধে একে একে মামলা ও গ্রেপ্তার শুরু করে দুদক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলো। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর বেইলী রোডে নিজ বাসা থেকে আসাদুজ্জামান নূরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৫ কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আসাদুজ্জামান নূরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা