বুকে ব্যথা অনুভব হলে রোগীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন এই ভেবে যে, হার্টের সমস্যা নাকি গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা। অনেক সময় হার্টের ব্যথাকে গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা ভেবে ওষুধ সেবন করেন। সেক্ষেত্রে আরও সমস্যা তৈরি হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা এবং হার্টের ব্যথার মধ্যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে।

লিভার, গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা.

এম. সাঈদুল হক একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘হার্টের ব্যথা এবং গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা দুইটি দুই পর্যায়ের। হার্টে ব্যথা অনুভব হলে ইমার্জেন্সি ব্যবস্থা নিতে হয়। কিন্তু গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা ইমার্জেন্সি নয় তবে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ প্রয়োজন।’’

এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘‘গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা হলে পেটের উপরিভাগে মাঝখানে ব্যথা অনুভূত হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, খাবার খাওয়ার পরে ব্যথা দূর হয়ে যায়। তবে গ্যাস্ট্রিক আলসার হয়ে গেলে খাবার খাওয়ার পরে ব্যথা বেড়ে যায়। এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, রাতের বেলা ব্যথার জন্য ঘুম ভেঙে যায়। এটি গ্যাস্ট্রিকের ব্যথার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। এসব লক্ষণ দেখা দিলে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়া উচিত। ’’

আরো পড়ুন:

ঘুম কম হয় কেন?

হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হলে করণীয়

সাঈদুল হক জানান, হার্ট বা কার্ডিয়াক ব্যথা সাধারণত হয় বুকের মাঝ বরাবর। ব্যথার সাথে বুকে চাপ-চাপ অনুভূতি এবং দমবন্ধ ভাব হতে পারে। মনে হতে পারে বুকের মধ্যে অনেক ভারী কিছু চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় কিছুদূর হেঁটে গেলে ব্যথা এবং দমবন্ধ ভাব বেড়ে যায়। আবার বিশ্রাম নিলে ব্যথা কমে যায়। এসব লক্ষণ অবশ্যই কার্ডিয়াক ব্যথা। এবং এক্ষেত্রে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা গ্রহণ উচিত।

ঢাকা/লিপি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে এটিএম বুথে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত পলাতক

গাজীপুরের শ্রীপুরে অধিক বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক নারী পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একটি এটিএম বুথের নিরাপত্তা প্রহরীর বিরুদ্ধে।

সোমবার (১৬ জুন) সকালে ওই নারী শ্রমিকের বাবা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। 

রবিবার (১৫ জুন) সকালে শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামের এমসি বাজার এলাকায় তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন একটি ব্যাংকের এটিএম বুথে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ ।

ভুক্তভোগী নারী স্থানীয় একটি কারখানায় ৬ হাজার টাকা বেতনে কাজ করতেন। অভিযুক্ত নিরাপত্তা প্রহরী মো. লিটন (৩৫) তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন বুথে দায়িত্ব পালন করতেন। 

লিটন ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার ডুবাইল গ্রামের মৃত আব্দুল আউয়ালের ছেলে। বর্তমানে তিনি মুলাইদ গ্রামের আতাব উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন এবং ফাস্ট সলিউশন লিমিটেড নামের একটি নিরাপত্তা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের অধীনে চাকরি করতেন।

থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, এটিএম বুথে টাকা তোলার সূত্র ধরে এই নারী শ্রমিকের সঙ্গে পরিচয় হয় লিটনের। একপর্যায়ে লিটন ভুক্তভোগীকে ১২ হাজার টাকা বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রবিবার সকালে তার বাবার মোবাইলে ফোন করে ডেকে আনেন। সকাল ৬টার দিকে বুথে গেলে লিটন তাকে ভেতরে একটি ছোট কক্ষে বসিয়ে রাখেন এবং জানান যে, নতুন চাকরির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসে তার সাক্ষাৎকার নেবেন।

ভিকটিমের বাবা দুইবার মেয়ে চাকরির বিষয়ে খোঁজ নিলে লিটন জানান, চিন্তার কিছু নেই, সব ঠিক আছে। তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেব। এরপর আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে লিটন কক্ষে ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। বাড়ি ফেরার পথে মেয়ে তার বাবাকে ঘটনাটি জানায়।

ঘটনার বিষয়ে ফাস্ট সলিউশন লিমিটেডের সুপারভাইজার মো. হানিফের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল বারিক জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্ত লিটন পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। দ্রুতই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরো জানান, ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন করা হয়েছে।

ঢাকা/রফিক/টিপু  

সম্পর্কিত নিবন্ধ