গোল করেও মায়ামিকে জেতাতে পারলেন না মেসি
Published: 7th, April 2025 GMT
প্রথমার্ধের খেলা শেষ হওয়ার পথে। দল পিছিয়ে আছে। এমন সময় ডি বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ে সাধারণ এক ভলি করলেন লিওনেল মেসি। তার এই নিরীহ শটটাই খুঁজে পেল জালের দেখা। লিগটা যেহেতু মেজর লিগ সকার (এমএলএস), তাই এমন গোল প্রায়শই দেখা যায় এই লিগে।
সোমবার (৭ মার্চ) বাংলাদেশ সময় সকালে বিশ্বকাপজয়ী মেসি অবশ্য গোল করেও জেতাতে পারেননি তার দল ইন্টার মায়ামিকে। এলএমএসে টরন্টো এফসির বিপক্ষে ১-১ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে মায়ামিকে।
সামনেই কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। তাই টরন্টোর বিপক্ষে মেসি মাঠে নামবেন কি না, তা নিয়ে রহস্য রেখে দিয়েছিলেন কোচ হাভিয়ের মাসচেরানো। তবে ৭ বারের ব্যালন ডি-অর জয়ী ফুটবলার মাঠে নামলেন এবং দলকে গুরুত্বপূর্ণ একটা পয়েন্ট এনে দিলেন। এই মৌসুমে চতুর্থ ম্যাচে এটি মেসির তৃতীয় গোল। মায়ামিতে যোগ দেওয়ার পর সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এটি আর্জেন্টাইন মহাতারকার ৪০তম গোল।
আরো পড়ুন:
মেসির একাদশে ফেরার ম্যাচে হেরে বিদায়ের শঙ্কায় মায়ামি
ফিরেই মেসির গোল, শীর্ষে উঠলো মায়ামি
চেজ স্টেডিয়ামে মায়ামি-টরন্টো ম্যাচের গোল দুটিই এসেছে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে। টরন্টোর হয়ে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে গোল করেন সাবেক জুভেন্টাস উইঙ্গার ফেদেরিকো বার্নার্দেস্কি। অন্যদিকে যোগ করা সময়ের পঞ্চম এবং শেষ মিনিটে মায়ামিকে সমতায় ফেরান মেসি। তিনি প্রথমার্ধে আরো একটি গোল করেছিলেন। সেটি পরে ভিএআরে বাতিল হয়ে যায়।
এই ড্রয়ের মায়ামি এমএলএসে কলোম্বাসের চেয়ে এক পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে। তবে মেসিরা একটি ম্যাচ কম খেলেছেন। ৬ ম্যাচ শেষে মায়ামির সংগ্রহ ১৪ পয়েন্ট। অন্যদিকে ৭ ম্যাচ শেষে কলোম্বাসের ১৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চূড়ায় কলোম্বাস।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রথম র ধ গ ল কর টরন ট
এছাড়াও পড়ুন:
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ: কী, কেন, কীভাবে
ফিফা বিশ্বকাপ বলতে অনেকে যা বোঝেন, জাতীয় দলগুলোকে নিয়ে আয়োজিত সেই বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ সালের জুন–জুলাইয়ে। এবারের জুন–জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ক্লাব নিয়ে আয়োজিত বিশ্বকাপ। আনুষ্ঠানিকভাবে যা ‘ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ’ নামে পরিচিত।
ক্লাব বিশ্বকাপ কি নতুন কিছু
না। ২০০০ সাল থেকেই ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ হয়ে আসছে। কখনো ৬ দল, কখনো ৭ দল নিয়ে। তবে বিভিন্ন মহাদেশের ক্লাব প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে আয়োজিত সেই বিশ্বকাপ খুব বেশি সাড়া ফেলতে পারেনি। বছরের শেষ দিকে ১০ দিনের মধ্যে অল্প কটি ম্যাচের মধ্যে শেষ হয়ে যেত ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ। এই করে করে এরই মধ্যে আয়োজিত হয়ে গেছে ২০টি আসর। তবে এবার ক্লাব বিশ্বকাপকে বৈশ্বিক রূপ দেওয়ার জন্য টুর্নামেন্টের কলেবর বাড়িয়েছে ফিফা। পৃথিবীর ছয় মহাদেশ থেকে অংশ নিচ্ছে মোট ৩২টি ক্লাব, যেমনটা জাতীয় দলের বিশ্বকাপে এত দিন হয়ে এসেছে।
ফরম্যাট কি বিশ্বকাপের মতোই
হ্যাঁ, জাতীয় দলগুলোকে নিয়ে আয়োজিত ফিফা বিশ্বকাপের মতোই (যদিও ২০২৬ আসরে অংশ নেবে ৪৮টি দেশ)। ৩২টি দল মোট ৮টি গ্রুপে ভাগ হয়েছে। প্রতি গ্রুপের সেরা দুই দল উঠবে শেষ ষোলোয়, সেখান থেকে একের পর এক নকআউট। এক মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ১১টি শহরে অনুষ্ঠিত হবে মোট ৬৩টি ম্যাচ।
৩২ দল কীভাবে চূড়ান্ত হয়েছে?
দল চূড়ান্ত হয়েছে বিভিন্ন পদ্ধতিতে। মোটের ওপর সর্বশেষ চার মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়নদেরই জায়গা দেওয়া হয়েছে। সর্বোচ্চ ১২টি ক্লাব আছে ইউরোপের, দক্ষিণ আমেরিকার আছে ৬টি। আবার অপেক্ষাকৃত দুর্বল ওশেনিয়া ফুটবল ফেডারেশন থেকেও দল আছে একটি। আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বরাদ্দ ছিল একটি জায়গা। ২০২৪ এমএলএস সাপোর্টাস শিল্ড জিতে সেটি পেয়েছে ইন্টার মায়ামি। এমএলএস থেকে দল অবশ্য আরও একটি আছে। ফিফার নিয়ম অনুযায়ী যোগ্যতা থাকলেও একই মালিকানার দুটি ক্লাব টুর্নামেন্টে খেলতে পারবে না। প্লে–অফের মাধ্যমে একটি চূড়ান্ত হবে। এই প্রক্রিয়ায় লস অ্যাঞ্জেলেস এফসি যুক্ত হয়েছে।
দলগুলো কারা
এশিয়া (এএফসি): আল হিলাল (সৌদি আরব), উরাওয়া রেড ডায়মন্ডস (জাপান), আল আইন (সংযুক্ত আরব আমিরাত), উলসান (দক্ষিণ কোরিয়া)।
আফ্রিকা (সিএএফ): আল–আহলি (মিসর), ওয়াইদাদ (মরক্কো), এসপেরানস দি তিউনিস (তিউনিসিয়া), মামেলোদি সানডাউনস (দক্ষিণ আফ্রিকা)।
উত্তর, মধ্য ও ক্যারিবিয়ান (কনক্যাকাফ): মনটেরি (মেক্সিকো), সিয়াটল সাউন্ডার্স (যুক্তরাষ্ট্র), পাচুয়া (মেক্সিকো), লস অ্যাঞ্জেলেস এফসি (যুক্তরাষ্ট্র)।
দক্ষিণ আমেরিকা (কনমেবল): পালমেইরাস (ব্রাজিল), ফ্ল্যামেঙ্গো (ব্রাজিল), ফ্লুমিনেজ (ব্রাজিল), বোতাফোগো (ব্রাজিল), রিভার প্লেট (আর্জেন্টিনা), বোকা জুনিয়র্স (আর্জেন্টিনা)।
ইউরোপ (উয়েফা): চেলসি (ইংল্যান্ড), রিয়াল মাদ্রিদ (স্পেন), ম্যানচেস্টার সিটি (ইংল্যান্ড), বায়ার্ন মিউনিখ (জার্মানি), পিএসজি (ফ্রান্স), ইন্টার মিলান (ইতালি), পোর্তো (পর্তুগাল), বেনফিকা (পর্তুগাল), বরুসিয়া ডর্টমুন্ড (জার্মানি), জুভেন্টাস (ইতালি), আতলেতিকো মাদ্রিদ (স্পেন), রেড বুল সালজবুর্গ (অস্ট্রিয়া)।
ওশেনিয়া (ওএফসি): অকল্যান্ড সিটি (নিউজিল্যান্ড)।
আয়োজক দেশের দল: ইন্টার মায়ামি (যুক্তরাষ্ট্র)।
ক্লাব বিশ্বকাপের ট্রফি যখন মিসরে।