সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় ভাড়া বাসা থেকে ৮ মাসের শিশুকে অপহরণের পর বিক্রি করা হয়। এ ঘটনার ৮ দিন পর যশোর থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে অপহরণ চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে রায়গঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানান।

উদ্ধার হওয়া শিশু দিঘী মনি সিরাজগঞ্জ শহরের গয়লা মহল্লার বাপ্পী মণ্ডলের মেয়ে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বগুড়ার ধুনট উপজেলার চরখাদুলী গ্রামের মৃত গোলজার সেখের ছেলে কালাম সেখ (৪০) ও একই উপজেলার কুড়িগাঁতি গ্রামের মৃত রইচ উদ্দিনের ছেলে হারুন অর রশিদ (৪৪)।

রায়গঞ্জ থানার ওসি জানান, বাপ্পী মণ্ডল তার স্ত্রী মরিয়ম খাতুন ও মেয়ে শিশু দিঘি মনিকে নিয়ে রায়গঞ্জ উপজেলার রনতিথা গ্রামের বাদশা মিয়ার বাসায় ভাড়া থাকতেন। ৩০ মার্চ দুপুরে শিশুটির মাকে ঘোল (মাঠা) খাইয়ে অচেতন করে অপহরণ চক্রটি। পরে শিশুটিকে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে পর দিন থানায় মামলা করেন। এর পর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গত শুক্রবার রংপুর থেকে কালাম সেখকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রায়গঞ্জ থেকে এ চক্রের অপর সদস্য হারুন অর রশিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রোববার দুপুরে যশোরের কোতোয়ালি উপজেলার তালবাড়িয়া গ্রামের সামিউল ইসলামের হেফাজত থেকে অপহৃত শিশু দিঘি মনিকে উদ্ধার করা হয়।

ওসি আরও বলেন, ৪২ বছর বয়সী সামিউল ইসলাম নিঃসন্তান। ভুয়া বাবা-মা সেজে স্ট্যাম্পের মাধ্যমে চুক্তি করে ৮০ হাজার টাকায় তার কাছে শিশু বিক্রি করা হয়েছিল। এ চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। উদ্ধার হওয়া শিশুটিকে বাবা-মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স র জগঞ জ যশ র র য়গঞ জ উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

পটিয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার

চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার একটি দোকান থেকে নুরুল আবছার (২৭) নামের এক ব্যবসায়ীকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায় একদল মুখোশধারী ব্যক্তি। আজ বুধবার সকাল সাতটায় তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুলিশের তৎপরতায় সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি ছাড়া পান।

উদ্ধারের পর পটিয়া থানা প্রাঙ্গণে অপহরণের শিকার নুরুল আবছার প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ব্যাংকে চাকরি করতেন। সম্প্রতি তাঁর চাকরি চলে যায়। এরপর পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার সাহিত্য বিশারদ সড়কে মুরগির দোকান দেন। প্রতিদিনের মতো আজ সকালে দোকান খোলেন তিনি। এ সময় তিন থেকে চারজন মুখোশধারী লোক ধারালো অস্ত্রের মুখে তাঁকে ধরে অটোরিকশায় উঠিয়ে নিয়ে যায়। তারা তাঁর পকেটে থাকা ৪০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। পরে আরও ৪ লাখ টাকা দাবি করে, পরে ১৭ লাখ এনে দিতে বলেন। তাঁকে চন্দ্র কালারপোল নামের নির্জন এলাকায় নিয়ে অপহরণকারীরা তাঁকে মারধরের পাশাপাশি ছুরিকাঘাতও করেন।

পটিয়া থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ চন্দ্র দে প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত তাঁকে উদ্ধারের তৎপরতায় নামে। পরে চন্দ্র কালারপোল এলাকায় পুলিশ গেলে উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়।

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান জানান, ব্যবসায়ীকে অপহরণ করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পটিয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার