গাজায় ইসরাইলের চলমান নৃশংস গণহত্যা ও দখলদারিত্বের প্রতিবাদে ‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপ ফর গাজা’ ও ‘নো ওয়ার্ক নো স্কুল’র প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)।

সোমবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে আয়োজিত বিক্ষোভ থেকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ও ইসরায়েলের ধ্বংস কামনা করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিশ্বের সব মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে ফিলিস্তিনের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান এবং ইসরায়েলী পণ্য বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, সংহতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত রাখায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ জনসমুদ্রে পরিণত হয়। এতে ঢাবি ও ঢামেকসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও এতে অংশগ্রহণ করেন।

আরো পড়ুন:

ইসরায়েলেরর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ৬ দাবি আগ্রাসনবিরোধীদের

৬ দাবিসহ মার্কিন দূতাবাস অভিমুখে মার্চ করবে আজাদ ফিলিস্তিন

বিক্ষোভে তারা ‘তুমি কে আমি কে, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’, ‘আমরা সবাই নবীর সেনা, ভয় করি না বুলেট বোমা’, ‘ফ্রম দ্যা রিভার টু দ্যা সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’, ‘ফ্রি ফ্রি, প্যালেস্টাইন’, ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, জায়োনিজম নো মোর’, ‘নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবার’, ‘সাবিলুনা সাবিলুনা, আল জিহাদ আল জিহাদ’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন‌।

সমাবেশে উপস্থিত ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভগের শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “আজ পুরো বিশ্ব ফিলিস্তিনিদের উপর ধ্বংসযজ্ঞ দেখে হতবাক। যেভাবে ফিলিস্তিনে মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে, তা ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ নিষ্ঠুরতার উদাহরণ।”

তিনি বলেন, “ইসরায়েল সর্বোচ্চ সীমা ছাড়িয়ে গেছে। এখন সময় এসেছে, মুসলিম উম্মাহর একতাবদ্ধ হওয়ার। আমাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে, নৃশংসতার বিরুদ্ধে। ইসরায়েলের অবসান অনিবার্য। সেই দিন খুব দূরে নয়, যেদিন আল্লাহর প্রতিশ্রুতি বাস্তবে প্রতিফলিত হবে।”

ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রফিক বলেন, “ফিলিস্তিন জনগণের প্রতি ইসরাইল যে আগ্রাসন চালাচ্ছে, তা নিঃসন্দেহে চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন। তারা ৫০ হাজারেরও বেশি নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের হত্যা করেছে। অথচ বিশ্ব মোড়লরা মুখে কুলুপ এঁটে বসে রয়েছে। আমাদের ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সংহতি জানানো ছাড়া বাংলাদেশ থেকে তেমন কিছুই করার নেই।”

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

স্বচ্ছতার জন্য ডিএনসিসির প্রকল্পের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে:

স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সব প্রকল্পের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।  

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ডিএনসিসির ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত পশ্চিম শেওড়াপাড়া, পশ্চিম কাজীপাড়া ও সেনপাড়া পর্বতা এলাকায় ৪ কিলোমিটার রাস্তা, ৫ কিলোমিটার নর্দমা ও দেড় কিলোমিটার ফুটপাত নির্মাণকাজের উদ্বোধন ও গণশুনানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা জানান।

ডিএনসিসির প্রশাসক বলেন, ডিএনসিসির সব প্রকল্পের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। প্রকল্পটি কবে শুরু হবে, কবে শেষ হবে, কতা টাকা বরাদ্দ আছে—এসব তথ্য ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে। এছাড়া, রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণ হলে নির্মাণ সামগ্রী কী, সেটা জনগণের জানা দরকার। যখন জনগণ জানবে, তখন তারা জবাবদিহি করতে পারবে।

তিনি বলেন, “আমি গত সপ্তাহে কাউকে না জানিয়ে ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে চলমান কাজ পরিদর্শন করতে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখলাম, রাস্তাকে ধরে রাখার জন্য যে ওয়াল (বিশেষ দেয়াল) দেওয়া হয়েছে, সেটার পিলার বানানোর কথা ছিল স্টোন দিয়ে; কিন্তু বানিয়ে রেখেছে ব্রিক দিয়ে। এটা বড় দুর্নীতি। স্থানীয় মানুষ যদি না জানে, কী নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হবে, তাহলে দুর্নীতি করাটা সহজ। তথ্যের যত বেশি আদান-প্রদান হবে, তথ্য যত বেশি পাবলিক করা হবে, জনগণ তত বেশি জবাবদিহি করতে পারবে। আমি ঠিকাদারকে জানিয়ে দিয়েছি, সঠিক নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার না করলে বিল দেব না। তারা বলেছে, এটা ঠিক করে দেবে।” 

মোহাম্মদ এজাজ বলেন, যার যার এলাকার কাজ তারা বুঝে নেবেন। বুঝে নেওয়ার জন্য যত তথ্য ও সহযোগিতা লাগবে, সেটা আমরা দেব। ডিএনসিসির ওয়েবসাইটে প্রকল্পের সব তথ্য ও ঠিকাদারের ফোন নম্বরসহ দেওয়া থাকবে। স্থানীয় জনগণ স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী কাজ বুঝে নেবেন। আমরা চাই, সকলের অংশগ্রহণে উন্নয়নকাজ সম্পন্ন হবে। এতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।”

তিনি বলেন, “আমরা বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতে গিয়ে স্থানীয় সোসাইটি, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সহযোগিতা পাচ্ছি। সবার অংশগ্রহণ বাড়াতে আমি বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের নিয়ে গণশুনানি করছি। প্রতি মাসে ফেসবুক লাইভে দেশে-বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের সাথে যুক্ত হচ্ছি। ডিএনসিসির সবার ঢাকা অ্যাপ আছে, সেটির পাসওয়ার্ড পর্যন্ত আমাদের দিচ্ছে না। আগে যারা ক্ষমতায় ছিলেন, তারা ৪ কোটি টাকা খরচ করে এই অ্যাপ বানিয়েছে। পাসওয়ার্ড না দিলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।”

ডিএনসিসির প্রশাসক বলেন, মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় হকারদের জন্য হাটা যায় না। মানুষের অবাধ চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা যাবে না। ঢাকা শহরে মানুষের চলাচলের অধিকার সবার আগে, সেই অধিকার আমরা বাস্তবায়নের চেষ্টা করব। মিরপুর-১০ এর প্রধান সড়কের যত হকার ও অটোরিকশা আছে, সেগুলো আমরা বন্ধ করে দেব। যারা এ ধরনের ইনফরমাল পেশায় যুক্ত আছেন, তাদের পুনর্বাসনের জন্যও আমরা প্ল্যাটফর্ম করব। তাদের জন্যও বিকল্প ব্যবস্থা আমরা তৈরি করব। এই শহরটা সবার, সবাই একসাথে বসবাস করব; কিন্তু অন্যদের কষ্ট না দিয়ে, অন্যের অধিকার নষ্ট না করে। 

বক্তৃতা শেষে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন এবং মোনাজাতে অংশ নেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, অঞ্চল-৪ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহাবুব আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

ঢাকা/এএএম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সাথে পুলিশের মতবিনিময়
  • ভিয়েতনামের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সিপিবি নেতার সৌজন্য সাক্ষাৎ
  • রাখাইনে ‘মানবিক করিডর’ দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত স্থগিতের দাবি রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের
  • ট্রাম্প কানাডাকে ‘ভেঙে ফেলতে’ চেয়েছিলেন
  • পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা
  • মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
  • হামদর্দের গাজার জনগণের প্রতি মানবিক সহায়তা
  • প্রশাসক নিয়োগের বিরুদ্ধে রিট, ইউনিয়ন পরিষদটিতে চার মাস ধরে সব সেবা বন্ধ
  • সংসদে সংরক্ষিত আসন, না তৃণমূল রাজনীতিতে অংশগ্রহণের সুযোগ?
  • স্বচ্ছতার জন্য ডিএনসিসির প্রকল্পের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে: