বাবা-মেয়ের গল্পে কাঁদছেন দর্শক, নবম দিনে জংলির শো বাড়ল দ্বিগুন
Published: 8th, April 2025 GMT
ঈদুল ফিতরে কম সংখ্যক শো নিয়ে মুক্তি পায় এম রাহিম পরিচালিত আলোচিত সিনেমা ‘জংলি’। প্রথম দিন থেকেই সিনেমাটির সবগুলো শো হাউজফুল যাচ্ছিল। তবে দর্শকদের কাছে তুমুল চাহিদা থাকলেও স্টার সিনেপ্লেক্সের সবগুলো শাখায় শো কম থাকায় সিনেমাটি দেখতে এসে টিকিট না পেয়ে ফিরে যাওয়ার ঘটনা ঘটছিল প্রতিনিয়ত। জংলি টিম থেকে তাই বার বার শো বাড়ানোর দাবিও তোলা হয়। তবে অজ্ঞাত কারণে শো না বাড়ায় এটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দর্শকদের অনেকে লেখালেখিও করেন। মাঝে শো দুয়েকটি বাড়িয়েও আবার থমকে যায়। তবে সিনেমাটি মুক্তির এক সপ্তাহ পেরোতেই জানা গেল কেবল স্টার সিনেপ্লেক্সেই দ্বিগুন শো বেড়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিনেমাটির প্রযোজনা সংস্থা টাইগার মিডিয়ার কর্ণধার জাহিদ হাসান অভি।
অভি জানান, 'আমাদের জংলি গল্পের সিনেমা। এই এক সপ্তাহে সেটা দর্শকদের মুখ থেকেই প্রমাণিত হয়েছে। দর্শক পরিবার নিয়ে হলে এসে জংলি দেখছেন। একজন দর্শকও জংলির কোনো খারাপ রিভিউ দেয়নি। এটাই আমাদের জন্য বড় প্রাপ্তির। এমন একটি গল্পের ছবির শো কমিয়ে রাখা হয়েছিল এতদিন; সিনেপ্লেক্সের সবগুলো শাখায় আমাদের মাত্র সাতটি শো দিয়েছিল। অথচ সবগুলো শোয়ের টিকিট অগ্রিম আগেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছিল। তারপরও শো বাড়ানো হচ্ছিল না। অথচ ঈদের ছবির সর্বাধিক ভাইভ ছিল জংলির। দর্শকদের ভালো লাগা আর চাহিদার কারণে এক সপ্তাহের মাথায় এসে কেবল স্টার সিনেপ্লেক্সেই জংলির শো দ্বিগুন করা হয়েছে।'
অভি আরও বলেন, 'আমি আগেও বলেছি জংলি লম্বা রেসের ঘোড়া। আমার বিশ্বাস দিনকে দিন এটির শো আরও বাড়বে। কারণ এটি পরিবারের সব সদস্যদের নিয়ে দেখার মত ছবি। আর যে ছবি পরিবারের দর্শক টানতে পারে, সে ছবিগুলোই লং রানে সাফল্য পাবে।'
স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষে থেকে জানা যায়, ঈদের দিন জংলির কেবল সাতটি শো ছিল। দ্বিতীয় দিনে তা বেড়ে হয় ৯টি। চতুর্থদিনে সেটা কমিয়ে শো দেওয়া হয়েছিল মাত্র ৬টি। অষ্টম দিনে এসে শো হয় ৮টি। নবম দিনে এসে সিনেমাটির শো দেওয়া হয়েছে ১৪টি । যা মুক্তির দিনের সংখ্যার দ্বিগুন।
জংলি সিনেমা মূখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছন সিয়াম আহমেদ, বুবলী ও দীঘি। শিশু শিল্পী চরিত্রে অভিনয় করেছেন নৈঋতা। মুক্তির পর দিন থেকেই সিনেমাটির গল্প ও আর্টিস্টদের অভিনয় দারুণভাবে প্রংশিত হচ্ছে।
সিয়াম আহমেদ বলেন, 'জংলি আমাদের সিনেমা। আমাদের দেশের গল্পের সিনেমা। কমার্শিয়াল অ্যাপ্রোচেই আমরা ফ্যামিলিফ্রেন্ডলি একটি সিনেমা বানিয়েছি। যেমন ধরুন, আমরা ছবিতে শিশুদের ব্যাড টাচ ও গুড টাচের বিষয়টিও তুলে এনেছি। সিনেমাটির জন্য পুরো টিম অক্লান্ত পরিশ্রম করে দারুণ একটি গল্প বলার চেষ্টা করেছে। মুক্তির পরদিন থেকে হলে গিয়ে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া সরাসরি দেখার চেষ্টা করেছি। ছবিটি দেখার পর দর্শকরা যে রিঅ্যাকশন দিচ্ছে, তাতে মনে হয়েছে গল্পটি বলতে আমরা সফল। তবে মুক্তির পর দিন থেকে ছবিটি আরও শো পেলে আরও দারুণ কিছু ঘটতে পারতো।
প্রথম দিন থেকে শো না পাওয়া দরুণ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সিনেমাটির ‘ক্যাপ্টেন অব দ্য শিপ’ এম রাহিম। তিনি বলেন, 'জংলি দারুণ একটি গল্পের সিনেমা, শুরু থেকেই বলে আসছি। মুক্তির দিন থেকে দর্শকদের চাহিদাও তুঙ্গে ছিল। অথচ আমাদের শো কম দেওয়া হলো, বার বার বলার পরও তারা শো বাড়াল না। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি ভালো সিনেমা হলে দর্শকদের কাছে সেটি গুরুত্ব পাবেই। শেষ অব্দি সেটাই ঘটছে। দর্শকরা জংলি দেখছেন। শুধু দেখছেন না পরিবারের অন্য সদস্যদেরও দেখার জন্য বলছেন। এটিই আমাদের বড় প্রাপ্তি।'
জংলি সিনেমার চারটি গানের সংগীত পরিচালনা করছেন প্রিন্স মাহমুদ। সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান, শহীদুজ্জামান সেলিম, রাশেদ মামুন অপু, সোহেল খান, এরফান মৃধা শিবলু প্রমুখ।
টাইগার মিডিয়া প্রযোজিত ‘জংলি’ সিনেমার গল্প লিখেছেন আজাদ খান, চিত্রনাট্য করেছেন যৌথভাবে মেহেদী হাসান মুন ও কলকাতার সুকৃতি সাহা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স য় ম আহম দ ঈদ র স ন ম পর ব র কর ছ ন আম দ র সবগ ল
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’
ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।