কক্সবাজারে রেস্টুরেন্টে হামলার ঘটনায় মামলা, আসামি ৩০০
Published: 8th, April 2025 GMT
ফিলিস্তিনে গণহত্যা ও গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার প্রতিবাদে কক্সবাজারে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে রেস্টুরেন্টে হামলার ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াস খান জানান, সোমবার (৭ এপ্রিল) শহরের কলাতলী ও সুগন্ধা পয়েন্ট এলাকায় রেস্টুরেন্টে হামলার ঘটনায় মোহাম্মদ হাশিম (২৮) নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।
আটক হাশিম কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বানিয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে। তিনি শহরের সুগন্ধা পয়েন্টে অবস্থিত গ্র্যান্ড মেজবানি হোটেলের কর্মচারী বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
আরো পড়ুন:
খুলনায় বাটা ও কেএফসি’র শো রুমে হামলা-ভাঙচুর
মাদারীপুরে হামলায় আহত ইউপি সদস্যের মৃত্যু
ওসি ইলিয়াস জানান, হামলার সময়কার ছবি ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে হাশিমকে শনাক্ত করার পর তাকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পানসি রেস্টুরেন্টের মালিক নুরুল আলম চৌধুরী বাদী হয়ে থানায় মামলা (নম্বর ১৩/১৯০) করেছেন। মামলায় নাম না জানা ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “ঘটনার পর থেকে শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অন্যান্য জড়িতদের শনাক্ত করতে কাজ করছে পুলিশ।”
গতকাল সোমবার ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে কক্সবাজারে সর্বস্তরের জনতা বিক্ষোভ মিছিল করে। এসময় কিছু উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি ‘ইসরায়েলি পণ্য রয়েছে’ এমন অভিযোগ তুলে শহরের কলাতলী এলাকায় কিছু রেস্টুরেন্টে হামলা ও ভাঙচুর চালায়।
ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঘটন য় শহর র
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় ফুটপাত দখল করে দোকানের পসরা, কোটি টাকার চাঁদাবাজির অভিযোগ
বগুড়া শহরের সার্কিট হাউস-কালীবাড়ি মোড় সড়কে সারি সারি ভ্যানে হরেক খাবারের পসরা। পিৎজা, বার্গার, স্যান্ডউইচ, চিকেন শর্মা, মিটবক্স—সবই মিলছে রাস্তার পাশের এসব দোকানে। ক্রেতারা মূলত কিশোর ও তরুণ-তরুণী।
দোকানগুলোতে নেই কোনো আলাদা শেফ। বিক্রেতারাই নিজের হাতে খাবার তৈরি করছেন, পরিবেশনও করছেন। কারও হাতে গ্লাভস নেই, শরীরে নেই অ্যাপ্রোন। বিকেল গড়াতেই এসব ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকানে ভিড় জমছে। কোর্ট হাউস স্ট্রিটের পাশেই আছে ‘পিজ অ্যান্ড বার্গ’, ‘পদ্মা ফুডস’ ও ‘হিলিয়াম রেস্টুরেন্ট’-এর মতো নামীদামি খাবারের দোকান। একসময় সন্ধ্যায় এসব প্রতিষ্ঠানে ক্রেতার ঢল নামত। এখন সে ভিড় চলে গেছে রাস্তার পাশে বসা দোকানগুলোর দিকে।
পদ্মা ফুডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও জলেশ্বরীতলা ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমদাদ আহমেদ বলেন, ‘অভিজাত এ এলাকায় একটি খাবারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। অন্তত ১৪টি প্রতিষ্ঠান থেকে সনদ নিতে হয়। এসব নবায়নে প্রতিবছর মোটা অঙ্কের টাকা গুনতে হয়। ভবন ভাড়া, দামি শেফ ও কর্মচারীর বেতন—সব মিলিয়ে খরচ বিপুল। অথচ রাস্তার পাশে ভ্যানে বসা দোকানে বিনিয়োগ মাত্র ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। কোনো সনদ নেই, দোকানভাড়া নেই, কর্মচারীও নেই। শুধু দামে সস্তা বলে ক্রেতারা ঝুঁকছেন ওদিকে। সড়ক দখল করে দোকান বসায় যানজটও বাড়ছে। অভিযোগ করেও প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো প্রতিকার মিলছে না।
বগুড়া হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এসএম দেলোয়ার হোসেন বলেন, জলেশ্বরীতলা অভিজাত এলাকা। এখানে দোকান দিতে বিপুল বিনিয়োগ লাগে। নামীদামি দোকানে একটি পিৎজার দাম ৫০০ টাকা হলে ভ্রাম্যমাণ দোকানে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকলেও ক্রেতারা সস্তা পেয়ে সেখান থেকেই কিনছেন। এতে অভিজাত রেস্টুরেন্টগুলো লোকসানে পড়ছে। এর সঙ্গে তিনি যুক্ত করেন, ‘আমরা স্ট্রিট ফুড ব্যবসার বিরোধী নই। তবে সেটা অভিজাত এলাকা থেকে সরিয়ে পৌর পার্ক, অ্যাডওয়ার্ড পার্কসংলগ্ন সড়ক কিংবা সরকারি আজিজুল হক কলেজের পাশের এলাকায় নিতে প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি।’
সড়কজুড়ে দোকান, ভোগান্তিতে শহরবাসীসম্প্রতি দেখা যায়, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে সড়কের এক পাশে ২০-২৫টি ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকান বসেছে। অন্য পাশে ফলের দোকান। বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আদালত প্রাঙ্গণের সামনে যানজট লেগেই থাকে।
এ ছাড়া পৌরসভা লেন, জেলা খানা মোড়, বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বাকী সড়ক, মহিলা ক্লাব মোড়, শহীদ আবদুল জব্বার সড়ক, সাতমাথা-সার্কিট হাউস সড়কসহ শহরের নানা সড়কেই বসছে ফুচকা, চটপটি, জুস, ফাস্ট ফুড ও ফলের দোকান।
সাতমাথায় প্রতিদিন বসছে অর্ধশতাধিক দোকান। জিলা স্কুলের সামনে চটপটি ও কাবাবের দোকানগুলোর চেয়ার বসানো হয়েছে ফুটপাত দখল করে। কবি নজরুল ইসলাম সড়ক, থানা মোড়, বড়গোলা, দত্তবাড়ি, কালিতলা—সবখানেই দুই পাশে দোকান।
রাস্তা দখল করে দোকান বসানোয় বেশির ভাগ সময় যানজটে থাকে শহরে। সম্প্রতি তোলা