চীনের উত্তরাঞ্চলীয় হেবেই প্রদেশের একটি নার্সিং হোমে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এতে ২০ জন নিহত হয়েছেন।

বুধবার (৯ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।

রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া নিউজের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে রাজধানী বেইজিং থেকে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার (১১২ মাইল) উত্তর-পূর্বের চেংদে শহরের লংহুয়া কাউন্টির একটি নার্সিং হোমে আগুন লাগে।

আরো পড়ুন:

চীনা পণ্যে ১০৪ শতাংশ মার্কিন শুল্ক কার্যকর আজ থেকেই

চীনা পণ্যে আরো ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের

বুধবার ভোর ৩টা পর্যন্ত মোট ২০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। কী কারণে সেখানে অগ্নিকাণ্ড ঘটলো তা তদন্ত করা হচ্ছে।

বুধবার চীনের মন্ত্রিসভা ‘স্টেট কাউন্সিল’ জানিয়েছে, তারা উত্তরাঞ্চলীয় হেবেই প্রদেশের চেংদে শহরের একটি নার্সিং হোমে অগ্নিকাণ্ডে ২০ জন নিহত হওয়ার ঘটনার তদন্ত এবং পরিচালনার সরাসরি তত্ত্বাবধান করবে।

স্টেট কাউন্সিল হেবেই প্রদেশকে পর্যালোচনা এবং অনুমোদনের জন্য একটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। প্রতিবেদন এবং দায়ীদের শাস্তি, সেইসঙ্গে যেকোনো সংশোধনমূলক ব্যবস্থা জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে বলে স্টেট কাউন্সিল জানিয়েছে।

নার্সিং হোমটির দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হেবেই পুলিশ।

চীনের সরকারি সংবাদপত্র হুবেই ডেইলির অনলাইন পোর্টাল জিমু নিউজের তথ্য অনুযায়ী, ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট গুওয়েন সিনিয়র হোমে অগ্নিকাণ্ডের সময় ২৬০ জন বয়স্ক বাসিন্দা ছিলেন। নথিপত্র অনুযায়ী, তাদের মধ্যে ৯৮ জন সম্পূর্ণ প্রতিবন্ধী, ৮৪ জন আধা-প্রতিবন্ধী এবং বাকি ৭৮ জন বাসিন্দা স্ব-যত্নে সক্ষম।

২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত গুওয়েন সিনিয়র হোমটি হেবেইয়ের প্রাদেশিক নাগরিক বিষয়ক বিভাগ কর্তৃক ‘গ্রেড ওয়ান নার্সিং হোম’ হিসেবে স্বীকৃতি পায়। লাইসেন্সিং রেকর্ড অনুসারে, এর ব্যবসায়িক পরিধি ছিল ‘বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য আবাসন, খাবার এবং ডে কেয়ার সরবরাহ করা’।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ২০ জন

এছাড়াও পড়ুন:

মোবাইল চুরির সন্দেহে যুবককে কুপিয়ে হত্যা, আটক ৩

পাবনায় মোবাইল ফোন চুরি করার সন্দেহে রাসেল হোসেন (৩১) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে তার মামাত ভাইদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।

শনিবার (১৪ জুন) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে পাবনা সদর উপজেলার জাফরাবাদ এলাকায় তাকে হত্যা করা হয়। নিহত রাসেল হোসেন জাফরাবাদ এলাকার নজির উদ্দিনের ছেলে।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:

সুনামগঞ্জে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবক নিহত

দৃষ্টিহীন বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার (১৪ জুন) রাতে রাসেলের মামাত ভাই জাফরাবাদ এলাকার মকবুল হোসেনের বাড়ি থেকে একটি মোবাইল ফোন সেট চুরি হয়। মোবাইল চুরির ঘটনায় রাসেলকে সন্দেহ করে একই এলাকার তানজিল হোসেন নামে এক যুবক রাসেলকে মোবাইল ফোন সেটটি ফেরত দিতে বলেন। এতে রাসেল চুরির কথা অস্বীকার করে ক্ষুব্ধ হয়ে তানজিলকে মারধর করেন। এরই জের ধরে তানজিলের স্বজন ও মকবুলের সহযোগীরা রাসেলদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে রাসেলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে রাসেলের মৃত্যু হয়।

তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে নিহত রাসেলের বোন অঞ্জনা খাতুন বলেন,  ‘‘তাদের এলাকার সাইফুলের পরিত্যক্ত সেমাই কারখানার কলা গাছ থেকে কলা কাটাকে কেন্দ্র করে মামাত ভাই মকবুলদের সঙ্গে রাসেলের বিরোধের সৃষ্টি হয়। সেই বিরোধকে কেন্দ্র করে আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’’ 

এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুইজন মহিলাসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলায় তাদের অভিযুক্ত করা হলে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হবে।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে আটককৃতদের নাম-পরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানান ওসি। 

ঢাকা/শাহীন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ