চাঁদপুরে পৃথক ঘটনায় পুকুরের পানিতে ডুবে মা-ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৯ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে।

হাসপাতাল ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের বাখরপুর গ্রামে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসে খাদিজা আক্তার (৩০) ও তার দুই সন্তান। সকাল ১০টার দিকে দুই ছেলেকে নিয়ে বাড়ির পুকুরে গোসলে নামেন খাদিজা। কিন্তু, তাদের কেউই সাঁতার জানত না।

হঠাৎ দুই ছেলে পুকুরের পানিতে তলিয়ে গেলে খাদিজা বড় ছেলেকে উদ্ধারের পর ছোট ছেলে আবু বকরকে (৭) উদ্ধারে পানিতে ডুব দেওয়ার পর দুজনই তলিয়ে যান। পরে বাড়ির লোকজন তাদের উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরো পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের সামনের পুকুরে কিশোরের লাশ

মাদারীপুরে হামলায় আহত ইউপি সদস্যের মৃত্যু

অপরদিকে, পার্শ্ববর্তী বালিয়া ইউনিয়নে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুকুরের পানিতে ডুবে যায় মাকসুদা (২) নামের এক শিশু। দ্রুত শিশুটিকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন।

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বিল্লালুর রহমান ও সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

বাহার মিয়া পানিতে ডুবে তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঢাকা/অমরেশ/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন হত

এছাড়াও পড়ুন:

জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।

মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ