ট্রাম্পের ১০৪ শতাংশের জবাবে চীনে ৮৪ শতাংশ শুল্ক, টালমাটাল বিশ্ববাজার
Published: 9th, April 2025 GMT
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২ এপ্রিল বিশ্বের প্রায় দেশের পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন। সেই শুল্কের একাংশ সেদিন থেকেই কার্যকর হয়ে যায়। বাকি অংশ ৯ এপ্রিল কার্যকর হয়েছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এর মধ্য দিয়ে বাণিজ্যযুদ্ধ পুরোদমে শুরু হয়ে গেল। ফলে ২ এপ্রিলের পর ৯ এপ্রিল ছিল আরেকটি ঘটনাবহুল দিন।
৯ এপ্রিল সকাল (বাংলাদেশ সময়) থেকেই বৈশ্বিক গণমাধ্যমে একের পর এক সংবাদ প্রকাশিত হতে থাকে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতেই জানা যায়, চীনের প্রতিশোধমূলক শুল্কে খেপে ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক বাড়িয়ে ১০৪ শতাংশে উন্নীত করেছেন। ট্রাম্পের সর্বশেষ শুল্ক আরোপের জবাবে চীন মার্কিন পণ্যে ৮৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। যা আগে ছিল ৩৪ শতাংশ। ১০ এপ্রিল থেকে এই শুল্ক কার্যকর হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ১০৪ শতাংশ শুল্ককে নিপীড়নমূলক আখ্যা দিয়ে তারা এই শুল্ক আরোপ করেছে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ১০৪ শতাংশ শুল্কের প্রতিক্রিয়ায় বুধবার এশিয়ার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হতে হতেই বড় ধরনের পতন হয়। এরপর ইউরোপের শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হওয়ার পরপরই সূচকের পতন হয়। যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক আঞ্চলিক সূচক প্যান-ইউরোপীয় স্টকস ৬০০ কমেছে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ। আঞ্চলিক এই সূচকের অন্তর্ভুক্ত সব খাতের শেয়ারের দামেই নেতিবাচক প্রবণতা চলছে।
আঞ্চলিক স্বাস্থ্যসেবা, খনি ও তেল ও গ্যাস খাতের সূচকগুলো ব্যাপক হারে পড়ে গেছে। এর মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা, খনি, তেল ও গ্যাস খাতের শেয়ারের দাম যথাক্রমে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ, ৩ দশমিক ৩ শতাংশ ও ৪ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে।
সেই সঙ্গে দাম কমেছে জ্বালানি তেলের। চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম নেমে এসেছে ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলারে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির পর যা সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। দর কমেছে ডলারের। সব মিলিয়ে মন্দার আশঙ্কা আরও ঘনীভূত হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
ভারতের এনডিটিভির সংবাদে নতুন কিছু খাতে শুল্ক আরোপের তথ্য দেওয়া হয়েছে। ৯ এপ্রিল থেকে কার্যকর হওয়া ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কের আওতার বাইরে কিছু খাত রয়ে গেছে, যেমন ওষুধ ও সেমিকন্ডাক্টর। তবে তারাও বেশি দিন আওতার বাইরে থাকতে পারবে না। সংবাদে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প শিগগিরই ওষুধ খাতে বড় ধরনের শুল্ক আরোপ করতে পারেন। সেই শুল্কবাণে রীতিমতো ক্ষতবিক্ষত হতে পারে ভারতের ওষুধশিল্প।
ভারতের ওষুধ রপ্তানির মূল বাজার হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারত যত ওষুধ রপ্তানি করেছে, তার ৩১ শতাংশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রে; অর্থের পরিমাণের দিক থেকে যা ৮ দশমিক ৭ বিলিয়ন বা ৮৭০ কোটি ডলার।
গতকাল মঙ্গলবার ন্যাশনাল রিপাবলিকান কংগ্রেশনাল কমিটির সভায় ট্রাম্প বলেন, এমনভাবে ওষুধশিল্পে শুল্ক আরোপ করা হবে যে কোম্পানিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত হবে।
বিবিসির সংবাদে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘটনায় শুরু থেকেই যুদ্ধংদেহী ছিল চীন। ২ এপ্রিলের পর চীনও মার্কিন পণ্যে প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করে। এরপর ট্রাম্প আরও অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছেন চীনের পণ্যে। সব মিলিয়ে চীনের পণ্যে অতিরিক্ত ১০৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে চীন জানিয়েছে, এই দ্বন্দ্ব সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করতে ইচ্ছুক। যদিও তারা একই সঙ্গে বলেছে, এই বাণিজ্য ঘাটতি অনিবার্য ও কাঠামোগত বিষয়। ট্রাম্প চীনকে এ রকম আঘাত করতে থাকলেও বা পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু করতে চাইলে তারাও প্রস্তুত। সে কারণে তারাও আবার ৮৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে।
আজ বুধবার চীন বাণিজ্যবিষয়ক শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে। সেখানে তারা বলেছে, চীন সব সময়ই চেষ্টা করেছে মার্কিন-চীন বাণিজ্য যেন সব সময় উভয়ের জন্য লাভজনক হয়। শ্বেতপত্রে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই পাল্টা শুল্কে বৈশ্বিক বাণিজ্যব্যবস্থা, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হবে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ইউরোপ প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পথে হাঁটছে। আজ বুধবার ইউরোপের নেতারা ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কের জবাবে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। ইউরোপের ব্যবসা-বাণিজ্য সমন্বয় করে ইউরোপীয় কমিশন। তারা বিভিন্ন ধরনের মার্কিন পণ্যে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব দিয়েছে, যেমন মোটরসাইকেল, মুরগি, ফলমূল, কাঠ, পোশাক ও ডেন্টাল ফ্লস। এ–সংক্রান্ত একটি নথি রয়টার্সের হাতে এসেছে।
ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করছে, ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কের যে প্রভাব ইউরো অঞ্চলে পড়বে বলে আগে হিসাব করা হয়েছিল, এখন তারা মনে করছে, প্রভাব তার চেয়ে বেশি হবে। বিষয়টির সঙ্গে সম্পৃক্ত চারটি সূত্র রয়টার্সকে এ তথ্য দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থায়ন সচল রেখে অর্থনীতি স্থিতিশীল রাখা হবে বলে জানিয়েছে।
মন্দার আশঙ্কা
বিবিসি জানিয়েছে, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের আর্থিক স্থিতিশীলতা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি জরিপে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৬২ শতাংশ আশঙ্কা করছে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি শ্লথ হবে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড মনে করছে, বিশ্ব এক অভূতপূর্ব পরিস্থিতির মুখে পড়েছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা সতর্ক।
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি তথ্যে জানা যায়, সে দেশে দেউলিয়া ঘোষণার হার বাড়ছে। গত বছরের মতো চলতি বছরেও এই আবেদন বৃদ্ধির হার অব্যাহত। সাধারণ মানুষ তেমনভাবে অবসর বা বিনোদনে অর্থ ব্যয় করছেন না। তার ওপরে আমদানি পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধি পাওয়ায় মূল্যস্ফীতির হার আবারও বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিভিন্ন দেশের প্রতিশোধমূলক শুল্কে দেশটির রপ্তানিও মার খেতে পারে।
ওয়াশিংটন পোস্টের সংবাদে বলা হয়েছে, কানাডার মতো প্রতিবেশী দেশের পর্যটকদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির একাংশ নির্ভরশীল, শুল্ক নিয়ে টানাপোড়েনের জেরে সেই দেশ থেকেও যুক্তরাষ্ট্রে পর্যটক আসা কমেছে। সব মিলিয়ে মন্দার আশঙ্কা গত সপ্তাহের ৩৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে চলতি সপ্তাহে ৪৫ শতাংশ করেছে বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান গোল্ডম্যান স্যাক্স।
জেপি মর্গান, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল—সবাই যুক্তরাষ্ট্রে মন্দার আশঙ্কা করছে। জেপি মর্গান আরও জানিয়েছে, বছর শেষে মূল্যস্ফীতির হার এখনকার ২ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪ দশমিক ৪ শতাংশে উঠতে পারে। ফেডারেল রিজার্ভ আটলান্টার পূর্বাভাস, জানুয়ারি-মার্চে জিডিপি কমতে পারে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ।
বিশ্ববাজারে আজ বুধবার সোনার দাম বেড়েছে। এই ঘোর অনিশ্চয়তার সময় সোনার দাম বাড়বে, সেটাই স্বাভাবিক। যদিও ২ এপ্রিলের পর সোনার দামও পড়ে গিয়েছিল। আজ আউন্সপ্রতি সোনার দাম আবার তিন হাজার ডলার পেরিয়ে গেছে। আউন্সপ্রতি দাম বেড়েছে ৬২ দশমিক ১২ ডলার বা ২ দশমিক ১২ শতাংশ। খবর গোল্ড প্রাইস ডট অর্গের।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, এই যখন পরিস্থিতি, তখনো কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্ভার। মঙ্গলবার তিনি বলেছিলেন, সমস্যা সারাতে ওষুধ দিতে হয়। তিনি সেই ওষুধ দিয়েছেন। এরপর কিছু ওলটপালট হবে, এটাই স্বাভাবিক। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রেসিডেন্ট বা সরকারপ্রধানেরা যেভাবে তাঁকে ফোন করছেন, তাতে ট্রাম্প বেশ খুশি, বিষয়টি তিনি উপভোগ করছেন।
সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স, ওয়াশিংটন পোস্ট ও এনডিটিভি
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ শ ল ক আর প শ ল ক আর প র পর স থ ত রয়ট র স ইউর প য় ক র যকর ব যবস থ করছ ন দশম ক
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলে মার্কিন অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর চেষ্টা সিনেটে ব্যর্থ
গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক নিন্দার মধ্যে, ইসরায়েলের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি আটকাতে মার্কিন সিনেটে তোলা একটি বিল পাস হতে ব্যর্থ হয়েছে।
ব্যর্থ হলেও, বুধবারের ভোটে দেখা গেছে, মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভেতরে ইসরায়েলের যুদ্ধের বিরোধিতা জোরদার হয়ে উঠেছে।
আজ বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর প্রচেষ্টায় এবারের ভোটে উল্লেখযোগ্য সংখ্যাক ডেমোক্র্যাট যোগ দিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
ভারতের ৬ প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্নের ঘোষণা ট্রাম্পের
ইসরায়েলের কাছে ২০ হাজার স্বয়ংক্রিয় অ্যাসল্ট রাইফেল বিক্রি বন্ধ করার প্রস্তাবের পক্ষে ২৭ জন ডেমোক্র্যাট ভোট দিয়েছেন, আর ৬৭৫ মিলিয়ন ডলারের বোমার চালান বন্ধ করার পক্ষে ২৪ জন ভোট দিয়েছেন।
অন্যদিকে, ভোটদারকারী সব রিপাবলিকান সিনেটররা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রির দুটি চুক্তি আটকে দিতে প্রস্তাবগুলো সিনেটে আনেন ভার্মন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। তিনি প্রগতিশীল ঘরানার স্বতন্ত্র সিনেটর।
ভোটের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে স্যান্ডার্স বলেন, “ওয়াশিংটন ইসরায়েলের ‘বর্ণবাদী সরকার’কে এমন অস্ত্র সরবরাহ করা চালিয়ে যেতে পারে না, যা নিরীহ মানুষদের হত্যা করার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।”
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে একজন ‘জঘন্য মিথ্যাবাদী’ হিসেবে উল্লেখ করে স্যান্ডার্স ‘এক্স’ পোস্টে আরো বলেন, “গাজায় শিশুরা না খেয়ে মারা যাচ্ছে।”
প্রথমবারের মতো স্যান্ডার্সের প্রস্তাবকে সমর্থনকারী আইন প্রণেতাদের মধ্যে, ওয়াশিংটন রাজ্যের সিনেটর প্যাটি মারে বলেছেন, প্রস্তাবগুলো ‘নিখুঁত’ না হলেও, তিনি গাজার নিষ্পাপ শিশুদের অব্যাহত দুর্ভোগকে সমর্থন করতে পারেন না।
মারে এক বিবৃতিতে বলেন, “ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের বন্ধু ও সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও আমি প্রস্তাবের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিচ্ছি এই বার্তা দিতে: নেতানিয়াহু সরকার এই কৌশল চালিয়ে যেতে পারবে না।”
তিনি বলেন, “নেতানিয়াহু ক্ষমতায় থাকার জন্য প্রতিটি পদক্ষেপে এই যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করেছেন। আমরা গাজায় মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ প্রত্যক্ষ করছি- সীমান্তের ওপারে যখন প্রচুর পরিমাণে সাহায্য ও সরবরাহ পড়ে আছে, তখন শিশু এবং পরিবারগুলোর অনাহার বা রোগে মারা যাওয়া উচিত নয়।”
মার্কিন জনগণের মধ্যে গাজা যুদ্ধের বিরোধিতা ক্রমবর্ধমান হওয়ার পাশাপাশি ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন নিয়ে ব্যাপক আকারে বিভক্তি দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত গ্যালাপের একটি জরিপে দেখা গেছে, ৩২ শতাংশ আমেরিকান বলেছেন, তারা গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান সমর্থন করেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ৪২ শতাংশ আমেরিকান ইসরায়েলি অভিযান সমর্থন করেছিলেন।
গ্যালাপের মতে, মাত্র ৮ শতাংশ ডেমোক্র্যাট বলেছেন যে তারা ইসরায়েলের অভিযানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন, যেখানে ৭১ শতাংশ রিপাবলিকান জানিয়েছেন যে, তারা ইসরায়েলি পদক্ষেপকে সমর্থন দিয়েছেন।
ঢাকা/ফিরোজ