সোনারগাঁ উপজেলার চরগোয়ালদী এলাকায় নিলুফা আক্তার নামে এক গৃহবধূর সাজানো মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মালেয়সিয়া প্রবাসী শাহ জালালের বৃদ্ধা মা ও তার স্বজনরা।

সংবাদ সম্মেলনে তারা দাবি করেন, আমাদের পরিবার ও স্বজনদের জড়িয়ে সম্প্রতি মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

বুধবার সকালে চরগোয়ালদী এলাকায় মালেয়সিয়া প্রবাসী শাহ জালালের নিজ বাড়িতে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন ভূক্তভোগী পরিবারের লোকজন।

প্রবাসী শাহ জালালের বৃদ্ধা মা বলেন, আমার ছেলে দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে থাকায় আমার পুত্রবধূ নিলুফা আক্তার সংসারে মনোযোগী না হয়ে সময় অসময় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায়। ছেলের সংসারে আমার দুইজন নাতি নাতনি রয়েছে।

তাদের ঠিকমত লালন পালন না করে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায় এতে বাধা দিলে আমাকে মারধর করে। আমার ছেলে প্রবাস থেকে ছেলে মেয়ের লালন পালন ও সংসার খরচের জন্য প্রতি মাসে টাকা পাঠায়।

সম্প্রতি আমার পুত্রবধূ নিলুফার চালচলন বাজে আচরন ও বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানোর বিষয় আমার ছেলেকে অবগত করি। এরই সূত্র ধরে পুত্রবধূ নিলুফা আমাকে ও আমার মেয়েকে মারধর করে। কিছু হলেই বলে আমার বাড়িতে চুলা জ্বলবেনা না তুই না খেয়ে মরবি বুড়ি।

এ ব্যাপারে আমার প্রবাসী ছেলেকে আমি যখনই কিছু বলতে যাই তখনই আমার গায়ে হাত তোলে এবং স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নিয়ে আমাকে হুমকি-দামকি দিয়ে থাকেন এবং আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করেন।

নিলুফা আক্তার শান্তিনগর পাঁচানী এলাকার মৃত মোস্তফা মিয়ার মেয়ে। এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি বরাবর আবেদন রইল তিনি যেন সঠিক তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করেন।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ প ত রবধ প রব স

এছাড়াও পড়ুন:

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে গুরুত্ব আরোপ

কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কার্যত সামরিক সংঘাতে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে। এ পরস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে ফোন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। বুধবার দুজনকে করা এ ফোন কলে তিনি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া উত্তেজনা কমানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এছাড়া দুই 

ফোনালাপের বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে দেওয়া পৃথক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় মার্কো রুবিও বলেন, তিনি পেহেলগাম হামলায় নিহতদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছেন এবং যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। 

তবে তিনি আরও বলেন, ভারত যেন পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করার আগে সতর্ক থাকে, কারণ এখনও পর্যন্ত ভারত এই হামলায় পাকিস্তানের সম্পৃক্ততার কোনও প্রমাণ প্রকাশ করেনি।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক বিবৃতিতে বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণহানির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের সঙ্গে সহযোগিতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি দক্ষিণ এশিয়ায় উত্তেজনা কমাতে এবং শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে ভারতকে পাকিস্তানের সঙ্গে কাজ করার জন্য বলেছেন।

পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে ফোনালাপে রুবিও- ২২ এপ্রিল ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পর্যটন কেন্দ্র পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন।

তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, রুবিও এই অযৌক্তিক হামলার তদন্তে পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ বলেন, ভারতের উস্কানিমূলক আচরণ শুধু উত্তেজনাই বাড়াচ্ছে এবং পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টাকে বিভ্রান্ত করছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান, যেন তারা ভারতের ওপর দায়িত্বশীল আচরণ ও ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করতে চাপ প্রয়োগ করে।

এর আগে গত ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে কাশ্মীরের পেহেলগাম জেলার বৈসরণ তৃণভূমিতে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হন, যাদের প্রায় সবাই পর্যটক। হামলার দায় স্বীকার করে রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট নামে একটি সংগঠন। এটিকে পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়্যেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে মনে করা হয়।

এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজনকে আহত হন। যাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, তারা সবাই পুরুষ। বস্তুত, ২২ এপ্রিলের হামলা ছিল ২০১৯ সালের পুলোয়ামা হামলার পর জম্মু ও কাশ্মীরে সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী হামলা। বর্তমানে এ ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

পেহেলগামের ভয়াবহ ওই হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। জবাবে সিমলা চুক্তি স্থগিত ও ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দেয় পাকিস্তান।

তাছাড়া, হামলার পরে দুই দেশই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের ভিসা বাতিল করে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। সূত্র-এএফপি 

সম্পর্কিত নিবন্ধ