বিশ্বের কিছু শুষ্ক অঞ্চলে অ্যামাজন, মাইক্রোসফট ও গুগল প্রচুর পরিমাণে পানি ব্যবহার করে এমন ডেটা সেন্টার পরিচালনা করছে এবং আরো অনেকগুলো নির্মাণ করছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প তাদের সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার সাথে সাথে তিনটি প্রযুক্তি জায়ান্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বজুড়ে শত শত ডেটা সেন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা করছে। এই সেন্টারগুলো পানির ঘাটতি থাকা এলাকাগুলোর জনগোষ্ঠীর উপর সম্ভাব্য বিশাল প্রভাব ফেলবে। সোর্সমেটেরিয়াল এবং দ্য গার্ডিয়ানের এক অনুসন্ধানে বিষয়টি উঠে এসেছে।

এথিক্যাল টেক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা লোরেনা জাউমে-পালাসি বলেছেন, “পানির প্রশ্নটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। সম্পদ দৃষ্টিকোণ থেকে স্থিতিস্থাপকতা ওই সম্প্রদায়গুলোর জন্য খুব কঠিন হতে চলেছে।”

সোর্সমেটেরিয়াল এবং দ্য গার্ডিয়ানের প্রশ্নের জবাবে অ্যামাজন ও গুগলের মুখপাত্ররা তাদের উন্নয়নের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে জানিয়েছেন, তারা সর্বদা পানির ঘাটতি বিবেচনা করেন। মাইক্রোসফট কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

ডেটাসেন্টার হচ্ছে দূরবর্তী স্টোরেজ এবং ডেটা প্রক্রিয়াকরণের জন্য ব্যবহৃত নেটওয়ার্কযুক্ত সার্ভার ধারণকারী বিশাল গুদাম, সেইসাথে তথ্য প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো চ্যাট জিপিটি-এর মতো এআই মডেলগুলোকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য জলীয় শীতলীকরণ ব্যবস্থা ব্যবহার করে। সোর্সমেটেরিয়ালের বিশ্লেষণে বিশ্বের বিভিন্ন অংশে তিনটি বৃহৎ প্রযুক্তি সংস্থার মালিকানাধীন ৩৮টি সক্রিয় ডেটা সেন্টার চিহ্নিত করা হয়েছে। এই অঞ্চলগুলো ইতিমধ্যেই পানির ঘাটতির মুখোমুখি হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আরো ২৪টি ডেটা সেন্টার উন্নয়নে কাজ চলছে।

ডেটাসেন্টারগুলোর অবস্থান নিয়ে প্রায়শই গোপনীয়তা অবলম্বন করা হয়। কিন্তু স্থানীয় সংবাদ প্রতিবেদন এবং শিল্প উৎস ব্যাক্সটেল ও ডেটা সেন্টার ম্যাপ ব্যবহার করে সোর্সমেটেরিয়াল অ্যামাজন, মাইক্রোসফট ও গুগলের মালিকানাধীন ৬৩২টি ডেটাসেন্টারের একটি মানচিত্র সংকলন করেছে।

এতে দেখা গেছে, এসব কোম্পানির পরিকল্পনাগুলোতে বিশ্বব্যাপী তাদের মালিকানাধীন ডেটা সেন্টারের সংখ্যা ৭৮ শতাংশ বৃদ্ধি করার কথা বলা হয়েছে। কারণ ক্লাউড কম্পিউটিং এবং এআই এর চাহিদা বাড়ায় স্টোরেজ বাড়ানোর প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। এসব ডেটা সেন্টার উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, ইউরোপ, এশিয়া, আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

বিশ্বের যেসব অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে পানি রয়েছে, সেখানে ডেটাসেন্টারদের উচ্চ জল ব্যবহার কম সমস্যাযুক্ত। কিন্তু ২০২৩ সালে মাইক্রোসফট জানিয়েছিল, তাদের ৪২ শতাংশ পানি এমন এলাকা থেকে আসে যেকানে পানির সংকট রয়েছে। অপরদিকে গুগল জানিয়েছে, তাদের ১৫ শতাংশ পানি সংকটপূর্ণ এলাকা থেকে আসে। অ্যামাজন কোনো পরিসংখ্যান জানায়নি।

সোর্সমেটেরিয়াল এবং দ্য গার্ডিয়ানের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এখন এই কোম্পানিগুলো বিশ্বের সবচেয়ে শুষ্ক অঞ্চলে তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছে।

জাউমে-পালাসি বলেন, “এটা কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয় যে তারা শুষ্ক অঞ্চলে নির্মাণ করছে। কারণ ডেটাসেন্টারগুলো অভ্যন্তরীণভাবে তৈরি করতে হয়, যেখানে কম আর্দ্রতা ধাতুর ক্ষয়ের ঝুঁকি কমায়। অন্যদিকে সমুদ্রের জল শীতল করার জন্য ব্যবহার করলে ক্ষয়ও ঘটে।”

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবহ র কর অ য ম জন র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন চালু

তেহরানের বাংলাদেশ দূতাবাসে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। 

রোববার তেহরান দূতাবাস এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

বিজ্ঞ‌প্তিতে বলা হয়, ইরানে বসবাসরত সব বাংলাদেশি নাগরিকের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য দূতাবাস ইমার্জেন্সি হটলাইন স্থাপন করেছে। ইরানে বসবাসরত সব বাংলাদেশি নাগরিকদের নিম্নোক্ত মোবাইলফোন নম্বরগুলোতে হোয়াটসঅ্যাপসহ সরাসরি যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
+ ৯৮৯৯০৮৫৭৭৩৬৮ ও  +৯৮৯১২২০৬৫৭৪৫।

সম্পর্কিত নিবন্ধ