ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের রাজধানী সান্তো দোমিঙ্গোতে নৈশ ক্লাবের ছাদ ধসে পড়ার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২৪ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ১৫০ জনের বেশি মানুষকে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা গতকাল বুধবার হতাহতের এ সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে প্রাদেশিক গভর্নর ও মেজর লিগ বেসবলের সাবেক খেলোয়াড় অক্তাভিও দোতেলও রয়েছেন। ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধারের পর হাসপাতালে নেওয়ার পথে ৫১ বছর বয়সী দোতেল মারা যান।

নৈশ ক্লাবটির নাম জেট সেট। গত সোমবার দিবাগত রাতে সেখানে জনপ্রিয় মেরেঙ্গু গায়ক রুবি পেরেজের কনসার্ট চলাকালে ছাদ ধসে পড়ে। ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়াদের মধ্যে তিনিও আছেন বলে জানা গেছে।

ঘটনার সময় কয়েক শ মানুষ নৈশ ক্লাবের ভেতরে ছিলেন। ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিতদের উদ্ধারের চেষ্টায় প্রায় ৪০০ জন উদ্ধারকারী কাজ করছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টারের (সিওই) পরিচালক হুয়ান ম্যানুয়েল মেন্ডিজ বলেছেন, ধসে পড়া ছাদের নিচে চাপা পড়া অনেকেই এখনো বেঁচে আছেন বলে আশা তাঁর।

জেট সেট সান্তো দোমিঙ্গো এলাকার একটি জনপ্রিয় নৈশ ক্লাব। সেখানে নিয়মিতই সোমবার সন্ধ্যায় ডান্স মিউজিক কনসার্টের আয়োজন করা হয়। ছাদ ধসে পড়ার সময় রাজনীতিবিদ, ক্রীড়াবিদ ও অন্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

প্রেসিডেন্ট লুইস আবিনাদের বলেছেন, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে মন্টে ক্রিস্টি প্রদেশের গভর্নর নেলসি ক্রুজও আছেন। তিনি সাবেক বেসবল খেলোয়াড় নেলসন ক্রুজের বোন। 

ক্লাবের ভেতর ধারণ করা ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, রুবি পেরেজ গান গাওয়ার সময় মঞ্চের সামনে লোকজন বসে আছেন। কেউ কেউ আবার পেছনে সংগীতের তালে নাচছিলেন।

আরও পড়ুনডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রে নৈশ ক্লাবের ছাদ ধসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭৯ ১৬ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ছ দ ধস

এছাড়াও পড়ুন:

শিশু শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত, থানায় অভিযোগ করায় নানাকে কুপিয়ে হত্যা

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনায় কয়েক বখাটের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন তার স্বজন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ছাত্রীর নানা আজগর আলীকে (৬০) কুপিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয়ভাবে বখাটে হিসেবে পরিচিত আল-আমিন নামে এক যুবক ও তার সহযোগীরা। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের রায়দক্ষিণ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আজগর আলী রায়দক্ষিণ গ্রামে একটি চায়ের দোকান চালাতেন। অভিযুক্ত আল-আমিন একই গ্রামের মৃত কালু প্রামাণিকের ছেলে।

পুলিশ, নিহতের পরিবার এবং স্থানীয় সূত্র জানায়, যে শিশুটিকে উত্ত্যক্ত করত বখাটেরা, তার মা পাঁচ বছর আগে মারা যান। মেয়েটি নানা আজগর আলীর বাড়িতে থেকে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে পড়ত। বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে শিশুটিকে প্রায় উত্ত্যক্ত এবং অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করত আল-আমিন। এ নিয়ে আজগর আলীসহ মেয়েটির স্বজন বেশ কয়েকবার প্রতিবাদ করলেও কোনো কাজ হয়নি। গত সোমবার মেয়েটির নানা আজগর আলী সিংগাইর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। মঙ্গলবার অভিযোগটি তদন্ত করার পর তা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়।    

এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয় আল-আমিন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আল-আমিন চার থেকে পাঁচটি মোটরসাইকেলে করে সহযোগীদের নিয়ে আজগর আলীর চায়ের দোকানে যায়। তারা বৃদ্ধ আজগর আলীকে দোকান থেকে বের করে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লাটিসোঠা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। হামলাকারীরা চলে গেলে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আজগর আলীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে রাতেই তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা আজগর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।

আজগর আলীর শ্যালক নজরুল ইসলাম জানান, মাদক সেবন, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধে জড়িত বখাটে আল-আমিন। 

সিংগাইর থানার ওসি তৌফিক আজম বলেন, নিহতের বড় ছেলে আইয়ুব খান বুধবার আল-আমিনকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকে আল-আমিন ও তার সহযোগীরা পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ