গাজীপুর সাফারি পার্কে লেমুর চুরি, ৩ জনকে অন্যত্র বদলি
Published: 10th, April 2025 GMT
গাজীপুর সাফারি পার্ক থেকে নীলগাই ও ম্যাকাও পাখির পর গত ২২ মার্চ রাতে বেষ্টনির জাল কেটে আফ্রিকান লেমুর নামের প্রাণী চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এর ফলে বর্তমানে এই সাফারি পার্কটি লেমুরশূন্য। দেশের আর কোন সাফারি পার্কেও এ বিলুপ্ত প্রাণীটি নেই।
গাজীপুর সাফারি পার্ক থেকে আফ্রিকান লেমুর চুরির আলোচনার মধ্যেই পার্কের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজনকে বদলি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকালে এই বদলির খবর নিশ্চিত করেছেন বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা শারমিন আক্তার।
তবে তিনি জানান, পার্কে চুরির ঘটনায় অথবা দায়িত্বে অবহেলার কারণে নয়, এটি বদলির স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।
বুধবার (৯ এপ্রিল) পার্কের ওয়াইল্ডলাইফ সুপারভাইজার মো.
এদিকে, গাজীপুর সাফারি পার্কের লেমুর চুরির ঘটনার পর বুধবার পার্ক পরিদর্শন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
এ সময় এই উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, “আপনি একটা হরিণের কথা বলতে পারেন। বনাঞ্চল থেকে বেরিয়ে এলে মানুষ তা ধরে খেয়ে ফেলেছে। সেটা এক বিষয়, কিন্তু লেমুরের মতো এমন একটা প্রজাতি কী জন্য নিখোঁজ হয়ে যাবে? কেন হারিয়ে গেল? সেটার সঙ্গে যারা প্রহরায় ছিল তাদের দায়িত্ব কতটুকু পালন করেছে? এটা অবশ্যই দেখতে হবে। আর এ জায়গাটা খুবই সংবেদনশীল।”
রিজওয়ানা হাসান বলেন, “বারবার যেখানে এমন দুর্লভ প্রাণীগুলো হারিয়ে যাচ্ছে, সেই জায়গাগুলোতে কেন সিসিটিভি ক্যামেরা কাজ করছে না? সিসিটিভি ক্যামেরা বসাতে কত টাকা লাগবে? এখানকার নিরাপত্তার বিষয়টিও আমাকে দেখতে হবে। আমি মনে করি, এখানে যেভাবে দায়িত্ব পালন করা উচিত ছিল, সেভাবে পালন করা হয়নি। আর এ রকম দুর্লভ প্রাণী হারিয়ে গেলে ১৪ দিন পর মামলা করে অনুসন্ধান শুরু করলে পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে আসে। এখানে যে সংগঠিত অপরাধ চক্র রয়েছে, এটা কিন্তু প্রমাণিত। চক্রটি কী করে ধরা যায়, সে কাজটিও করা হচ্ছে।”
উপদেষ্টা আরো বলেন, “যতটুকু সম্ভব বিস্তারিত তদন্ত করা হবে। বাইরের বিশেষজ্ঞ যুক্ত করা হবে। কী করে এমন ঘটনা ভবিষ্যতে প্রতিহত করা যায়, তা দেখা হবে। আর জায়গাটি অবশ্যই অরক্ষিত নয়। সেখানে ঢুকে কী করে লেমুর চুরি করল, সেটি খতিয়ে দেখা হবে। সরকারের পক্ষে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেখানে বন্য প্রাণী বিশেষজ্ঞের পাশাপাশি অপরাধ বিশেষজ্ঞরা থাকবেন।”
ঢাকা/রফিক/টিপু
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বন্ধুদের নিয়ে ‘উড়াল’
আট বছর আগে জোবায়দুর রহমানকে গল্পটা শুনিয়েছিলেন সম্রাট প্রামানিক। জোবায়দুর তখন সহকারী পরিচালক, স্বপ্ন চলচ্চিত্র নির্মাতা হওয়া। কয়েক বছর পর সত্যি সত্যিই যখন সিনেমা নির্মাণের কথা ভাবলেন, শুরুতেই তাঁর সেই গল্পের কথা মনে পড়ল। সম্রাটকে ফোন করলেন জোবায়দুর, চায়ের দোকানে বসে আবারও গল্পটা শুনলেন। ঠিক করলেন, এ গল্প থেকেই ছবি বানাবেন তিনি।
পেশাদার কোনো প্রযোজকের কাছে যাননি জোবায়দুর, নিজেরাই স্বাধীনভাবে ছবিটি নির্মাণ করেছেন; পাশে ছিলেন ভাই-বন্ধুরা। নির্মাতা বললেন, ‘এটাই আমার প্রথম নির্মাণ, আগে কোনো কাজ করিনি। কী করা যায়? আশপাশের ভাই–বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করলাম। শরীফ সিরাজ, সম্রাট প্রামানিক, জহিরুল ইসলামসহ তিন-চারজন মিলে কাজটা শুরু করি।’ তাঁরা কেন বিনিয়োগ করলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে নির্মাতা জোবায়দুর বলেন, ‘গল্পের কারণে আগ্রহী হয়েছেন তাঁরা।’
শুটিংয়র ফাঁকে তোলা ছবি