কাদের ঝুঁকি বেশি

যেসব নারীর গুরুতর বা তীব্র কোভিডে সংক্রমণ হয়েছিল।

৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের।

যাঁদের হৃদ্‌রোগ, ফুসফুসের সমস্যা, ডায়াবেটিস ছিল ও টিকা নেননি।

কীভাবে বুঝবেন

লং কোভিড শনাক্তের জন্য কোনো টেস্ট নেই, লক্ষণ দেখেই বুঝতে হবে। নারী ও পুরুষের মধ্যে লং কোভিডের লক্ষণে ভিন্নতা পাওয়া গেছে। নারীদের লক্ষণগুলোর মধ্যে চুল পড়ে যাওয়া, পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা, চোখের শুষ্কতা, ঘ্রাণ ও স্বাদ কমে যাওয়া ইত্যাদি অন্যতম। পুরুষদের ক্ষেত্রে এসব সমস্যা প্রকট নয়, তবে তাঁদের ক্ষেত্রে যৌন সমস্যাই প্রধান।

সাধারণত যেসব লক্ষণ নারী–পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই আছে, সেসব হলো চিন্তা করার বা একাগ্রতায় সমস্যা, ভুলে যাওয়ার প্রবণতা, মাথাব্যথা, হাত–পা কাঁপা, নাড়ির গতি বেড়ে যাওয়া, দাঁড়ালে মাথা ঘোরা। কোভিডের অব্যবহিত পরে বা অনেক দিন পর থেকে অনেকেই এসব লক্ষণে হয়তো ভুগছেন।

যেসব নারীর লং কোভিড হয়েছে বা যাঁদের কোনো ভাইরাল ইনফেকশনের পর অটোইমিউন ডিজিজ হয়েছে, তাঁদের মধ্যে একধরনের জিনগত পরিবর্তনও লক্ষ করা গেছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, ১৮-৩৯ বছরের নারীদের লং কোভিডের ঝুঁকি ১ দশমিক শূন্য ৪ গুণ। সব বয়সী নারীদের ঝুঁকি পুরুষদের চেয়ে ১-৫ গুণ। মেনোপজের পর ঝুঁকি ১ দশমিক ৪৫ গুণ। দেখা গেছে, ৪০–৫৪ বছর বয়সী নারীরা ৩ গুণ বেশি আক্রান্ত হয়েছেন পুরুষদের তুলনায়। মেনোপজে যেহেতু এস্ট্রোজেন হরমোনের অভাব থাকে, সে জন্য এই ঝুঁকি বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুনগুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজ করার আগে পেটব্যথা হয়? কারণ ও প্রতিকার জানুন০৭ এপ্রিল ২০২৫

আরেক গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষদের চেয়ে নারীদের লং কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৩১ শতাংশ বেশি। যেহেতু লং কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে হরমোনের একটা প্রভাব থাকতে পারে, তাই হরমোন রিপ্লেসমেন্ট করলে হয়তো উপকার মিলতে পারে। কারও কারও ক্ষেত্রে খুব স্বল্প পরিমাণ টেস্টোস্টেরন দিয়েও এ ধরনের লং কোভিডের উপসর্গ বা অটোইমিউন ডিজিজ প্রতিরোধ করা যায় কি না, তা নিয়ে ভাবা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন।

চিকিৎসা কী

লক্ষণ অনুযায়ী মাথাব্যথা, কাশি, দুশ্চিন্তা, বিষণ্নতার ওষুধ গ্রহণ।

স্টেলেট গ্যাংলিয়ন ব্লক।

ফিজিওথেরাপি।

শ্বাসকষ্ট থাকলে পালমোনারি রিহ্যাবিলিটেশন।

মানসিক সমস্যার জন্য কাউন্সেলিং।

আরও পড়ুনআত্মীয়দের কাছ থেকে রক্ত নেওয়া কি ভালো০৫ এপ্রিল ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

রাজধানীর শাহজাহানপুরে মিনিবাসচাপায় নারী নিহত, চালক আটক

রাজধানীর শাহজাহানপুরে মিনিবাসের চাপায় এক পথচারী নারী নিহত হয়েছেন। সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে শাহজাহানপুর কবরস্থানের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বাসটি জব্দ করেছে পুলিশ। চালককেও আটক করা হয়েছে।

নিহত ওই নারীর পরিচয় তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। তাঁর বয়স আনুমানিক ৫৫ বছর। পরনে ছিল প্রিন্টের শাড়ি।

স্থানীয় লোকজন আহত অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করে প্রথমে ইসলামিয়া হাসপাতালে নেন। পরে রাত পৌনে ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

উদ্ধারকারী আদনান অনিক বলেন, আমান গ্রাফিকস অ্যান্ড ডিজাইন লিমিটেডের একটি স্টাফ বাস হেমায়েতপুর থেকে বৌদ্ধমন্দিরের দিকে যাচ্ছিল। শাহজাহানপুর কবরস্থানের সামনে রাস্তা পার হওয়ার সময় ওই নারীকে ধাক্কা দেয় বাসটি। এতে তিনি ছিটকে পড়ে মাথায় আঘাত পান এবং বাসের নিচে চাপা পড়েন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, নিহত নারীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ