ইশরিত কাউর চিমার জন্ম ২০১০ সালের জানুয়ারিতে। ১৫ বছর বয়সী এই পর্তুগিজ ক্রিকেটারের আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছে গত ৭ এপ্রিল। পর্তুগালের হয়ে খেলেছেন নরওয়ের বিপক্ষে। একই ম্যাচে চিমার সঙ্গে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি অভিষেক হয়েছে ৬৪ বছর বয়সী জোয়ানা চাইল্ডের।  

১৫ বছর বা ৬৪ বছর—আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে সবচেয়ে কম বয়স বা বেশি বয়সে অভিষেকে কোনোটিই রেকর্ড নয়। তবে চাইল্ড বিশ্ব রেকর্ডের খুব কাছাকাছিই চলে গেছেন। তাঁর চেয়ে বেশি বয়সে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি অভিষেক আছে মাত্র একজনের।

সফরকারী নরওয়ে দলের বিপক্ষে ৭ এপ্রিলের ম্যাচটিই পর্তুগাল নারী ক্রিকেট দলের প্রথম আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি। আলবারগারিয়ার সানতারেম ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে ১৫ থেকে ৬৪ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন খেলোয়াড় নামিয়েছে পর্তুগাল। দলে খেলেছেন ১৬ বছর বয়সী গ্যাব্রিয়েলা সেকেইরা, ৩৮ বছর বয়সী বিয়ানকা ম্যাক্সিমোরা।

তবে সব বয়সী খেলোয়াড়দের মধ্যে জোয়ানা চাইল্ডের মাঠে নামাটা বিশেষই। মাঠে নামার সময় তাঁর বয়স ছিল ৬৪ বছর ১৮১ দিন। চাইল্ড পেছনে ফেলেছেন ফকল্যান্ড দ্বীপগুঞ্জের অ্যান্ড্রু ব্রাউনলিকে (৬২ বছর ১৪৫ দিন)।

সবচেয়ে বেশি বয়সে আন্তর্জাতিক নারী টি–টোয়েন্টিতে অভিষেকের রেকর্ডটা স্যালি বারটনের। ২০২৪ সালের ২১ এপ্রিল এস্তোনিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামার সময় জিব্রাল্টারের এই ক্রিকেটারের বয়স ছিল ৬৬ বছর ৩৩৪ দিন। চাইল্ড নাম লিখিয়েছেন বারটনের পরেই।

আরও পড়ুন১৩ রান করেই যে বিশ্ব রেকর্ড ভাঙলেন পাকিস্তানের সুফিয়ান মুকিম০২ এপ্রিল ২০২৫

আন্তর্জাতিক নারী টি–টোয়েন্টিতে সবচেয়ে কম বয়সে অভিষেকের রেকর্ড অবশ্য কয়েক বছরের পুরোনো। ২০১৯ সালে ফ্রান্সের বিপক্ষে ১১ বছর ৪০ দিন বয়সীকে নিয়া গ্রেইগকে খেলিয়েছিল জার্সি। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কম বয়সে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি খেলা নারী ক্রিকেটার তিনি। বয়স ১২ পূর্ণ হওয়ার আগেই আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি খেলার রেকর্ড আছে আরও চারজনের।

৬৪ বছর বয়সে টি–টোয়েন্টি খেলা চাইল্ড নরওয়ের বিপক্ষে টানা তিনটি ম্যাচ খেলেছেন। প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে করেছেন ২ রান। পরের ম্যাচে ডানহাতি মিডিয়াম পেসে বোলিংয়ে ১১ রান দিয়ে উইকেট পাননি। তৃতীয় ম্যাচে অবশ্য ব্যাটিং, বোলিং কিছুই করতে হয়নি। পর্তুগাল সিরিজ জিতেছে ২–১ ব্যবধানে।

আরও পড়ুনক্রিকেটে ছয় দলই, সংখ্যায় ইতিহাস গড়তে যাচ্ছেন নারী অ্যাথলেটরা৩ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বছর বয়স পর ত গ ল ৬৪ বছর র কর ড র বয়স সবচ য় বছর ব

এছাড়াও পড়ুন:

কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা চলার পর ইউক্রেন–যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি সই

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা চলার পর দেশ দুটি একটি চুক্তিতে সই করেছে। এর ফলে ওয়াশিংটন কিয়েভের মূল্যবান দুর্লভ খনিজসম্পদে প্রবেশাধিকার পাবে ও যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে তার পুনর্গঠনে তহবিল জোগান দেবে।

গতকাল বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে এ চুক্তি সই হয়। এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে জোর দরকষাকষি করে দুই দেশ। চুক্তি সই হওয়ার ব্যাপারে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কিছু অনিশ্চয়তা থাকলেও অবশেষে এটি সম্পন্ন হয়।

যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন সম্পর্কের ক্ষেত্রে এ চুক্তি একটি অগ্রগতি নির্দেশ করছে। গত মার্চে হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে উত্তপ্ত বৈঠকের পর এ সম্পর্ক তলানিতে নেমেছিল।

চুক্তি সইয়ের ঘোষণা দিয়ে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন পুনর্গঠন বিনিয়োগ তহবিল’ প্রতিষ্ঠা রাশিয়ার প্রতি একটি বার্তা যে, ট্রাম্প প্রশাসন দীর্ঘমেয়াদে এক স্বাধীন, সার্বভৌম ও সমৃদ্ধ ইউক্রেন গড়ার শান্তি প্রক্রিয়ার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন সম্পর্কের ক্ষেত্রে এ চুক্তি একটি অগ্রগতি নির্দেশ করছে। গত মার্চে হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে উত্তপ্ত বৈঠকের পর এ সম্পর্ক তলানিতে নেমেছিল।

স্কট বেসেন্ট আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের জনগণের মধ্যে অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠার এ ভাবনা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের; যা একটি টেকসই শান্তি ও সমৃদ্ধ ইউক্রেনের প্রতি উভয় পক্ষের প্রতিশ্রুতিই প্রতিফলিত করে।’

‘স্পষ্ট করে বলতে গেলে, রাশিয়ার যুদ্ধচেষ্টায় অর্থ বা অন্যান্য সহায়তাদানকারী কোনো রাষ্ট্র বা ব্যক্তিকে ইউক্রেনের পুনর্গঠন থেকে উপকৃত হতে দেওয়া হবে না’, বলেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী।

ট্রাম্প প্রশাসন এ চুক্তির বিস্তারিত প্রকাশ করেনি।

ইউক্রেনের অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘ইউক্রেন পুনর্গঠন তহবিলে’ যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি বা সামরিক সহায়তার মাধ্যমে অবদান রাখবে এবং কিয়েভ তার প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে পাওয়া রাজস্বের ৫০ শতাংশ তহবিলে দেবে।

স্পষ্ট করে বলতে গেলে, রাশিয়ার যুদ্ধচেষ্টায় অর্থ বা অন্যান্য সহায়তাদানকারী কোনো রাষ্ট্র বা ব্যক্তিকে ইউক্রেনের পুনর্গঠন থেকে উপকৃত হতে দেওয়া হবে না।স্কট বেসেন্ট, মার্কিন অর্থমন্ত্রী

মন্ত্রণালয় আরও জানায়, তহবিলের সম্পূর্ণ অর্থ প্রথম ১০ বছর শুধু ইউক্রেনে বিনিয়োগ করা হবে, এরপর ‘লাভ অংশীদারদের মধ্যে বণ্টন করা হতে পারে’। তহবিলে দুপক্ষের সমান সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা থাকবে। এ চুক্তি শুধু ভবিষ্যতের মার্কিন সামরিক সহায়তায় নজর দেব, অতীতের সহায়তা এতে অন্তর্ভুক্ত নয়।

ইউক্রেনের অর্থমন্ত্রী ইউলিয়া সিরিদেনকো বলেন, ‘আমরা শুধু বিনিয়োগই পেতে যাচ্ছি না; বরং এমন একটি কৌশলগত অংশীদারকেও পাচ্ছি, যারা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উদ্ভাবনে সহায়তা করতে আমাদের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেওয়ার ফাঁকে এক আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। গতকাল ভ্যাটিকান সিটিতে

সম্পর্কিত নিবন্ধ