সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক ভারতীয় ব্যবসায়ী ও তাঁর মালিকানাধীন চার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের অপরিশোধিত তেল ও পেট্রোলিয়াম পণ্যের বাণিজ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ দপ্তরের বৈদেশিক সম্পদ নিয়ন্ত্রণ–সংক্রান্ত কার্যালয়ের (ওএফএসি) তথ্য অনুসারে, ভারতীয় নাগরিক জুগবিন্দর সিং ব্রার একাধিক শিপিং কোম্পানির মালিক। এসব কোম্পানিতে সব মিলে প্রায় ৩০টি জাহাজ আছে। এর অনেকগুলোই ইরানের কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

ব্রারের পাশাপাশি তাঁর মালিকানাধীন যে চারটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো, ভারতভিত্তিক গ্লোবাল ট্যাংকার্স, বিঅ্যান্ডপি সলিউশনস এবং আরব আমিরাতভিত্তিক প্রাইম ট্যাংকার্স ও গ্লোরি ইন্টারন্যাশনাল। ইরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগে’ ট্রাম্প প্রশাসনের চলমান পদক্ষেপের অংশ হিসেবে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এমন চাপ প্রয়োগের অংশ হিসেবে তিন মাসের কম সময়ের মধ্যে ইরানি স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পাঁচ দফায় নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।

ইরানের তেল–বাণিজ্যের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রচারণা শুরুর আগেও কয়েকটি ভারতীয় কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। যেমন গত অক্টোবরে ভারতভিত্তিক গাব্বারো শিপ সার্ভিসেসকে ইরানি তেল পরিবহনে জড়িত থাকার অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে, রাশিয়ার আর্কটিক এলএনজি ২ প্রকল্প থেকে এলএনজি পরিবহনে জড়িত থাকার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের নিবন্ধিত তিন শিপিং সংস্থাকে নিষেধাজ্ঞা দেয়। প্রকল্পটি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় আছে।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, গত ফেব্রুয়ারিতে ওএফএসি ও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বিভিন্ন দেশের ৩০–এর বেশি ব্যক্তি ও বিভিন্ন জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর মধ্যে ভারতভিত্তিক চারটি প্রতিষ্ঠান আছে। গত মার্চে ইরান থেকে বিপুল পরিমাণে তেল কেনা ও প্রক্রিয়াজাতকরণের অভিযোগে একটি চীনা শোধনাগারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ২০১৮ সাল থেকে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার মধ্যে আছে শোধনাগারটি।

ওএফএসি বলছে, ব্রারের যে চারটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সেগুলোর মালিকানাধীন জাহাজ দিয়ে ইরানের তেল বহন করা হতো। ন্যাশনাল ইরানিয়ান অয়েল কোম্পানি (এনআইওসি) ও ইরানি সেনাবাহিনীর হয়ে তেল আনা নেওয়ার কাজ করত এগুলো।

ইরানের তেল–বাণিজ্যের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রচারণা শুরুর আগেও কয়েকটি ভারতীয় কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। যেমন গত অক্টোবরে ভারতভিত্তিক গাব্বারো শিপ সার্ভিসেসকে ইরানি তেল পরিবহনে জড়িত থাকার অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে, রাশিয়ার আর্কটিক এলএনজি ২ প্রকল্প থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) পরিবহনে জড়িত থাকার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের নিবন্ধিত তিনটি শিপিং সংস্থাকে নিষেধাজ্ঞা দেয়। প্রকল্পটি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় আছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রকল প পর বহন র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক

ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
 
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।

বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।

এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ