গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশ জাসদের বিক্ষোভ
Published: 11th, April 2025 GMT
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিবাদ ও গণহত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জাসদ। আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ সমাবেশ হয়।
সমাবেশে বক্তারা ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বর্বরতার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তাঁরা দেশব্যাপী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আড়ালে দৃষ্কৃতকারীদের বিভিন্ন ব্যাবসাপ্রতিষ্ঠানে লুটপাট, ভাঙচুর ও রাহাজানির প্রতিবাদ জানান। এই সুযোগসন্ধানীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান বাংলাদেশ জাসদের নেতারা।
ইসরায়েলি বর্বরতার বিরুদ্ধে গোটা বিশ্বে ক্ষোভ ও ঘৃণার ঝড় বয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান বলেন, গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের জাতিগত নিধন অভিযান সভ্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে। এর পেছনে রয়েছে পশ্চিমা দেশগুলোর সক্রিয় সমর্থন।
সমাবেশ থেকে বাংলাদেশ জাসদের নেতারা দেশের সব গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল রাজনৈতিক শক্তি, পেশাজীবী, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, জুলাই–আগস্টের গণহত্যার বিচার, ফ্যাসিবাদ ও বৈষম্য নিরসনে সংস্কার শেষে দ্রুততম সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।
বাংলাদেশ জাসদের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি আবদুস সালাম খোকন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা.
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে সমাপ্ত হয়।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
২ মে ঢাকায় এনসিপির বিক্ষোভ, প্রচারপত্রে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ৭ অপরাধ
‘গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের বিচার ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে’ আগামী ২ মে (শুক্রবার) রাজধানী ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করবে নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। রাজধানীর গুলিস্তানে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ ফটকে এনসিপির ঢাকা মহানগর শাখার উদ্যোগে এই সমাবেশ হবে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের উদ্যোগে গঠিত দল এনসিপি।
সমাবেশ উপলক্ষে তৈরি করা প্রচারপত্রে আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনামলের সাতটি অপরাধের কথা উল্লেখ করেছে এনসিপি। এগুলো হলো ২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহ দমনের নামে ৫৭ সেনা কর্মকর্তার হত্যাকাণ্ড; গুম, খুন ও ক্রসফায়ারের মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহরণ; ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে তিনটি অবৈধ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার হরণ; ২০১৩ সালে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে চালানো হত্যাযজ্ঞ; লাখ লাখ কোটি টাকার দুর্নীতি, লুটপাট ও পাচার; ২০২১ সালে নরেন্দ্র মোদিবিরোধী আন্দোলনে চালানো হত্যাকাণ্ড এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় চালানো নজিরবিহীন গণহত্যা।
এরপর চারটি দাবিও উল্লেখ করা হয়েছে প্রচারপত্রে। এগুলো হলো প্রতিটি অপরাধের জন্য আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ট্রাইব্যুনাল বা কমিশন গঠন করে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচারের ব্যবস্থা; আগামী নির্বাচনের আগেই আওয়ামী লীগ প্রশ্নের মীমাংসা তথা আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল; বিচার চলাকালে আওয়ামী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ রাখা এবং ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার ও তাঁদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা।
দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব আজ মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, সমাবেশে প্রায় ২০ হাজার মানুষের জমায়েত হতে পারে। এই সমাবেশে এনসিপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
দলগতভাবে আওয়ামী লীগের বিচার, দলটির নিবন্ধন বাতিল ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে গত ২১ এপ্রিল থেকে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানায় বিক্ষোভ, সমাবেশ ও মশালমিছিল করছে এনসিপি। এর ধারাবাহিকতায় এবার কিছুটা বড় পরিসরে ঢাকা মহানগর শাখার ব্যানারে সমাবেশ হতে যাচ্ছে।
এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব জয়নাল আবেদীন শিশির। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা মহানগরের থানা পর্যায়ে কিছুদিন ধরে এনসিপির যে কর্মসূচিগুলো হচ্ছে, এগুলোরই চূড়ান্ত সমাবেশটা হবে আগামী ২ মে।