দ্বিতীয় মেয়াদে গত ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে একের পর এক নির্বাহী আদেশ জারি করে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় গত বুধবার ব্যতিক্রমী এক নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন তিনি। নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে গোসলের সময় পানির চাপের যে সীমা বেঁধে দেওয়া ছিল, তা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ট্রাম্প।

হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে এই নির্বাহী আদেশ জারির সময় ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার ক্ষেত্রে আমি সুন্দরভাবে গোসল করতে চাই। আমার দারুণ চুলগুলোর যত্ন নিতে চাই। কিন্তু চুল ভেজার জন্য আমাকে পানির নিচে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়। পানি পড়ে ফোঁটায় ফোঁটায়। এটা হাস্যকর।’

পানি সংরক্ষণে মার্কিন যে নীতি, সে অনুযায়ী গোসলের ক্ষেত্রে প্রতি মিনিটে আড়াই গ্যালন করে পানি বের হতো। ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের কারণে এই সীমা এখন আর থাকবে না।

গোসলের সময় পানির চাপ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছেন ট্রাম্প। এর জন্য দেশটির ফেডারেল সরকার গৃহীত পানি সংরক্ষণ নীতিকে দায়ী করে আসছিলেন তিনি। এবার ক্ষমতায় এসে তিনি সেই বিধিনিষেধ তুলে নিলেন।

হোয়াইট হাউস বলেছে, এই নির্বাহী আদেশ জারির মাধ্যমে আমেরিকানদের আবারও দারুণভাবে গোসল করার পথ খুলে দিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস আরও বলেছে, গৃহস্থালির একটি নিত্যকার অধিকারকে আমলাতান্ত্রিক দুঃস্বপ্নে পরিণত করেছিলেন বারাক ওবামা ও জো বাইডেন। প্রেসিডেন্ট এই আদেশের মাধ্যমে অতিরিক্ত বিধিনিষেধের সেই খড়্গ থেকে আমেরিকানদের মুক্তি দিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান

জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।

ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি

সম্পর্কিত নিবন্ধ