ঝিনাইদহের মহেশপুরে ইছামতি নদীর ভারতীয় অংশ থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহটি শুক্রবার বিকেলে ভেসে উঠলেও রাত ৯টা ৫০ মিনিটে উদ্ধার করে নিয়ে যায় বিএসএফ সদস্যরা। বাংলাদেশের পলিয়ানপুর বিওপি সংলগ্ন ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার ধানতলা থানার হাবাসপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গতকাল রাত সাড়ে ১২টার দিকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নিশ্চিত করে এটি বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ। বয়স আনুমানিক ২৪ বছর। তবে নাম ঠিকানা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

জানা গেছে, শুক্রবার বিকালে ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তের হুদাপাড়া এলাকায় ইছামতী নদীর ভারতীয় অংশে একটি মৃতদেহ দেখতে পায় বাংলাদেশি কৃষকরা। পরে বিজিবিকে খবর দেয় তারা। সে সময় বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে মৃতদেহটি ভারতীয় অংশে পড়ে আছে। ফলে বিজিবি সেখানে যেতে পারেনি তাই তারা বিএসএফকে বিষয়টি জানায়। পরে বিএসএফ মৃতদেহটি দেখে রাত ৯টা ৫০ মিনিটের সময় নদী থেকে তুলে ভারতে নিয়ে যায়। তখন বিএসএফের সাথে ভারতীয় পুলিশও ছিল বলে জানা যায়।

মহেশপুর উপজেলার নেপা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সামছুল আলম মৃধা জানান, নানাভাবে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছি এটা বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ। তবে তার নাম পরিচয় কিংবা কোথায় তার বাড়ি সেটা জানা সম্ভব হয়নি।

ঝিনাইদহ বিজিবি-৫৮ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লে.

কর্নেল রফিকুল আলম বলেন, মরদেহটি নদীর ভারতীয় অংশে ছিল, রাতে বিএসএফ নিয়ে গেছে। তারা আমাদেরকে এ বিষয়ে কিছুই জানায়নি। না জানানো পর্যন্ত আমরা নিশ্চিত হতে পারছি না। তবে সীমান্ত এলাকার কেউ নিখোঁজ আছে এমন কোনো অভিযোগ কয়েকদিনের মধ্যে কেউ করেনি।

মহেশপুর থানার ওসি ফয়েজ উদ্দিন মৃধা বলেন, এটা সীমান্তের বিষয়। বিজিবি ভালো বলতে পারবে। নিখোঁজের বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি।

তবে একটি অসমর্থিত সূত্র বলছে, কয়েকদিন আগে ওয়াসিম সহ কয়েকজন ভারতের অভ্যন্তরে গিয়েছিল। সেসময় বিএসএফ তাদের ধাওয়া করে। তখন অন্যরা পালিয়ে গেলেও ধরা পড়ে ওয়াসিম।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঝ ন ইদহ ব এসএফ ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

তেঁতুলিয়া সীমান্তে পুশইনের সময় ভারতীয় নাগরিকসহ আটক ৫

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার পেদিয়াগঞ্জ সীমান্তে পুশইনের সময় পাঁচজনকে আটক করেছে বিজিবি। শনিবার সকালে পেদিয়াগঞ্জ বিওপির সদস্যরা তাদের আটক করে। তাদের তিনজন বাংলাদেশি ও দুইজন ভারতীয় নাগরিক।

বিজিবি জানায়, তেঁতুলিয়া পেদিয়াগঞ্জ বিওপির সীমান্তের মেইন পিলার ৪৩০/২ এস থেকে প্রায় ৭০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গুচ্ছগ্রাম থেকে ভারতের প্রতিপক্ষ ১৩২/পুরোহিতগঞ্জ বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা চান্দাপাড়া এলাকা থেকে বিএসএফের পুশইন করা দুইজন নারী ও তিনজন পুরুষকে আটক করে বিজিবির টহলদল।

আটক বাংলাদেশিরা হলেন- যশোরের শার্শা থানার বড় কলোনি গ্রামের মারফত আলীর ছেলে কোরবান গাজী (৩৩), অভয়নগর থানার ডাকহিদিয়া শ্যামলনগর গ্রামের মৃত মকবুল শেখের ছেলে তরিকুল শেখ (৪২) ও নড়াইল সদর থানার গোবরা বাজারের বীরগ্রাম গ্রামের মৃত ঈশ্বর গোপাল চন্দ্র বিশ্বাসের মেয়ে শ্রী বন্দনা রানী বিশ্বাস (৩৭)।

ভারতীয় নাগরিকরা হলেন- মোছা. নাজমা (২৭) এবং মোছা. ফারজানা (২৩)। নাজমা পালঘর জেলার বুড়িগুলি থানার কান্দেওয়ালি গ্রামের ইয়াসিন সরকারের মেয়ে এবং ফারজানা পালঘর জেলার ধানিউ থানার পালঘাট ভাসাই গ্রামের মারফত আলী গাজীর মেয়ে।

আটককৃত ব্যক্তিদের তেঁতুলিয়া মডেল থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঘাস খেতে খেতে সীমান্তের ওপারে ১০ গরু, ফেরত দিল বিএসএফ
  • সীমান্ত পার হয়ে ভারতে যাওয়া ১৫ গরু ফেরত পাঠিয়েছে বিএসএফ
  • পঞ্চগড় সীমান্তে গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু
  • পঞ্চগড়ে সীমান্ত এলাকা থেকে যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার
  • সাত ভারতীয়সহ আরও ৪৮ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • পঞ্চগড়ের দুই সীমান্ত দিয়ে চার ভারতীয়সহ ১৬ জনকে পুশইন
  • চার ভারতীয়সহ ১৬ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
  • পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ১৬ বাংলাদেশিকে ফেরত দিলো বিএসএফ
  • দুই সীমান্ত দিয়ে ২৮ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • তেঁতুলিয়া সীমান্তে পুশইনের সময় ভারতীয় নাগরিকসহ আটক ৫