মহেশপুরে ইছামতি নদীর ভারতীয় অংশ থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার
Published: 12th, April 2025 GMT
ঝিনাইদহের মহেশপুরে ইছামতি নদীর ভারতীয় অংশ থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহটি শুক্রবার বিকেলে ভেসে উঠলেও রাত ৯টা ৫০ মিনিটে উদ্ধার করে নিয়ে যায় বিএসএফ সদস্যরা। বাংলাদেশের পলিয়ানপুর বিওপি সংলগ্ন ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার ধানতলা থানার হাবাসপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গতকাল রাত সাড়ে ১২টার দিকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নিশ্চিত করে এটি বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ। বয়স আনুমানিক ২৪ বছর। তবে নাম ঠিকানা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জানা গেছে, শুক্রবার বিকালে ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তের হুদাপাড়া এলাকায় ইছামতী নদীর ভারতীয় অংশে একটি মৃতদেহ দেখতে পায় বাংলাদেশি কৃষকরা। পরে বিজিবিকে খবর দেয় তারা। সে সময় বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে মৃতদেহটি ভারতীয় অংশে পড়ে আছে। ফলে বিজিবি সেখানে যেতে পারেনি তাই তারা বিএসএফকে বিষয়টি জানায়। পরে বিএসএফ মৃতদেহটি দেখে রাত ৯টা ৫০ মিনিটের সময় নদী থেকে তুলে ভারতে নিয়ে যায়। তখন বিএসএফের সাথে ভারতীয় পুলিশও ছিল বলে জানা যায়।
মহেশপুর উপজেলার নেপা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সামছুল আলম মৃধা জানান, নানাভাবে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছি এটা বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ। তবে তার নাম পরিচয় কিংবা কোথায় তার বাড়ি সেটা জানা সম্ভব হয়নি।
ঝিনাইদহ বিজিবি-৫৮ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লে.
মহেশপুর থানার ওসি ফয়েজ উদ্দিন মৃধা বলেন, এটা সীমান্তের বিষয়। বিজিবি ভালো বলতে পারবে। নিখোঁজের বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি।
তবে একটি অসমর্থিত সূত্র বলছে, কয়েকদিন আগে ওয়াসিম সহ কয়েকজন ভারতের অভ্যন্তরে গিয়েছিল। সেসময় বিএসএফ তাদের ধাওয়া করে। তখন অন্যরা পালিয়ে গেলেও ধরা পড়ে ওয়াসিম।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ঝ ন ইদহ ব এসএফ ব এসএফ
এছাড়াও পড়ুন:
নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ভোরে ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন সীমান্ত পিলার ২৫৬/৭ এস কাছ দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হলে বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে আটক করেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ এবং আটজন নারী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন পত্নীতলা ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।
আরো পড়ুন:
গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ
বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ১০ রোহিঙ্গাকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ
আটকরা হলেন—আছমা বেগম (৪০), খাদিজা বেগম (৩৪), পাখি বেগম (২৪), রুমা বেগম (২৫), কাকলি আক্তার (২৭), রুজিনা আক্তার (৩৩), কোহিনুর বেগম (২৬), নাসরিন বেগম (৩৩), মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৬), সুমন হোসেন (২৭)। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক।
বিজিবি জানিয়েছে, আগ্রাদ্বিগুন বিওপির টহল কমান্ডার জেসিও সুবেদার মো. জিহাদ আলীর নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মহেষপুরে ওই ১০ জনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে যান। মুম্বাই শহরে পুরুষ দুজন রাজমিস্ত্রি হিসেবে এবং নারী আটজন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সেখানে তাদেরকে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। গত ২৯ জুলাই ভারতের হরিবংশীপুর বিএসএফ ক্যাম্পে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বিএসএফ ওই ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিলে বিজিবি টহল দল তাদের আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা/সাজু/রফিক