পহেলা বৈশাখে পাড়ার ছেলেমেয়েরা একত্র হয়ে নববর্ষ বরণ করবে। নিজেদের হাতে রান্না করা নানা পদের খাবার আয়োজনেরও পরিকল্পনা ছিল। সাউন্ড বক্সে গান বাজিয়ে আনন্দ-উৎসবের প্রস্তুতি ছিল তাদের। বর্ষবরণের এ আয়োজন হওয়ার কথা ছিল কেয়া সর্দারের বাড়িতে।
পহেলা বৈশাখ বাড়িতে বন্ধুরা আসবে বলে খেজুর গাছের কাঁচা পাতা কেটে এনে রান্নাঘর পরিষ্কার করছিল কেয়া। এক পর্যায়ে বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে পড়ে সে। তারপর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এতে বৈশাখ আর বন্ধুরা আসার আগেই না ফেরার দেশে চলে গেল কেয়া (১২)। তাঁর এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে সহপাঠী, বন্ধু ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
গত শুক্রবার রাতে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ পৌরসভার সোলাপাড়া পশ্চিম তালপাড়ায় রামচন্দ্র রায়ের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কেয়া সর্দার মহল্লার রামচন্দ্র সর্দারের মেয়ে। সে সোলাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
প্রতিবেশী সবুজ কুমার প্রামাণিক জানান, কেয়ার আগে তাঁর ছোট আরেকটি বোন বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেছে। আবারও পরিবারে একই ধরনের ঘটনা ঘটা বেদনাদায়ক। সহপাঠী সততা সরকারের ভাষ্য, বান্ধবীর অকালে চলে যাওয়ায় তারা শোকাহত। তার এমন বিদায় তারা মেনে নিতে পারছে না। একই কথা বলেছে আরেক বান্ধবী আনিকা সরকার।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নববর্ষ বরণ করতে পাড়ার সহপাঠী ও সমবয়সী ছেলেমেয়েরা একত্র হয়ে রান্না, খাবার পরিবেশনসহ আনন্দ করার স্থান নির্ধারণ করে কেয়াদের বাড়িতে। এ জন্য শুক্রবার রাতে রান্নাঘর পরিষ্কার করছিল সে। এক পর্যায়ে রান্নাঘরের ত্রুটিপূর্ণ বৈদ্যুতিক তারে কাঁচা খেজুরের পাতা লেগে সে বিদ্যুতায়িত হয়। 
বিষয়টি টের পেয়ে বাড়ির লোকজন দ্রুত কেয়াকে উদ্ধার করে তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এ সময় জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। কেয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

জিয়াউর রহমান। তিনি বলেন, রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

দ্বিতীয় প্রান্তিকে ডিবিএইচ ফাইন্যান্সের মুনাফা বেড়েছে ১২ শতাংশ

ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি তাদের ৩০ জুন সমাপ্ত ত্রৈমাসিক ও অর্ধবার্ষিকীর আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গৃহঋণ প্রদানকারী বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত পর্ষদ-সভায় আর্থিক প্রতিবেদনটি অনুমোদন করে।

প্রতিষ্ঠানটি এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিক বিবরণীতে কর-পরবর্তী মুনাফা দেখিয়েছে ২৬ কোটি ৪১ লাখ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ের মুনাফার চেয়ে ১২ শতাংশ বেশি। এই প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস ১ দশমিক ১৬ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১ দশমিক ৩০ টাকা। এই প্রান্তিকে লভ্যাংশ খাতে আয় বেড়েছে ১১ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং বিনিয়োগ খাতে আয়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৭ শতাংশ।

প্রকাশিত আর্থিক বিবরণীর ব্যাপারে ডিবিএইচের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসিমুল বাতেন বলেন, ‘আমাদের এই ফলাফল আমাদের পরিচালনগত দক্ষতা ও গ্রাহক প্রথম নীতির প্রতিফলন। আর্থিক সেক্টরের জন্য চ্যালেঞ্জিং সময়ে এই ফলাফল আমাদের দীর্ঘ সময়ব্যাপী ধরে রাখা দক্ষতা, গ্রাহকসেবা ও সম্পদের গুণগত উৎকর্ষতার প্রতি অবিচল ফোকাসের সুফল, যা আমাদের দেশের বেশির ভাগ আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে পৃথক করেছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ